কলকাতা: প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের ভারতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ অনেক রোগের প্রতিষেধক প্রদান করে। এখন ভারতের বহু স্থানে মানুষ কেবল আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওপর ভরসা করে থাকেন।
বিশেষ করে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক ভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহৃত হয়। এই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা আয়ুর্বেদিক গুণে সমৃদ্ধ একটি ঔষধি গাছের কথা বলছি, যা কানের ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে ইত্যাদি নানা শারীরিক সমস্যায় ব্যবহার করা হয়। এই উদ্ভিদ সুদর্শন নামে পরিচিত।
রাজধানী রায়পুরের শ্রী নারায়ণ প্রসাদ অবস্থি সরকারি আয়ুর্বেদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. রাজেশ সিং বলেন যে, সুদর্শন গাছে সাদা ফুল হয় এবং এর পাতা চামড়ার মতো লম্বা ও পুরু। সুদর্শন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। গ্রামাঞ্চলে এর পাতার রস কান ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তির মতো সমস্যার জন্য একটি কার্যকর ওষুধ হিসাবে বিবেচিত হয়। কানের ব্যথা হলে এর পাতার রস ব্যবহার করলে কানের ব্যথা উপশম হয়।
শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তিতে উপকারী
সুদর্শন গাছের কন্দ শক্তি বৃদ্ধিতে, উদ্যম আনতে এবং শরীরে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও, এটি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতেও ব্যবহৃত হয়, যার ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ত্বক সংক্রান্ত সমস্যার জন্যও কার্যকর
ত্বকের জন্যও সুদর্শন উদ্ভিদ খুবই উপকারী। এর পাতার রস ত্বকের সমস্যা যেমন ফোঁড়া, ব্রণ, ব্রণ, দাদ, চুলকানি, চুলকানি ইত্যাদি দূর করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি ক্ষত সারাতেও সহায়ক এবং এর রস চর্মরোগে বিশেষ উপকারী।
ড. রাজেশ সিং এর মতে, সুদর্শন উদ্ভিদ আয়ুর্বেদিক ওষুধের অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। কানের ব্যথা থেকে শুরু করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো, চর্মরোগ থেকে শরীরের ক্লান্তি দূর করা সব কিছুতেই এই গাছটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদের এই অলৌকিক উদ্ভিদের গুরুত্ব প্রাচীনকালে যেমন ছিল আজও তেমনই রয়েছে।