Tag Archives: Travel 2024

Birbhum News: বীরভূমের আড়াইশো বছরের পুরানো নীলকুঠি একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন

বীরভূম: ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরা বীরভূমে রয়েছে নানা দেখার জিনিস। ভ্রমণপিপাসু বাঙালি হাতে দু-এক দিনের সময় পেলেই ছুটে আসেন বীরভূম ভ্রমনে। বীরভূমেই রয়েছে নীলকুঠি। আড়াইশো বছরের পুরনো নীলকুঠিকে পর্যটন কেন্দ্র করে তোলার দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। দাদন দিয়ে নীলচাষ এবং কৃষকদের অত্যাচারের ইতিহাস রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্ব জুড়ে। বীরভূমে জঙ্গলে ঘেরা গুনুটিয়ায় চাপা পড়ে রয়েছে এমনই এক ইতিহাস।

বোলপুর-লাভপুর সড়ক বরাবর কুয়ে নদী পার হয়ে লাভপুর থেকে লাঘাটা দিকে রওনা দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় ময়ূরাক্ষী নদীর কাছে। সেতু পার হলেই সামনে বিস্তীর্ণ জঙ্গল। আর তারই মাঝে জরাজীর্ণ একটি মিনার। জঙ্গলে আর একটু ঢুকলে রয়েছে নির্মাণ কাজের ইটের টুকরো। সেই ইট প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো গুনুটিয়ার নীলকুঠি মহলের নানা ইতিহাসের সাক্ষী। সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে ঘিরে এ বার পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন- মাত্র ১৬০০ টাকায় হয়ে যাবেন MBBS! এত কম খরচে দেশের কোথায় ডাক্তারি পড়া যায়? জেনে নিন!

বীরভূমের গুনুটিয়ার নীলকুঠির পরতে পরতে রয়েছে আরও নানান ধরনের ইতিহাস। একদা বাংলার জলপথ বাণিজ্যের অন্যতম যোগসূত্র ছিল এই নীলকুটি। ময়ূরাক্ষী এবং অজয় নদের জলপথ যোগাযোগের অন্যতম পথ হিসেবে ব্যবহার জন্য ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ বণিক এডওয়ার্ড হে গুনুটিয়ার নীলকুঠি নির্মাণ করেছিলেন। সে সময় ছিলজলপথে যাতায়াতের সুবিধা।আবহাওয়া, কাঁচামাল, উর্বর জমির জন্য বীরভূম জেলায় লাক্ষা, তুঁত, রেশম, নীল চাষ ভালো হত। রেশম চাষের জন্য এডওয়ার্ড বীরভূমের লাভপুরে ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে গুনুটিয়া কুঠি তৈরি করে।

আরও  পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র পাখি, যেটির ডানা নেই! কোন পাখি? বলুন দেখি…উত্তর মিলিয়ে দেখুন

প্রথম দিকে এখান থেকে রেশম, তুঁত প্রভৃতি চাষের তত্ত্বাবধান করা হলেও পরবর্তীকালে নীল চাষ শুরু হয়। তাই গুনুটিয়া কুঠি পরিচিতি পায় নীলকুঠি হিসেবেই।১৭৮৫ সালে ফরাসি বণিক জেমস ফ্রুশার্ড ২০ হাজার টাকায় গুনুটিয়া কুঠি কিনে নেন। সে সময় কুঠির পরিধিও বৃদ্ধি পায়। এর পর ভারতে ব্রিটিশ সরকার আধিপত্য বাড়তে শুরু করে। ১৮০৮ সালে এই কুঠি ফের হাতবদল হয়ে যায় ব্রিটিশদের কাছে।

সৌভিক রায়

Darjeeling Tour: পাইনবনের ফাঁকে টয়ট্রেনের ছোট্ট স্টেশন, নেমে পড়লেই হাতছানি দিয়ে ডাকবে রংটং

