হাওড়া: স্বনির্ভর হতে দলিল লেখক, বর্তমান সময়ে এই পেশার প্রতি আগ্রহ বেশ। তবে সরকার অনুমোদিত দলিল লেখক হতে যে পথ অনুসরণ করতে হয়। দলিল লেখকের পেশা বর্তমানে এক অতি পরিচিত পেশা| এই পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হলে নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে। এই পেশা গ্রহণ করতে বয়স হতে হয় অন্তত ২৩।
এরপর সংশ্লিষ্ট সাবরেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের প্রত্যয়নপত্রের পর নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের দফতর থেকে সনদ নিতে পারবেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যারা দলিল লেখক নয় তাঁরা অবৈধভাবে দলিল লেখকের কাজে নিযুক্ত হয়ে দলিল করছে। তাতে অনেক জাল দলিল হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির। সঠিক উপায়ে দলিল লেখক পেশায় যুক্ত হতে পারলে বলা যেতে পারে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: সুগন্ধ আপনাকে বসাবে টাকার পাহাড়ে ! দেখে নিন কী করে
পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির বক্তব্য লাইসেন্স ব্যতিত অন্য কোনও দলিল লেখকের কাছ থেকে দলিল লেখা চলবে না বলে দাবি তাঁদের |অন্য কেউ রেজিস্ট্রি অফিসে যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার ল-ক্লার্ক রুলস আইন প্রণয়ন করেছিল | ওই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি অফিসে আইনজবীদের সহায়ক হিসেবে মুহুরিদের যাওয়া, আইনজীবীর মুসাবিদা ক্রমে মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা যাবে | কিন্তু সেই সময়ই ওই আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন দলিল লেখকরা | তাঁদের অভিযোগ, দলিল লেখার কাজে যাতে অন্য কোনও পেশার ব্যক্তিরা যুক্ত হতে না পারেন, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম |
আরও পড়ুন: জানেন কী কী কাজে লাগে মাছের আঁশ ? ফেলে দেওয়া এই জিনিস থেকে পকেটে আসবে মোটা টাকা
আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে তত্কালীন রাজ্য সরকার ১৯৯৭ সালের প্রণীত আইন সংশোধন করে ১৯ নম্বর ধারা চালু করে | ওই সংশোধিত ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে না | কিন্তু ওই সংশোধিত আইন না মেনে রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে এখনও মুহুরিদের লেখা, এমনকি দালালদের লেখা দলিলও রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে |যেহেতু রাজ্য সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখকরা অন্য কোনও লাভজনক পেশার সঙ্গে যুক্ত নয় | তাই যাতে অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ করা হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে সমিতির তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, সুরাহা হয়নি।
রাকেশ মাইতি