মুকুট বানাচ্ছেন দেবজ্যোতি 

এত বড় দেবী দুর্গার মুকুট! হাতে বানিয়ে জেলায় সাড়া ফেলে দিলেন এই শিল্পী

দক্ষিণ দিনাজপুর : বিদেশের মাটিতে গহনা যাওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুরের শারদ উৎসবে দেবীর সাজের বৈচিত্র্য আনতে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা মুকুট বানিয়ে সারা ফেললেন শিল্পী দেবজ্যোতি মোহরা।

চিরাচরিত ডাকের সাজের প্রচলন বাড়ছে দুর্গা প্রতিমায়। যার সাবেকিয়ানার জুড়ি মেলা ভার। বালুরঘাটের এই শিল্পী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিগ বাজেট পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম কচিকলা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমায় সবচেয়ে বড় অলংকার তৈরি করছেন।

মুকুটের মাপ সাড়ে ছয় ফুট, মালা ছয় ফুট, আঁচল আট ফুট। প্রাকৃতিক সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠাকুরের গহনা। আর এই গহনা দেখতে ইতিমধ্যেই আশপাশের প্রতিবেশী সহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ দেবজ্যোতির বাড়িতে প্রতিদিনই ভিড় করতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন- কৃতি শ্যানন হবেন ধোনির পরিবারের বউ, আবার বলিউডের সঙ্গে মিশে গেল ক্রিকেট!

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র প্রতিমা নির্মাণ, মণ্ডপসজ্জা নয় শারদীয়ার অন্যতম আকর্ষণ দেবীর অলঙ্কার। তাই পুজোর কিছুমাস আগে থেকেই ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রখ্যাত হস্ত শিল্পী দেবজ্যোতি মোহরার হাতে তৈরি দুর্গা প্রতিমার সাজ শুধুমাত্র জেলা বা রাজ্য নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে।

এবার জেলার মধ্যেই দেবীর বৃহত্তম অলংকার বানিয়েছন তিনি। আর তাতেই শোলা থেকে জরি, পুঁথি সহ প্রাকৃতিক সরঞ্জামের সাজে দেবী মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে উঠবেন। গোলার চিক, সাত লহরির নেকলেস, চুড়ি, নথ, মাথার মুকুট সহ তৈরি হচ্ছে রকমারি সাজের অলংকার।

ওঁদের গয়না পরেই সাজবেন দেবী দুর্গা। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে গয়না তৈরির কাজ করছেন বালুরঘাটের শিল্পী দেবজ্যোতি। তবে সে একাই নয় তাঁর এই কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে এসেছে শহরের আরও পড়ুয়ারা। তাঁরা সকলে মিলে তৈরি করছেন মায়ের গয়না। তাতে তাঁরাও স্বনির্ভর হচ্ছেন।

জানা গেছে, দেবজ্যোতি বাবু দীর্ঘদিন ধরেই পড়াশুনোর পাশাপাশি প্রতিমার গহনা তৈরির কাজ করছেন। বর্তমানে জেলার দূরদূরান্ত থেকে তাঁর কাছে কাজ শিখতে আসেন সাধারণ মানুষ। তবে, শুধুমাত্র পুজোর সময় নয় সারা বছরই তিনি এই গহনার কাজ করে থাকেন।

সুস্মিতা গোস্বামী