খেলা Who is Sheetal Devi: না নেই ওর দু হাতই নেই! মনের শক্তি অসীম, পা দিয়েই তিরন্দাজি, প্যারালিম্পিক্সে পদকের স্বপ্ন দেখানো শীতলের শিক্ষা কোথায় Gallery August 30, 2024 Bangla Digital Desk শীতল দেবী ১০ জানুয়ারি ২০০৭ জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলায় জন্মেছে৷ ১৬ বছরের এই কিশোরা ফোকোমেলিয়া নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েই জন্মেছিল৷ এই রোগের কারণেই মেয়েটি যখন জন্মেছিল তার দুটি হাতই ছিল না৷ ২০১৯ এ বদলে যায় শীতলের জীবন৷ দুই হাত ছাড়া জীবনের লড়াই কাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল এই মেয়েটি৷ এই কিশোরী কিশতওয়ারে একটি যুব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল, সেইখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের নজরে পড়ে৷ এরপর সেনাবাহিনী কিশোরীকে জীবনের আরও কাছাকাছি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়৷ তাঁর শিক্ষাক্ষেত্রে সমর্থন করতে এগিয়ে আসে৷ চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সহায়তা প্রদান করে সেনাবাহিনী৷ ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা আয়োজিত যুব অনুষ্ঠানে, সেনা প্রশিক্ষক অভিলাষ চৌধুরী এবং কুলদীপ ওয়াধওয়ান মেয়েটির আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়ে যান৷ তারা শীতলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথমে প্রশিক্ষকরা মেয়েটিকে কৃত্রিম সামগ্রী অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল লিম্ব দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে তাঁর ক্ষেত্রে প্রস্থেটিক লিম্ব বা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সম্ভব নয়। শীতলা কোচদের অবাক করে দিয়েছিলেন, সে দেখিয়ে দিয়েছিল যে সে পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে৷ পা ব্যবহার করে গাছে উঠতে পারত ছোট শীতল৷ শীতলের আগে তিরন্দাজির প্রশিক্ষকরা কখনও উপরের অঙ্গবিহীন কোনও কাউকে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ দেননি। প্রশিক্ষকরা শীতলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণা করে ম্যাট স্টুটজম্যান সম্বন্ধে জানেন৷ যিনি বাহুবিহীন ছিলেন এবং তিরন্দাজির জন্য নিজের পা ব্যবহার করতেন। এই ঘটনা প্রশিক্ষকদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়৷ প্রশিক্ষণের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে, শীতল দেবী ২০২২ এশিয়ান প্যারা গেমসে মহিলাদের কম্পাউন্ড বোতে অংশগ্রহণ করেছিল৷ সেখানে ভারতের হয়ে দুটি সোনার মেডেল জিতেছিল সে৷ দেবী মহিলাদের ডাবল কম্পাউন্ডে রুপো এবং মিক্সড এবং মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে ২ টি সোনা পেয়েছিল৷ শীতল দেবীই প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক প্যারা-আর্চারি চ্যাম্পিয়ন যার উপরের অঙ্গ অর্থাৎ দুটি হাতই নেই৷ এশিয়ান প্যারা গেমস একাধিক সাফল্যের পর তাঁকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ২০২৩- র পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর হাত থেকে জানুয়ারির ২০২৪ তে সেই সম্মান গ্রহণ করেন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রতিভাশালী কিশোরী৷