OMG: রোজ বাইরের খাবার খেতে দেন না স্বামী, রাগে যা করলেন স্ত্রী, শুনলে পায়ের তলার মাটি কাঁপবে

আগ্রা: একে অপরের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। এদিকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাজ্জব পুলিশকর্মীরাও। অবশ্য পুলিশি মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।  আজকাল ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতে থাকে। আর তা কখনও কখনও থানা-পুলিশের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেরকমই একটি ঘটনার খবর রবিবার এসে পৌঁছেছিল উত্তরপ্রদেশের আগ্রা পুলিশ লাইনের পরামর্শ কেন্দ্রে।

কী এমন অভিযোগ?  স্ত্রীর নালিশ, তাঁকে তাঁর স্বামী একেবারেই ফাস্ট ফুড খেতে দিতে চান না। সেই কারণেই রোজ তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। বিষয়টি এতটাই বেড়ে যায় যে, তা থানা-পুলিশের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। গোটা ঘটনাটি আগ্রার সদর থানার। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু স্ত্রী ফাস্ট ফুড খেতে খুবই ভালবাসেন। এদিকে স্বামী কিছুতেই স্ত্রীকে তা খেতে দেবেন না। আর স্বামীর এই অতিরিক্ত খবরদারি চাপিয়ে দেওয়া একেবারেই না-পসন্দ ছিল ওই বধূর। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ঝগড়া-ঝামেলা দিন দিন বাড়তে শুরু করে। এরপর কোনও উপায় না দেখে নিজের শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন ওই মহিলা।

এদিকে স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খান। রোজ তাঁর চাই বার্গার, পিৎজা, চাউমিন, শিঙাড়া, গোলগাপ্পার মতো ফাস্ট ফুড। আর সেই কারণেই নিত্যদিন পেট ব্যথা এবং পেট সংক্রান্ত নানা রোগে ভুগতে থাকেন তিনি। ফলে স্ত্রীকে ফাস্ট ফুড খেতে বারণ করেছিলেন ওই যুবক। যার জেরে স্ত্রী রেগে গিয়ে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়েন।

এখন এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে পুলিশি হস্তক্ষেপে। রবিবার আগ্রা পুলিশ লাইনে পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র তৈরি করে রীতিমতো কাউন্সেলিং করা হয় স্বামী-স্ত্রীর। সপ্তাহে ২ দিন ফাস্ট ফুড খেতে দেওয়া হবে – এই মর্মে ওই দম্পতির মধ্যে সমঝোতা করেন কাউন্সিলর। আর সেই শর্ত মেনে নিয়েছেন দু’জনেই। ফলে আপাতত স্বামীর সঙ্গেই শ্বশুরবাড়ি ফিরে গিয়েছেন ওই বধূ।