কলকাতা থেকে অমৃতসরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এক্সপ্রেস ট্রেন৷ কিন্তু মাঝরাস্তায় পথ হারাল সে৷ শেষ পর্যন্ত চালকের যখন হুঁশ ফিরল, ততক্ষণে আধ ঘণ্টা ভুল পথে চলে গিয়েছে ট্রেন৷

ট্রেন লেট হয়, তাই বলে সাড়ে তিন বছর! ভারতীয় রেলের ‘লজ্জা’, অনেকেই জানেন না

গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। একের পর এক দুর্ঘটনা রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার উপর ট্রেন লেট করার ব্যাপারটিও যাত্রীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল। একের পর এক দুর্ঘটনা রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার উপর ট্রেন লেট করার ব্যাপারটিও যাত্রীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় রেলে ট্রেন লেট হওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু তাই বলে সাড়ে তিন বছর লেট! এমনটাও হয় নাকি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!
ভারতীয় রেলে ট্রেন লেট হওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু তাই বলে সাড়ে তিন বছর লেট! এমনটাও হয় নাকি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!
২০১৪ সালের ঘটনা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে উত্তরপ্রদেশের বাস্তি যাওয়ার কথা ছিল পণ্যবাহী ট্রেনের। সেই ট্রেন লেট করেছিল সাড়ে তিন বছর। ভারতীয় রেলের লজ্জা এই ঘটনা।
২০১৪ সালের ঘটনা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে উত্তরপ্রদেশের বাস্তি যাওয়ার কথা ছিল পণ্যবাহী ট্রেনের। সেই ট্রেন লেট করেছিল সাড়ে তিন বছর। ভারতীয় রেলের লজ্জা এই ঘটনা।
বিশাখাপত্তনম থেকে বাস্তির দূরত্ব ১৪০০ কিমি। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির সময় লাগার কথা ছিল ৪২ ঘণ্টা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে ট্রেনটি রওনা দিয়েছিল।
বিশাখাপত্তনম থেকে বাস্তির দূরত্ব ১৪০০ কিমি। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির সময় লাগার কথা ছিল ৪২ ঘণ্টা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে ট্রেনটি রওনা দিয়েছিল।
১৩১৬ বস্তা সার নিয়ে রওনা দিয়েছিল সেই ট্রেন। সারের মোট দাম ছিল প্রায় ১৪ লাখ টাকা।  রামচন্দ্র গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী সারের বস্তা পাঠানোর জন্য ট্রেন ভাড়া করেছিলেন।
১৩১৬ বস্তা সার নিয়ে রওনা দিয়েছিল সেই ট্রেন। সারের মোট দাম ছিল প্রায় ১৪ লাখ টাকা। রামচন্দ্র গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী সারের বস্তা পাঠানোর জন্য ট্রেন ভাড়া করেছিলেন।
ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে গন্থব্য স্টেশনে পৌঁছয়নি দেখে রেলের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই ব্যবসায়ী। একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সেই ট্রেনের কোনও চিহ্ন খুঁজে পায়নি রেল।
ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে গন্থব্য স্টেশনে পৌঁছয়নি দেখে রেলের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই ব্যবসায়ী। একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সেই ট্রেনের কোনও চিহ্ন খুঁজে পায়নি রেল।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে শেষ পর্যন্ত বাস্তি স্টেশনে পৌঁছয় সেই ট্রেন। তদন্ত হয়। তবে ট্রেন এত লেট হওয়ার কোনও কারণ আজ পর্যন্ত রেল জানাতে পারেনি।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে শেষ পর্যন্ত বাস্তি স্টেশনে পৌঁছয় সেই ট্রেন। তদন্ত হয়। তবে ট্রেন এত লেট হওয়ার কোনও কারণ আজ পর্যন্ত রেল জানাতে পারেনি। ট্রেনে থাকা সমস্ত সার ততদিনে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।