প্রতিকি ছবি

Snake Bite Death: বিষ ঝাড়ার ‘ওস্তাদকে’ সাপের ছোবল, তারপর? কুলতলির এই ঘটনা অবিশ্বাস্য!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রামে কাউকে সাপে কামড়ালে তাঁর শরণাপন্ন হতেন সকলেই। স্থানীয় সূত্রের খবর, সাপের বিষ ‘তুলে’ দিতে পারতেন নাকি তিনি। আর তাতেই নাকি সাপে কাটার উপশম হত। এ হেন ব্যক্তির নিজেরই মৃত্যু হল সাপের ছোবলে।

ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির পশ্চিম গাবতলা এলাকায়। অভিযোগ, সাপে কামড়ানোর পর শম্ভুচরণ নস্কর নামে ওই ব্যক্তি নিজেই বিষ ‘তুলে’ নিজের চিকিৎসার চেষ্টা করেছিলেন। সাপটিকে বর্শায় গেঁথে মেরেও ফেলেন তিনি। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি। উল্টে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

আরও পড়ুন: উত্তরে আচমকা গুমোট গরম, বৃষ্টির পূর্বাভাস শুধু ৫ জেলায়! আবহাওয়ার বড় খবর

পশ্চিম গাবতলার বাসিন্দা বছর পঁযষট্টির শম্ভুচরণ পেশায় চাষি। পাশাপাশি, সাপে কামড়ানো রোগীদের ‘বিষ’ তুলে দিতেন তিনি। এ ব্যাপারে নাকি স্বপ্নে নির্দেশ পেয়েছিলেন তিনি। আশপাশের গ্রামের অনেকেই সাপে কামড়ালে তাঁর কাছে আসতেন। তাঁর ‘স্বপ্নকারী’ ওষুধে অনেকেই নাকি ভাল হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না শম্ভু।

আরও পড়ুন: শরীরে রয়েছে গোপন রোগ, এতদিন পর মুখ খুললেন তমন্নার প্রেমিক! কী হয়েছে বিজয়ের?

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে খেতের কাছে আসতেই শম্ভুচরণকে ছোবল মারে একটি বিষাক্ত কেউটে। শম্ভু পাল্টা হামলা চালান সাপটির উপর। বর্শা গেঁথে সাপটিকে মেরে ফেলেন। এরপরে নিজেই নিজের শরীর থেকে বিষ ‘তোলার’ চেষ্টা শুরু করেন। এভাবে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক কেটে যায়। শম্ভুর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায়, আটটা নাগাদ বাড়ির লোকজন তাঁকে কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু হতে না হতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁকে দ্রুত এভিএস (সাপে কাটার প্রতিষেধক) দেওয়া-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হওয়ায়, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। শম্ভুচরণের ভাইপো তারক নস্কর বলেন,  “কাকা সাপে কাটার ওষুধ দিতেন। ঘটনার পর নিজেই বিষ তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় আমাদের ডাকেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”

কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অয়ন্তিকা মণ্ডল বলেন, “সাপে কাটা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রচার চালাই। সাপে কামড়ালে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে আসার জন্য বলা হয়। এর কিছুটা সুফল মিলেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এখনও মানুষ হাসপাতালে আসতে দেরি করছেন। এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে।”

সুমন সাহা