রাত হলেই ভয়ে কাঁপত এলাকার মানুষ। এই বুঝি কাউকে তুলে নিয়ে গেল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শান্ত করতে মা বলতেন, “চুপ কর, নাহলে নেকড়ে চলে আসবে।’’ এমন বিভীষিকার মধ্যে কাটে কয়েক বছর। সব স্বাভাবিকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কুড়ি বছর পর ফের নরখাদক নেকড়ের আতঙ্কে কাঁপছে ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন তরাই ভূমি।বলরামপুরের সোহেলওয়া বন্যপ্রাণী এলাকা সংলগ্ন ১২৫টি গ্রাম রয়েছে। Representational Image

‘চুপ কর, নাহলে নেকড়ে চলে আসবে’, ২০ বছর পর ফের নরখাদকের আতঙ্কে কাঁপছে এই অঞ্চল

রাত হলেই ভয়ে কাঁপত এলাকার মানুষ। এই বুঝি কাউকে তুলে নিয়ে গেল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শান্ত করতে মা বলতেন, “চুপ কর, নাহলে নেকড়ে চলে আসবে।’’ এমন বিভীষিকার মধ্যে কাটে কয়েক বছর। সব স্বাভাবিকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কুড়ি বছর পর ফের নরখাদক নেকড়ের আতঙ্কে কাঁপছে ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন তরাই ভূমি।বলরামপুরের সোহেলওয়া বন্যপ্রাণী এলাকা সংলগ্ন ১২৫টি গ্রাম রয়েছে। Representational Image
রাত হলেই ভয়ে কাঁপত এলাকার মানুষ। এই বুঝি কাউকে তুলে নিয়ে গেল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শান্ত করতে মা বলতেন, “চুপ কর, নাহলে নেকড়ে চলে আসবে।’’ এমন বিভীষিকার মধ্যে কাটে কয়েক বছর। সব স্বাভাবিকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কুড়ি বছর পর ফের নরখাদক নেকড়ের আতঙ্কে কাঁপছে ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন তরাই ভূমি।বলরামপুরের সোহেলওয়া বন্যপ্রাণী এলাকা সংলগ্ন ১২৫টি গ্রাম রয়েছে। Representational Image
প্রায় আড়াই বছর ধরে এই গ্রামগুলোতে তাণ্ডব চলেছিল। ১৩০টির বেশি শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়ে। মৃত্যু হয়েছিল দেড় শতাধিক মানুষের। ১০টি শিশুর দেহ আজও উদ্ধার হয়নি। ২০০২ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত কাটে এভাবেই। তারপর স্বাভাবিক হয় এলাকা। Representational Image
প্রায় আড়াই বছর ধরে এই গ্রামগুলোতে তাণ্ডব চলেছিল। ১৩০টির বেশি শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়ে। মৃত্যু হয়েছিল দেড় শতাধিক মানুষের। ১০টি শিশুর দেহ আজও উদ্ধার হয়নি। ২০০২ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত কাটে এভাবেই। তারপর স্বাভাবিক হয় এলাকা। Representational Image
নেকড়ে মারতে শার্প শ্যুটার নিয়োগ করেছিল বন দফতর। দিনরাত চলত নজরদারি। ২০০৫ সালের জুন মাসে খুঁজে খুঁজে নরখাদক নেকড়ের পুরো দলকে হত্যা করে শ্যুটাররা। শান্তি ফেরে তরাই অঞ্চলে। বর্ষীয়াণ সাংবাদিক রাকেশ সিং বলেছিলেন, মানুষ আর বন্যপ্রাণীর মধ্যে এমন সংঘর্ষের গল্প পৃথিবীর আর কোথাও মিলবে না। Representational Image
নেকড়ে মারতে শার্প শ্যুটার নিয়োগ করেছিল বন দফতর। দিনরাত চলত নজরদারি। ২০০৫ সালের জুন মাসে খুঁজে খুঁজে নরখাদক নেকড়ের পুরো দলকে হত্যা করে শ্যুটাররা। শান্তি ফেরে তরাই অঞ্চলে। বর্ষীয়াণ সাংবাদিক রাকেশ সিং বলেছিলেন, মানুষ আর বন্যপ্রাণীর মধ্যে এমন সংঘর্ষের গল্প পৃথিবীর আর কোথাও মিলবে না। Representational Image
২০ বছর আগে গ্রামে বেশিরভাগই ছিল খড়ের ঘর। নেকড়েরা পাহাড়ি নালা এবং বালি জায়গায় সহজেই আস্তানা তৈরি করতে পারত। মহারাজগঞ্জ তরাই থানা এলাকার সুদর্শনজোট গ্রামের বাসিন্দা সুনিতা, ২০ বছরের পুরনো সেই ঘটনার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন। তাঁর কোল থেকে ৩ বছরের মেয়ে আশাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়েতে। ঘণ্টা খানেক পর তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় পাশের আখ ক্ষেত থেকে। এখন আবার নেকড়ের আনাগোনা শুরু হয়েছে গ্রামে। তাহলে কী ফের ২০ বছর আগের আতঙ্ক ফিরে আসবে তরাই এলাকায়? রুদ্ধশ্বাস প্রহর গুণছেন গ্রামবাসীরা। Representational Image
২০ বছর আগে গ্রামে বেশিরভাগই ছিল খড়ের ঘর। নেকড়েরা পাহাড়ি নালা এবং বালি জায়গায় সহজেই আস্তানা তৈরি করতে পারত। মহারাজগঞ্জ তরাই থানা এলাকার সুদর্শনজোট গ্রামের বাসিন্দা সুনিতা, ২০ বছরের পুরনো সেই ঘটনার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠেন। তাঁর কোল থেকে ৩ বছরের মেয়ে আশাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়েতে। ঘণ্টা খানেক পর তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় পাশের আখ ক্ষেত থেকে। এখন আবার নেকড়ের আনাগোনা শুরু হয়েছে গ্রামে। তাহলে কী ফের ২০ বছর আগের আতঙ্ক ফিরে আসবে তরাই এলাকায়? রুদ্ধশ্বাস প্রহর গুণছেন গ্রামবাসীরা। Representational Image