বিয়ের পর বিদায়ের মুহূর্ত আসন্ন। আর এই সময়টায় স্বাভাবিক ভাবেই মেয়ের পরিবারের সকলের চোখ জলে ভিজে আসে। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিদায়ের মুহূর্তে হাপুস নয়নে কাঁদছেন কনে। এহেন দৃশ্য দেখে সকলের চোখেই জল আসতে বাধ্য। কিন্তু আচমকাই বিষয়টা অন্যদিকে ঘুরে যায়। কনের বিদায়ের মুহূর্ত ঘিরে তৈরি হয় এক মজার মুহূর্ত। ফলে হাসির রোল উঠেছে সেখানে।
আরও পড়ুন– রাশিফল সেপ্টেম্বর ২০২৪: দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
আসলে ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, গাড়িতে বসে অঝোরে কাঁদছেন এক নববধূ। বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত তাঁর পরিবারো। অথচ বাড়ির মেয়ের বিদায়ে কিন্তু এতটুকু কাঁদছেন না পরিবারের সদস্যরা। বরং তাঁদের হাসির শব্দ শোনা গিয়েছে। আসলে নববধূ কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠতে থাকেন ‘চিন তপক দমদম’, ‘বদোবতী বদোবতী’ এবং ‘কাঁচা বাদাম কাঁচা বাদাম’। এগুলো আসলে বেশ ট্রেন্ডিং মিম কন্টেন্ট। এরপর তাঁকে গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে পারেন আত্মীয়রা। কিন্তু এবার নববধূর কান্না বদলে যায় হাসিতে। গাড়ির দরজা বন্ধ করে হাসিতে ফেটে পড়েন তিনি। ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে যে, তিনি শুধুই কান্নার ভান করছিলেন।
তবে এই ভিডিওটি সত্যিকারের বিয়ের না কি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, সেই সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি News 18 Hindi। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-য় যাঁকে দেখা গিয়েছে, তাঁর নাম রাখি লোহচাব। পেশায় তিনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। রাখি আসলে হামেশাই এই ধরনের বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করেন। ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার ৬ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি। রাখির এই ভিডিওটিও সকলেই বেশ পছন্দ করেছেন। ভিডিও-র উপর তিনি লিখেছেন, ‘জেন Z দুলহন’।
View this post on Instagram
কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর এই ভিডিওটির ভিউ ৪ কোটি ৬৮ লক্ষ পার করেছে। একই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর এই ভিডিওটিকে লাইক এবং শেয়ার করেছেন। প্রচুর মন্তব্যও জমা হয়েছে কমেন্ট বাক্সে। ভিডিওটিতে মন্তব্য করেছেন ত্রিলোকি নামের এক নেটিজেন। তিনি লিখেছেন, “লেহেঙ্গাটি দেখে মনে হচ্ছে ২০১০ সালের। এমতাবস্থায় কান্নাকাটি করাটাই স্বাভাবিক। এটা তো প্রতারণা।”
বীরেন্দ্র নামের এক ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, “আপনি কি ইউটিউব থেকে ৭ দিনে বিয়েতে কান্নাকাটি করার কোর্স করেছেন?” অন্য একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এসব করবেন না। সেখানে যান এবং সাঁড়াশি আর বাসন ব্যবহার করুন।” আবার সুনীল নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আচমকাই নিজের রূপ বদলে ফেললেন এই নারী।”