রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ তিমির রহস্যমৃত্যু! দেহ ভেসে উঠল নরওয়ের সমুদ্রে, বাড়ছে জল্পনা

নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালে প্রথমবার তার কথা জেনেছিল গোটা বিশ্ব। সেই হলদিমির নামে ‘গুপ্তচর’ তিমির দেহ উদ্ধার হল নরওয়ের উপকূলে। এখনও পরিষ্কার নয় কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এই তিমির দৈর্ঘ্য ১৪ ফিট। ওজন ১২০০ কেজি।

বেলুগা প্রজাতির হলদিমির নামের এই তিমি প্রথমে প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় থেকে মনে করা হয়, এটি রুশ নৌবাহিনীর একটি গুপ্তচর তিমি। কারণ তিমিটির গলায় মানুষের তৈরি বর্ম লাগানো ছিল।

আরও পড়ুন- কোন দেশের ক্যালেন্ডারে ১ বছরে ১৩ টা মাস? এখনও চলছে ২০১৭! জানেনই না ৯৯% মানুষ

২০১৯ সালে নরওয়ের মৎস্য বিভাগ তিমিটিকে ধরে ফেলেছিল। তার গায়ে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়। তিমির গায়ে লাগানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।’ ওই সময় নরওয়ের মৎস্য বিভাগ জানিয়েছিল, সেটি হয়তো খাঁচা থেকে পালিয়ে গেছে। দাবি করা হয়, রাশিয়ার নৌ বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে সেটিকে। কারণ তিমিটি মানুষের কাছাকাছি চলে আসছিল। রাশিয়া এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করায় রহস্য আরও ঘনীভূত হতে থাকে। নরওয়ের ‘হল’ এবং রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’-এই দুই শব্দ এক সঙ্গে করে তিমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হলদিমির’। এটি একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি। এ ধরনের তিমি সুমেরু অঞ্চলের সমুদ্রেই দেখা যায়। কিন্তু হলদিমির কী করে মানুষের কাছাকাছি এল, তা এক রহস্য।

আরও পড়ুন- মহাসাগরের অতলে লুকিয়ে নিখোঁজ বিমান MH370? ১০ বছর পর মিলল সন্ধান? দাবি বিজ্ঞানীর