রান্না করছেন মহিলারা 

East Bardhaman News: রন্ধনে সাবেকিয়ানা, বিশেষ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল বর্ধমান শহরে 

পূর্ব বর্ধমান : বর্ধমান শহরে আয়োজিত হল এক অভিনব প্রতিযোগিতা। যেখানে সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ। এহেন উদ্যোগে উৎসাহিত অংশগ্রহণকারী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। বর্ধমান শহরে আয়োজন করা হয়েছিল রান্নার প্রতিযোগিতা। বর্ধমান শহরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল পুরানো দিনের রান্না। রন্ধনে সাবেকিয়ানা শীর্ষক এই প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্যোক্তা বর্ধমান সহযোদ্ধা নামক একটি সংগঠন। তাদের উদ্যোগে এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহযোগিতায় রবিবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

এই দিনের এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমান শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। কিন্তু কেন হঠাৎ এহেন উদ্যোগ? এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা সংগঠন বর্ধমান সহযোদ্ধার সভাপতি জগন্নাথ ভৌমিক জানিয়েছেন, বর্ধমান সহযোদ্ধা বিগত পাঁচ বছর ধরেই সাবেকিয়ানার সন্ধানে নামক একটি প্রতিযোগিতা করে আসছে। এবছর রন্ধনে সাবেকিয়ানা প্রথম সংযোজিত হয়েছে। বাঙালির যে সংস্কৃতি, পুরানো দিনের অনেক রান্না বর্তমানে বিলুপ্ত হতে বসেছে। তাই সাবেকিয়ানার রান্নাকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই ধরনের ভাবনা-চিন্তা রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : লকডাউনে কাজ হারিয়ে অনাহারে দিন কেটেছে, তাও হার মানেননি বৃদ্ধ দম্পতি, সংসার চালাতে দ্বিতীয় ইনিংসে পা

জানা গিয়েছে, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে ক্রমে হারিয়ে যেতে বসা বাঙালি রান্নাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার বার্তা দিতেই এই প্রয়াস। বর্ধমান শহরের মধ্যে এই ধরনের রান্নার প্রতিযোগিতা এই প্রথম বলেও মত উদ্যোক্তাদের। এদিন প্রতিযোগীদের মধ্যে কিছুজনকে মাটির পাত্রেও রান্না করতে দেখা যায়। এই রান্নার প্রতিযোগিতাটিকে ঘিরে প্রতিযোগীদের মধ্যেও উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। বর্ধমান শহরের বাসিন্দা তথা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কাকলী চ্যাটার্জী জানিয়েছেন,”সত্যিই এটা একটা অভিনব উদ্যোগ। আমাদের ভীষণ ভালো লাগছে, আমরাও ভীষণ উৎসাহিত। পুরানো যে আবার নতুন হয়ে ফিরে আসছে এটাই সবথেকে ভালো লাগছে।”

আরও পড়ুন : সারাদিন টেনশন, দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? এই ৩ টি যোগাসন করলে দুশ্চিন্তা দূর হবে নিমেষে

প্রায় ৫৪ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে রান্না করার জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছিল।সেরা রান্না নির্বাচনের জন্য ছিলেন বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় স্থানাধিকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল। পনির দিয়ে পটলের দোরমা, কুমড়ো পাতা দিয়ে ডালের বড়ার ঝাল, ব্যাসনের বড়ার টক, ঠাকুরবাড়ির নিরামিষ কাঁচকলা, বেগুনের টক মিষ্টি ঝাল সহ আরও বিভিন্ন রান্না করেছিলেন প্রতিযোগীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

বাঙালির নিজস্বতাকে বজায় রাখার লক্ষ্যে বর্ধমান সহযোদ্ধার এহেন উদ্যোগ মন কেড়েছে প্রতিযোগী থেকে স্থানীয় মানুষ সকলেরই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী