আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তার তরুণীর ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পর থেকেই কলকাতার পুলিশের 'মুখ' হয়ে উঠেছেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়।

IPS Indira Mukherjee: আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই কলকাতা পুলিশের ‘মুখ’ ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, MNC-র চাকরি ছাড়া এই IPS-এর পরিচয় জানেন?

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তার তরুণীর ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পর থেকেই কলকাতার পুলিশের 'মুখ' হয়ে উঠেছেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তার তরুণীর ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পর থেকেই কলকাতার পুলিশের ‘মুখ’ হয়ে উঠেছেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়।
প্রায় রোজই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সিবিআইয়ের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার যাওয়ার আগে পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ তদন্ত চালিয়েছে এই ঘটনার। তারপর থেকে পুলিশের হয়ে যে কোনও ঘটনা নিয়ে মিডিয়ার সামনে জবাবদিহি করছেন তিনি।
প্রায় রোজই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সিবিআইয়ের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার যাওয়ার আগে পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ তদন্ত চালিয়েছে এই ঘটনার। তারপর থেকে পুলিশের হয়ে যে কোনও ঘটনা নিয়ে মিডিয়ার সামনে জবাবদিহি করছেন তিনি।
বাঙালি এই আইপিএস সাড়া ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। মিডিয়ার চোখা চোখা প্রশ্নবাণ থেকে নবান্ন অভিযানে রাস্তার নেমে লড়াই-- সবেতেই নজর কেড়েছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়। শুনতে হচ্ছে নানা তীর্যক সমালোচনাও। আপনি কি জানেন কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন ইন্দিরা? তাঁর কর্মজীবন?
বাঙালি এই আইপিএস সাড়া ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। মিডিয়ার চোখা চোখা প্রশ্নবাণ থেকে নবান্ন অভিযানে রাস্তার নেমে লড়াই– সবেতেই নজর কেড়েছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়। শুনতে হচ্ছে নানা তীর্যক সমালোচনাও। আপনি কি জানেন কোথা থেকে পড়াশোনা করেছেন ইন্দিরা? তাঁর কর্মজীবন?
১৯৮৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্ম ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়ের। স্কুলজীবনে ভুটান ও কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন ইন্দিরা। পুলিশের উচ্চপদে থাকা ইন্দিরা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনা করেছেন তিনি।
১৯৮৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্ম ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়ের। স্কুলজীবনে ভুটান ও কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন ইন্দিরা। পুলিশের উচ্চপদে থাকা ইন্দিরা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনা করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ইন্দিরার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাও অর্জন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইউপিএসসি-তে তাঁর অপশনাল বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ইন্দিরার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাও অর্জন করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইউপিএসসি-তে তাঁর অপশনাল বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস।
কেরিয়ারের শুরুতে তথ্য প্রযুক্তি কর্মী ছিলেন তিনি। চাকরি করতেন টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস বা টিসিএস (TCS)-এ। ২০০৮ সালে যখন রিসেশনের মধ্যে বহু তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর চাকরি যায়, তখন তিনি চাকরির নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরপর ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ও পরীক্ষা দেন। ২০১৩ সালে পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।
কেরিয়ারের শুরুতে তথ্য প্রযুক্তি কর্মী ছিলেন তিনি। চাকরি করতেন টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস বা টিসিএস (TCS)-এ। ২০০৮ সালে যখন রিসেশনের মধ্যে বহু তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর চাকরি যায়, তখন তিনি চাকরির নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এরপর ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ও পরীক্ষা দেন। ২০১৩ সালে পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।
আইপিএস ইন্দিরা ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। রাজ্যের একাধিক জেলায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
আইপিএস ইন্দিরা ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। রাজ্যের একাধিক জেলায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
পরবর্তীতে ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর দুই জেলাতেই পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি পদে ছিলেন। বর্তমানে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল পদে।
পরবর্তীতে ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর দুই জেলাতেই পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি পদে ছিলেন। বর্তমানে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল পদে।
২০১৭ সালে সংবাদ শিরোনামে আসেন তিনি। তখন তিনি উত্তর দিনাজপুরে এএসপি পদে কর্মরত। রায়গঞ্জের ওপর দিয়ে একদিন কাজ সেরে ফিরছিলেন কর্ণজোড়ার বাংলোতে। ফেরার সময় তিনি দেখতে পান, এক মহিলা রাস্তার ওপর একা বসে আছেন। ফেব্রুয়ারি মাস, তখনও বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া। তার মধ্যে এভাবে একজন মহিলাকে দেখতে পেয়ে চমকে যান ইন্দিরা।
২০১৭ সালে সংবাদ শিরোনামে আসেন তিনি। তখন তিনি উত্তর দিনাজপুরে এএসপি পদে কর্মরত। রায়গঞ্জের ওপর দিয়ে একদিন কাজ সেরে ফিরছিলেন কর্ণজোড়ার বাংলোতে। ফেরার সময় তিনি দেখতে পান, এক মহিলা রাস্তার ওপর একা বসে আছেন। ফেব্রুয়ারি মাস, তখনও বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া। তার মধ্যে এভাবে একজন মহিলাকে দেখতে পেয়ে চমকে যান ইন্দিরা।
তিনি সাইকেল থেকে নেমে মহিলার কাছে যান। গিয়ে দেখেন ওই মহিলার শ্বাসনালি কাটা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেই তিনি যোগাযোগ করেন হাসপাতালে। মহিলাকে দ্রুত নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
তিনি সাইকেল থেকে নেমে মহিলার কাছে যান। গিয়ে দেখেন ওই মহিলার শ্বাসনালি কাটা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেই তিনি যোগাযোগ করেন হাসপাতালে। মহিলাকে দ্রুত নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
পরে জানা যায়, ওই মহিলাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ওই মহিলাকে ঠিক সময়ে তিনি হাসপাতালে নিয়ে না গেলে বাঁচানোই অসম্ভব হত। তারপর থেকে ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়কে 'ঈশ্বরতুল্য' বলে সম্মান করেন  রায়গঞ্জের মানুষ।
পরে জানা যায়, ওই মহিলাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ওই মহিলাকে ঠিক সময়ে তিনি হাসপাতালে নিয়ে না গেলে বাঁচানোই অসম্ভব হত। তারপর থেকে ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়কে ‘ঈশ্বরতুল্য’ বলে সম্মান করেন রায়গঞ্জের মানুষ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতেন ইন্দিরা। কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে, সেটা নিজেই ভেবে বের করতেন তিনি। তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতেন। এভাবেই একজন দক্ষ আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠার আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতেন ইন্দিরা। কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে, সেটা নিজেই ভেবে বের করতেন তিনি। তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতেন। এভাবেই একজন দক্ষ আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠার আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন তিনি।
রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। রাজভবনের ওই মহিলা অস্থায়ী কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। সেই সময় এক বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির দায়িত্বে রাখা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে।
রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। রাজভবনের ওই মহিলা অস্থায়ী কর্মী হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। সেই সময় এক বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির দায়িত্বে রাখা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে।
সম্প্রতি পুরস্কৃত হন আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে চারজন আইপিএস অফিসারকে পুলিশ মেডেলের জন্য বেছে নেওয়া হয়। কর্মদক্ষতার জন্য সেই তালিকায় জায়গা পান ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
সম্প্রতি পুরস্কৃত হন আইপিএস ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে চারজন আইপিএস অফিসারকে পুলিশ মেডেলের জন্য বেছে নেওয়া হয়। কর্মদক্ষতার জন্য সেই তালিকায় জায়গা পান ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।