শুশুনিয়া পাহাড়

Durga Puja Travel Story: মন্ত্রমুগ্ধ করবে পাহাড়! পুজোর আগেই ভ্রমণবিলাসীদের জন্য দুর্দান্ত উপহার! সেজে উঠছে শুশুনিয়া

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত অঞ্চল শুশুনিয়া। শুশুনিয়া পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে শুশুনিয়া গ্রাম। এই গ্রামে প্রবেশ করার মুখ্য রাস্তা মনোরম করে তোলার জন্য আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে পুজোর ঠিক আগে সৌন্দর্যায়ন করার জন্য দেড় কিলোমিটার ব্যাপী রাস্তার দুই ধারে বসানো হয়েছিল ১২০ টি বৃক্ষ চারা।

২০২৪ সালে সমসাময়িক সময় আবারও সৌন্দর্যায়ন করতে দুই প্রকৃতিপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মূলত পাহাড়ের কোলে শুশুনিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে রাস্তার ধার বরাবর লাগানো হল চারা গাছ, যা পরবর্তীকালে সৌন্দর্যায়নের জন্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন প্রত্যেকেই। উপস্থিত ছিলেন ছাতনা ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। রোপিত হল বট, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া এবং ছাতিম গাছ।

আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বড় সুখবর..! সেপ্টেম্বরে তিন তিনদিন টানা ছুটি রাজ্যে? চেক করে নিন তারিখ-সহ ছুটির সম্পূর্ণ তালিকা

প্রকৃতিপ্রেমীদের মহলে সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজায়নের এই প্রয়াস যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। যুবসমাজ অর্থাৎ যাদের হাতে দেশ এবং দশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের দ্বারা পরিচালিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি উন্নতিশীল চিন্তাধারা বহন করছে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও গাছ লাগালেন রেঞ্জ অফিসার থেকে শুরু করে আধিকারিকেরা। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সংগঠক এবং উদ্যোক্তারা জানান যে সবুজ করার সমস্ত প্রয়াস তারা চালিয়ে যাবে ভবিষ্যতে। লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে হাজারটি চারাগাছ বসানো।

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা প্রকৃতির কথা ভাবছে এবং গাছ লাগাচ্ছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার এটাই মনে করছে ছাতনা বন বিভাগ। এছাড়াও শুশুনিয়া পাহাড়কে কেন্দ্র করে রয়েছে বিপুল ক্রেজ। যা পুজোর আগে আরও বাড়বে বলেই আশা করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রাগৈতিহাসিক এই ভূমি খণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়ের সৌন্দর্যায়নে কাজ হচ্ছে প্রতিবছর।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়