শীতল দেবী ১০ জানুয়ারি ২০০৭ জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় জন্মেছে৷  ১৬ বছরের এই কিশোরা ফোকোমেলিয়া নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই জন্মেছিল৷ এই রোগের কারণেই মেয়েটি যখন জন্মেছিল তার দুটি হাতই ছিল না৷

Who is Sheetal Devi: না নেই ওর দু হাতই নেই! মনের শক্তি অসীম, পা দিয়েই তিরন্দাজি, প্যারালিম্পিক্সে পদকের স্বপ্ন দেখানো শীতলের শিক্ষা কোথায়

শীতল দেবী ১০ জানুয়ারি ২০০৭ জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় জন্মেছে৷  ১৬ বছরের এই কিশোরা ফোকোমেলিয়া নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই জন্মেছিল৷ এই রোগের কারণেই মেয়েটি যখন জন্মেছিল তার দুটি হাতই ছিল না৷
শীতল দেবী ১০ জানুয়ারি ২০০৭ জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় জন্মেছে৷  ১৬ বছরের এই কিশোরা ফোকোমেলিয়া নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই জন্মেছিল৷ এই রোগের কারণেই মেয়েটি যখন জন্মেছিল তার দুটি হাতই ছিল না৷
২০১৯ এ বদলে যায় শীতলের জীবন৷ দুই হাত ছাড়া জীবনের লড়াই কাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল এই মেয়েটি৷  এই কিশোরী কিশতওয়ারে একটি যুব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল, সেইখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নজরে পড়ে৷  এরপর সেনাবাহিনী কিশোরীকে জীবনের আরও কাছাকাছি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়৷ তাঁর  শিক্ষাক্ষেত্রে  সমর্থন করতে এগিয়ে আসে৷  চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সহায়তা প্রদান করে সেনাবাহিনী৷
২০১৯ এ বদলে যায় শীতলের জীবন৷ দুই হাত ছাড়া জীবনের লড়াই কাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল এই মেয়েটি৷  এই কিশোরী কিশতওয়ারে একটি যুব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল, সেইখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নজরে পড়ে৷  এরপর সেনাবাহিনী কিশোরীকে জীবনের আরও কাছাকাছি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়৷ তাঁর  শিক্ষাক্ষেত্রে  সমর্থন করতে এগিয়ে আসে৷  চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সহায়তা প্রদান করে সেনাবাহিনী৷
ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা আয়োজিত যুব অনুষ্ঠানে, সেনা প্রশিক্ষক অভিলাষ চৌধুরী এবং কুলদীপ ওয়াধওয়ান মেয়েটির আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়ে যান৷ তারা শীতলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমে প্রশিক্ষকরা মেয়েটিকে কৃত্রিম সামগ্রী অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল লিম্ব দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে তাঁর ক্ষেত্রে প্রস্থেটিক লিম্ব বা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সম্ভব নয়। শীতলা  কোচদের অবাক করে দিয়েছিলেন, সে দেখিয়ে দিয়েছিল যে সে পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে৷ পা ব্যবহার করে গাছে উঠতে পারত ছোট শীতল৷
ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা আয়োজিত যুব অনুষ্ঠানে, সেনা প্রশিক্ষক অভিলাষ চৌধুরী এবং কুলদীপ ওয়াধওয়ান মেয়েটির আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়ে যান৷ তারা শীতলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমে প্রশিক্ষকরা মেয়েটিকে কৃত্রিম সামগ্রী অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল লিম্ব দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে তাঁর ক্ষেত্রে প্রস্থেটিক লিম্ব বা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সম্ভব নয়। শীতলা  কোচদের অবাক করে দিয়েছিলেন, সে দেখিয়ে দিয়েছিল যে সে পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে৷ পা ব্যবহার করে গাছে উঠতে পারত ছোট শীতল৷

 

শীতলের আগে তিরন্দাজির প্রশিক্ষকরা কখনও উপরের অঙ্গবিহীন কোনও কাউকে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ দেননি। প্রশিক্ষকরা শীতলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণা করে ম্যাট স্টুটজম্যান সম্বন্ধে জানেন৷  যিনি বাহুবিহীন ছিলেন এবং তিরন্দাজির জন্য নিজের পা ব্যবহার করতেন। এই ঘটনা প্রশিক্ষকদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়৷
শীতলের আগে তিরন্দাজির প্রশিক্ষকরা কখনও উপরের অঙ্গবিহীন কোনও কাউকে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ দেননি। প্রশিক্ষকরা শীতলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণা করে ম্যাট স্টুটজম্যান সম্বন্ধে জানেন৷  যিনি বাহুবিহীন ছিলেন এবং তিরন্দাজির জন্য নিজের পা ব্যবহার করতেন। এই ঘটনা প্রশিক্ষকদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়৷
 প্রশিক্ষণের  মাত্র ১১ মাসের মধ্যে, শীতল দেবী  ২০২২ এশিয়ান প্যারা গেমসে মহিলাদের কম্পাউন্ড বোতে অংশগ্রহণ করেছিল৷  সেখানে ভারতের হয়ে  দুটি সোনার মেডেল জিতেছিল সে৷
প্রশিক্ষণের  মাত্র ১১ মাসের মধ্যে, শীতল দেবী  ২০২২ এশিয়ান প্যারা গেমসে মহিলাদের কম্পাউন্ড বোতে অংশগ্রহণ করেছিল৷  সেখানে ভারতের হয়ে  দুটি সোনার মেডেল জিতেছিল সে৷
দেবী মহিলাদের ডাবল কম্পাউন্ডে রুপো এবং মিক্সড এবং মহিলাদের ব্যক্তিগত  ইভেন্টে ২ টি সোনা পেয়েছিল৷ শীতল দেবীই প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক প্যারা-আর্চারি চ্যাম্পিয়ন যার উপরের অঙ্গ অর্থাৎ দুটি হাতই নেই৷
দেবী মহিলাদের ডাবল কম্পাউন্ডে রুপো এবং মিক্সড এবং মহিলাদের ব্যক্তিগত  ইভেন্টে ২ টি সোনা পেয়েছিল৷ শীতল দেবীই প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক প্যারা-আর্চারি চ্যাম্পিয়ন যার উপরের অঙ্গ অর্থাৎ দুটি হাতই নেই৷
এশিয়ান প্যারা গেমস একাধিক সাফল্যের পর তাঁকে  অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়৷  ২০২৩- র পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে৷  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর হাত থেকে জানুয়ারির ২০২৪ তে সেই সম্মান গ্রহণ করেন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রতিভাশালী কিশোরী৷
এশিয়ান প্যারা গেমস একাধিক সাফল্যের পর তাঁকে  অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়৷  ২০২৩- র পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে৷  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর হাত থেকে জানুয়ারির ২০২৪ তে সেই সম্মান গ্রহণ করেন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রতিভাশালী কিশোরী৷