লখনউ: উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচে নেকড়ে আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। নেকড়ে ধরতে এবার এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করল বন দফতর। বিভিন্ন রঙের পুতুলে শিশুদের মুত্র মিশিয়ে তা নেকড়ে ধরার টোপ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন এক অভিজ্ঞ বন দফতরের আধিকারিক।
প্রায় এক মাস ধরে বাহারাইচ অঞ্চলে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেকড়ের দল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ‘মানুষখেকো’ এই নেকড়ের দল মূলত শিশু এবং গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন এই নেকড়ে ধরতে ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ শুরু করেছে। ধরা পড়েছে মোট ৪টি নেকড়ে। এবারে বাকি দুটি নেকড়ে ধরতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। বন দফতর সুত্রে খবর, উজ্জ্বল রঙের পুতুল নকল ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
তারপর সেই পুতুলগুলিকে নদীর ধারে পরিকল্পনা মাফিক রেখে দেওয়া হবে। মূলত নেকড়েদের গুহার কাছাকাছি পুতুলগুলি রেখে দেওয়া হবে। পুতুলগুলিতে মেশানো হবে শিশুদের মূত্র। ফলে মানুষের প্রাকৃতিক গন্ধ পেয়ে নেকড়েরা আকৃষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের একাংশ, মৃত ২০, বহু ট্রেন বাতিল
এই প্রসঙ্গে বন দফতরের আধিকারিক অজিত প্রতাপ সিং বলেন, “নেকড়েরা খুব দ্রুত জায়গা পরিবর্তন করছেন। মূলত, তাঁরা রাতেই শিকার করতে বেরোয় এবং সকালে নিজেদের গুহায় ফিরে যায়। আমাদের পরিকল্পনা হল তাঁদের বসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া তারপর টোপের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা।”
আরও এক বনাধিকারিক রমেশ কুমার পাণ্ডে জানান, ব্রিটিশ আমলেও এই অঞ্চলে নেকড়ের দাপট ছিল। এক সময়ে নেকড়ে মারার জন্য ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে পুরস্কারের ব্যবস্থাও ছিল।
কিন্তু, বন দফতরের এই অভিনব টোপ দিয়ে নেকড়ে ধরার পরিকল্পনা প্রমাণিত কার্যকরী পদ্ধতি নয় বলেও জানিয়েছে বন দফতর। তবে তাঁরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতিও অবলম্বন করতে চান বলে জানিয়েছেন।
গত ১৭ জুলাই থেকে একের পর নেকড়ের হামলায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তররপ্রদেশের এই অঞ্চলে। এখনও পর্যন্ত ছয় শিশু সহ মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০। তাই যত শীঘ্র বাকি দুই নেকড়েকে ধরতে চাইছে প্রশাসন।