দম্পতি

Bankura News: ইচ্ছে ও জেদ একমাত্র সম্বল! বাঁকুড়ার এই দম্পতির জীবন সংগ্রাম জানলে অবাক হবেন

বাঁকুড়া: ইচ্ছে, জেদ ও পরিশ্রম থাকলে যাবতীয় প্রতিকুলতাকেই জয় করা যায়। তা ফের প্রমাণ করে দেখালেন বাঁকুড়ার এই মূক ও বধির দম্পতি। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মায়েস দেখাশোনা, সংসার চালাতে ও নিজেদের কন্যা সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে তুলতে দিন-রাত এক করে সেলাইয়ের কাজ করেন এই দম্পত্তি। ইশারাতেই ফুটিয়ে তোলেন নিজেদের মনের ভাব।

বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন জুনবেদিয়ার জ্ঞানেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা দীপক কুমার বটব্যাল এবং ঝুমা বটব্যাল জন্মগতভাবেই কথা বলতে বা শুনতে পাননা। দীপক কুমার বটব্যালের বছর ৮০ এর বাবা ষষ্ঠী চরণ বটব্যাল জানান, নানান প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ছেলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরে সংসারের হাল ধরতে কাপড় সেলাই করে থাকেন এবং সেই কাপড় ব্যাগে ভরে শহরে গিয়ে দিয়েও আসেন ছেলে দীপক কুমার বটব্যাল।

অপরদিকে ঝুমা বটব্যালের অক্ষর জ্ঞান না থাকলেও অদম্য লড়াই করার ইচ্ছা রয়েছে। একজন সাধারণভাবে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ গৃহবধূ যেভাবে সংসারের সব কাজ সামলে নেন, ঠিক একই ভাবে দশভুজার মতই বাড়ির রান্না-বান্না এবং নিজের কন্যার সব কাজ সামলে করে থাকেন সেলাই এর কাজ। নিজের স্বামীকে সাহায্য করা থেকে শুরু করে পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা, কোনও কিছুতেই খামতি নেই তার। বৃদ্ধ শশুর, স্বামী এবং কন্যার সঙ্গে ইশারাতেই চলে নিস্তব্ধ বাক্যালাপ এবং হাসি-কান্না।

আরও পডুনঃ মিডল অর্ডার নিয়ে বাড়ছে চিন্তা! ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন তারকা ব্যাটার? জানুন বিস্তারিত

কথায় আছে “মানুষ মানুষেরই জন্যে”। কথাটির সার্থকতা যেন এই দম্পতিকে দেখলেই বোঝা যায়। মূক ও বধির হওয়া সত্ত্বেও কোনও অজুহাত ছাড়াও সংসারের হাল ধরেছেন দুজনেই। তাদের লড়াই অনেকের কাছেই শিক্ষণীয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী