উত্তর ২৪ পরগণা, ব্যবসা-বাণিজ্য New Business Idea: ভাইরাস বিক্রি করে বিপুল টাকা আয় ? আসল ব্যপারটা কি জেনে নিন September 5, 2024 Bangla Digital Desk শিরিষ গাছের ভাইরাস বিক্রি করে আয়ের পথ দেখছেন সুন্দরবনের যুবকরা। ভিন্ন স্থান ভেদে ভিন্ন উপার্যের মাধ্যম দেখা যায়। ঠিক একইভাবে সুন্দরবন এলাকার জনজীবন একটু আলাদাই। এখানে গভাইরাস বিক্রি করে আয়ের সুযোগ! শুনতে অনেকটা অবাক লাগলো আসলেও সত্যি! শিরিষ গাছের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক পোকা তো নয়, যেন টাকা কামানোর মেশিন। শিরিষ গাছে সংক্রমিত ছত্রাক এখন উপার্জনের মাধ্যম। গাছের সংক্রমিত ছত্রাক যা এলাকায় পরিচিত ভাইরাস নামে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ, সন্দেশখালির আশপাশের এলাকার একদল যুবক কাজ না পেয়ে বেছে নিয়েছেন বিচিত্র এক পেশা। প্রতিদিনের মতই ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়ে শিরিষ গাছ থেকে কথিত ভাইরাস পোকার সন্ধানে। আর এভাবে নদী, জলাবেষ্টিত জলাভূমি পেরিয়ে খুঁজে বেড়ান আক্রান্ত গাছ। ছত্রাক আক্রমণে গাছের ডালে টকটকে লাল একটি আবরণ এবং আবরণের উপরী অংশে সাদা দুধের মত তুলা জাতীয় একটি প্রলেপ পড়তে দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা শ্রমিক দিয়ে যত্নসহকারে গাছ থেকে আহরণ করছে পোকা ভর্তি ডাল। এরপর সাইকেল, মোটর সাইকেল কিংবা পিকআপ ভ্যানে বাসা-বাড়ি, আড়ৎ কিংবা নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে বাড়ির বধু, কিশোর কিশোরীরা ডাল থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছে পোকা ও তার উচ্ছিষ্ট। যা নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক স্থানে পাঠানোর জন্য উপযোগী করেই বস্তাভর্তি করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি পোকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০-১২ কেজি ছত্রাক সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। আর এভাবেই জীবন জীবিকা লাভের দিশা দেখছেন সুন্দরবনের মানুষ। তবে এগুলো সংগ্রহ করে কি কাজে ব্যবহার করা হয়! এমন প্রশ্নের জবাবে, ব্যবসায়ী জানান, সংগৃহীত ছত্রাক মিনাখাঁর দেউলি এলাকায় তারা বিক্রি করেন। তবে আসলে ঠিক কোথায় যায় আর কী কাজে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে তা তাদের জানা নেই। তবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তারা জেনেছেন, গাছের এসব দিয়ে এক ধরনের আঠা ও আসবাবপত্রের রং তৈরি হচ্ছে।