বাঁকুড়া : রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত কোর্ট গুলির মতই, চরম ব্যস্ততা চোখে পড়ে বাঁকুড়া জেলা আদালতে। যেখানে সাধারণ মানুষের সার্বিক বিশ্বাস, কোর্টে কেস ওঠা মানেই বেশ কিছুটা সময় লাগবে সুরাহা হতে। তবে সাম্প্রতিক বাঁকুড়া জেলা আদালত, একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজ্যের সামনে। যখন গোটা রাজ্যের মানুষের একটাই দাবি “বিচার চাই বিচার চাই” সেই সময়বাঁকুড়া জেলা আদালত এক মাসের মধ্যে চারটি মামলার শুনানি দিয়েছে।
এক মাসের মধ্যে চারটি শুনানি কম কথা নয়! যারা নিয়মিত আদালত চত্বরে যাতায়াত করেন তারা এই বিষয়টি জানেন। অভিজ্ঞ সরকারি আইনজীবী অরুন কুমার চ্যাটার্জী তাঁদেরই একজন। অরুণ চ্যাটার্জী বলেন, “বিচারে আসামিদের সংবিধান অনুযায়ী অনেকটাই সুযোগ দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে এবং সেই কারণেই বিচার ব্যবস্থা একটু সময় সাপেক্ষ। তবুও এক মাসে চারটে শুনানি হয়েছে এবং আরও হবে। নতুন বিচারকএকের পর এক জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তি করছেন।”
আরও পড়ুন : ২৮ বছর পর মঞ্চস্থ হল ‘ধর্মযুদ্ধ’, বাঁকুড়ায় যাত্রাপালা দেখতে উৎসুক দর্শকদের ভিড় নজরকাড়া
যে চারটি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে তার মধ্যে সাম্প্রতিক দুটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে অভিযুক্ত আসামিদের। মাত্র ১৬ দিনের কন্যা সন্তানকে কুয়োর ফেলে দিয়েছিলেন সেই অভিযোগে অসীনাথ সরেন নামে এক ‘গুণধর’ বাবার তিন বছর পর যাবজ্জীবন হয় আগষ্ট মাসে। এছাড়াওস্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার অন্তর্গত বড়শাল গ্রামের জপহরি বাউড়ির শুক্রবার যাবজ্জীবন দেয় বাঁকুড়া জেলা আদালত। দুটি মামলার শুনানি হয় ঠিক তিন বছরের মাথায়। যদিও মামলাকারী এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম সাজা আরও আগে হোক। এক মাসে চারটে বিচার নয়। আরও দ্রুত রায় ঘোষণা করতে হবে।”
আরও পড়ুন : অকালে শেষ স্বপ্ন! রাজ্য স্তরের খেলোয়াড় পেটের দায়ে এখন পরিযায়ী শ্রমিক
শনিবার আগষ্ট মাসের শেষ দিন। বিগত ৩০ দিনে চারটি মামলার আপেক্ষিক দ্রুত রায় ঘোষণা করে বেশ কিছু মহলে প্রসংশা কুড়িয়েছে বাঁকুড়া জেলার আদালত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে সাধারণ মানুষ আরও দ্রুততার আশা রাখছেন ভবিষ্যতে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী