ঘুমের রেশ কাটাতেও এর জুড়ি নেই

Drinking Tea Advantages & Disadvantages: দিনে ঘনঘন চা খান? রোগ ডেকে আনছেন নিজেই! ‘এই’ সময় চা পানের জন্য আদর্শ, সুহজমও হয়

ভারতে চা শুধু একটা পানীয় নয়, আবেগের অপর নাম। কত বাগধারা, প্রবাদ এমনকী গানও বাঁধা হয়েছে এই নিয়ে। বাড়িতে অতিথি এলেও প্রথমে এক কাপ চা দিয়েই আপ্যায়ন করা হয়। তারপর মিষ্টিমুখ। কিন্তু চা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা?

সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে চাই এক কাপ চা। না হলে দিন শুরুই হবে না। আবার ঘুমের রেশ কাটাতেও এর জুড়ি নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা পানের আদর্শ সময় হল বিকালবেলা। এই সময় চা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

লালা রাজপত রাই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আরসি গুপ্তা লোকাল 18-কে বলেন, একমাত্র বিকালেই চা খাওয়া উচিত। কারণ অন্য সময় চায়ে উপস্থিত ক্যাফেইন এবং ট্যানিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

খালি পেটে চা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিছু খাবার পরও চা খেতে বারণ করা হয়। একমাত্র বিকালেই হার্বাল বা গ্রিন টি খাওয়া চলে। এতে ক্যাফেইন কম থাকে। ফলে হজম ভাল হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

আরও পড়ুন : এ বছর বিশ্বকর্মা পুজো কবে? প্রতি বারের মতো বাঁধাধরা দিন নয়? চমকে যাবেন পুজোর দিনক্ষণ জানলে!

চা-ও এক ধরনের নেশা। ক্যাফেইনের কারণেই একে নেশা জাতীয় দ্রব্য মনে করা হয়। তাই না খাওয়াই উচিত। তবে চা ছাড়া যাদের চলে না, তাঁদের একদম বন্ধ করার দরকার নেই। ডাঃ আরসি গুপ্তা বলছেন, সীমিত ও সুষম পরিমাণে চা পান করলে কোনও ক্ষতি হয় না। এক্ষেত্রে সকাল বা সন্ধ্যায় এক কাপ চা পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্য সময় ত্যাগ করাই ভাল।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ে উপস্থিত ক্যাফেইন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে কর্টিসোল হরমোন ক্ষরণের হার বেড়ে যেতে পারে। কর্টিসোল হল স্ট্রেস হরমোন। এই হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সামান্য সংক্রমণেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর।

অতিরিক্ত চা পান হজমে প্রভাব ফেলে। হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। চায়ে উপস্থিত ট্যানিন আয়রনে শোষণের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য। আয়রনের ঘাটতি হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।