দার্জিলিং:পাহাড়ের বুকে রংটং পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম পছন্দের জায়গা। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক পাহাড়ের টানে নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে যায় এই রংটং-এ। এছাড়াও আপনি যদি ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয় ট্রেনে করে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুকনা হয়ে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে এই রংটং এর মাঝ দিয়েই ছুটে চলবে টয় ট্রেন।
দার্জিলিং:পাহাড়ের বুকে রংটং পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম পছন্দের জায়গা। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক পাহাড়ের টানে নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে ছুটে যায় এই রংটং-এ। এছাড়াও আপনি যদি ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয় ট্রেনে করে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুকনা হয়ে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে এই রংটং এর মাঝ দিয়েই ছুটে চলবে টয় ট্রেন।
আপনিও যদি পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে একবার ঘুরেই যেতে পারেন প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গা রংটং থেকে।বর্তমানে রংটং এ প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সে অর্থে সারি সারি রেস্তোরাও গড়ে উঠেছে।
আপনিও যদি পুজোর ছুটিতে দার্জিলিং যেতে চান তাহলে একবার ঘুরেই যেতে পারেন প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গা রংটং থেকে।বর্তমানে রংটং এ প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, সে অর্থে সারি সারি রেস্তোরাও গড়ে উঠেছে।
তবে রংটং থেকে কিছুটা উপরে যাকে রংটং ২ নং ফুলবাড়ি বলে জানা যায় সেই জায়গায় রয়েছে বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি পার্ক, দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জালে ভর্তি হয়ে বন্ধ ছিল ওই পার্ক ,অবশেষে সেই পার্ককে নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, সেই অর্থেই জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
তবে রংটং থেকে কিছুটা উপরে যাকে রংটং ২ নং ফুলবাড়ি বলে জানা যায় সেই জায়গায় রয়েছে বহু পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি পার্ক, দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জালে ভর্তি হয়ে বন্ধ ছিল ওই পার্ক ,অবশেষে সেই পার্ককে নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, সেই অর্থেই জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই পার্কটি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে এক দুটি ছোট ছোট দোকান।
অন্যদিকে এই পার্কটি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে এক দুটি ছোট ছোট দোকান।
সেই অর্থে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন এই পার্কটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে ফলে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বাড়ছে।
সেই অর্থে সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন এই পার্কটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে ফলে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বাড়ছে।
প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গায় পার্কটি গড়ে উঠলে পর্যটকদের কাছে এই জায়গা যেন এক বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াবে। Input- Sujay Ghosh
প্রকৃতির মাঝে অনবদ্য এই জায়গায় পার্কটি গড়ে উঠলে পর্যটকদের কাছে এই জায়গা যেন এক বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াবে। Input- Sujay Ghosh

Durga Puja Travel Story: মন্ত্রমুগ্ধ করবে পাহাড়! পুজোর আগেই ভ্রমণবিলাসীদের জন্য দুর্দান্ত উপহার! সেজে উঠছে শুশুনিয়া

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত অঞ্চল শুশুনিয়া। শুশুনিয়া পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে শুশুনিয়া গ্রাম। এই গ্রামে প্রবেশ করার মুখ্য রাস্তা মনোরম করে তোলার জন্য আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে পুজোর ঠিক আগে সৌন্দর্যায়ন করার জন্য দেড় কিলোমিটার ব্যাপী রাস্তার দুই ধারে বসানো হয়েছিল ১২০ টি বৃক্ষ চারা।

২০২৪ সালে সমসাময়িক সময় আবারও সৌন্দর্যায়ন করতে দুই প্রকৃতিপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে মূলত পাহাড়ের কোলে শুশুনিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে রাস্তার ধার বরাবর লাগানো হল চারা গাছ, যা পরবর্তীকালে সৌন্দর্যায়নের জন্য একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন প্রত্যেকেই। উপস্থিত ছিলেন ছাতনা ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। রোপিত হল বট, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া এবং ছাতিম গাছ।

আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বড় সুখবর..! সেপ্টেম্বরে তিন তিনদিন টানা ছুটি রাজ্যে? চেক করে নিন তারিখ-সহ ছুটির সম্পূর্ণ তালিকা

প্রকৃতিপ্রেমীদের মহলে সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজায়নের এই প্রয়াস যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। যুবসমাজ অর্থাৎ যাদের হাতে দেশ এবং দশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের দ্বারা পরিচালিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি উন্নতিশীল চিন্তাধারা বহন করছে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও গাছ লাগালেন রেঞ্জ অফিসার থেকে শুরু করে আধিকারিকেরা। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সংগঠক এবং উদ্যোক্তারা জানান যে সবুজ করার সমস্ত প্রয়াস তারা চালিয়ে যাবে ভবিষ্যতে। লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে হাজারটি চারাগাছ বসানো।

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা প্রকৃতির কথা ভাবছে এবং গাছ লাগাচ্ছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার এটাই মনে করছে ছাতনা বন বিভাগ। এছাড়াও শুশুনিয়া পাহাড়কে কেন্দ্র করে রয়েছে বিপুল ক্রেজ। যা পুজোর আগে আরও বাড়বে বলেই আশা করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রাগৈতিহাসিক এই ভূমি খণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়ের সৌন্দর্যায়নে কাজ হচ্ছে প্রতিবছর।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়