সুকান্ত, রাহুলের বক্তব্যে জোর জল্পনা (File Photo)

বঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ আশঙ্কা কী সত্যি ? পদ্মের সুকান্ত, রাহুলের বক্তব্যে জোর জল্পনা

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজিকর নিয়ে কি বাংলাদেশের মতো আন্দোলনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে বাংলায়? বুধবার এ নিয়ে খোদ আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন বিজেপির একের পর এক নেতার বক্তব্যে তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। কিন্তু মনে রাখবেন বাংলা একটা আলাদা রাজ্য। ভারত একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদিবাবু আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমেও থেমে থাকবে না। দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ার আমরা টলমল করে দেব। চেয়ার দখলের লড়াই। ক্ষমতা থাকলে ভোটে যাও।’’

আরও পড়ুন- ঐশ্বর্য, দীপিকা, ক্যাটরিনা, প্রিয়াঙ্কা কিংবা আলিয়া নন; বরং বলিউডের একমাত্র এই অভিনেত্রীই গোটা একটা দ্বীপের মালকিন, চেনেন কি তাঁকে?

আরজি কর ইস্যুতে গত ৯ অগাস্ট থেকে তোলপাড়। আরজি করের ঘটনাকে সামনে রেখে কি বাংলাদেশের মতো আন্দোলনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে? বিজেপির একাধিক নেতাদের মন্তব্যে এই প্রশ্নই এখন উঠছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার যেভাবে দমন ও পীড়নের নীতি চালাচ্ছে তাতে আগামী দিনে এটা যদি বুমেরাং হয়ে যায় এবং এখানেও যদি মুখ্যমন্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তাঁকে যেন পালাতে না হয়। সে রকম পরিস্থিতি কিন্তু তৈরি হতে পারে।’’

আরও পড়ুন– টার্মিনাল থেকে ‘খালি হাতে’ বেরলেন কেনিয়ার যাত্রী, জিজ্ঞাসাবাদেই ফাঁস হল আসল রহস্য, মাথায় হাত কাস্টমস অফিসারদের

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা ধর্মতলার দলীয় ধরনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যদি আপনি আপনার এই জাতীয় বক্তব্য রাখেন, তো বাংলাদেশের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে। হাসিনা তো পালাতে পেরেছে। আপনি পালাতেও পারবেন না। এটা আপনি পরিষ্কার জেনে রাখুন।’’ কয়েক মাস আগে সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে চরমে ওঠে আন্দোলন। এর জেরে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে তড়িঘড়ি দেশ ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। আরজি করের ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

প্রতিবাদে পথে নেমেছে সমাজের বিভিন্ন মহল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে তুলকালাম হয়। এই নবান্ন অভিযানের ডাক প্রথম থেকেই সমর্থন করেছে বিজেপি। নবান্ন অভিযানেও বিজেপির একাধিক নেতাকে পথে দেখা যায়। নবান্ন অভিযানে জায়গায় জায়গায় ধুন্ধুমার হয়। রক্তাক্ত হয় পুলিশ। এর পরের দিন, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সুর চড়ান মমতা। আর এর ঠিক পরে পরেই বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশের ঘটনা স্মরণ করিয়ে নানান মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা হলে কি আরজি করের ঘটনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মতো আন্দোলনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে এ রাজ্যেও ? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। ‌