আবর্জনা তোলার সময় বিস্ফোরণ! রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ২ সাফাইকর্মী...আতঙ্ক হাওড়ায়!

Bardhaman News: শ্যালকের স্ত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল জামাই, রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে রক্তারক্তি!

বর্ধমান: শালকের স্ত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল জামাই, কিন্তু রাজি হয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই কারণেই পেট্রোল ঢেলে শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল জামাই। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জামাই রমজান সেখ-সহ আরও ৩জনের। মৃতদের নাম রমজান সেখ, কুবরা বিবি, তাহিরা বিবি  ও তৌফিক সেথ। গুরুতর আহত হয় আরও ৫।

শুক্রবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সাগরদিঘির বাহালনগর এলাকায়।কোরিয়া জামাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রমজান সেখের সঙ্গে বাহালনগরের বাসিন্দা কোহিনুর বিবির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রমজান সেখ কোহিনুর বিবিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। সেইকারনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে কোহিনূর। যদিও অভিযোগ কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয়েছে কোহিনুর বিবিকে।

এরপর শ্যালকের স্ত্রী তাহেরা বিবিকে বিয়ে করার জন্য রমজান সেখ শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রায়ই অশান্তি করত বলে অভিযোগ। তাহেরা বিবিকে ফোন করে উত্যক্ত করত বলেও অভিযোগ। এছাড়াও টাকা পয়সা নিয়েও শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে এসে তাহেরা বিবিকে বিয়ে করার জন্য অশান্তি শুরু করে রমজান সেখ। আর তখনই শ্বশুরবাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় রমজান।

বাড়িতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরনের বিকট আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। আর তখনই নিজে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মোটরবাইকে করে হাসপাতালে পালিয়ে আসে রমজান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই মৃত্যু হয় রমজান সেখের। প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাড়ি থেকে সকলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানেই তৌফিক সেখ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে রমজান সেখ সহ আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।

সাগরদিঘি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। আহত প্রতিবেশী রাজু ফুলমালী বলেন, অনেকক্ষণ ধরে ওই বাড়িতে অশান্তি চলছিল শুনে আমি থামানোর জন্য যাচ্ছিলাম। বাড়িতে ঢুকতেই হঠাৎই একটা বিকট আওয়াজে আগুনের ঝলকানি ছুটে আসে। কোনও রকমে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসি। প্রতিবেশী সাদেমাল সেখ, বাড়ির বউকে বিয়ে করার জন্য জামাই রমজান সেখ মাঝেমধ্যেই বাড়িতে এসে অশান্তি করত। এদিনও অশান্তি চলছিল তখনই ও কিছু একটা তরল দাহ্য পদার্থ দিয়ে গোটা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। একটা বিকট আওয়াজ শুনে আমরা ছুটে এসে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।