তপোবন ঘাট

Bankura News: নৌকাই ভরসা! বাঁকুড়া শহরের খুব কাছে দেখুন কীভাবে চলে যাতায়াত

বাঁকুড়া : একদিকে ব্লক ওন্দা অপরদিকে বাঁকুড়া ২ আরমাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে দারকেশ্বর নদ। জল থাকে না সারা বছর। গরমকালে নদ বলে মনেই হয় না দারকেশ্বরকে। তবে বর্ষাকালে ছবিটা অন্যরকম থাকে। জলে ভেসে যায় এই নদ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল যে এই নদের উপর দিয়ে বাঁশের মাচা তৈরি করে যাতায়াত করে থাকেন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। কারণ তাদের কাছেবাঁকুড়া শহরে ঢোকার একমাত্র সহজ রাস্তাএটি, যার উপর নির্ভর করছে ১০ থেকে ১২ টি গ্রাম।

এদিকে বর্ষার জলে এখন ভেসে যাচ্ছে দারকেশ্বর নদ, যার জন্য জীবন জীবিকা প্রায় থমকে যেতে পারে এই ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের। তপবন, নতুনগ্রাম, সোনাতাপোল, বীরসিংহপুর, হরিহরপুর, মুক্তাপুর, বালিয়ারা, কোটালপুর, সায়েরবাগরা, এই গ্রাম গুলি সারা বছর ভূতশহর তপোবন ঘাট ব্যবহার করে থাকেবাঁকুড়া শহরে ঢোকার জন্য যা বর্ষার জলে কার্যত খরস্রোতা।

আরও পড়ুন : ইচ্ছে ও জেদ একমাত্র সম্বল! বাঁকুড়ার এই দম্পতির জীবন সংগ্রাম জানলে অবাক হবেন

ফলেই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নৌকোয় করে পারাপার করছে মানুষ। তাঁরা বলছেন, “নৌকো না পেলে হয়ত সাঁতার কেটে পর করতাম কারণ রুজি-রোজগার থেকে চিকিৎসা এবং বাচ্চার স্কুল কলেজ, সবই শহরে।” শুধু যাত্রী পারাপারহলে ৫ টাকা। সাইকেল থাকলে ১০ টাকা এবং মোটরসাইকেল থাকলে কুড়ি টাকা ভাড়া। আপ ডাউন ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন : মন্ত্রমুগ্ধ করবে পাহাড়! পুজোর আগেই ভ্রমণবিলাসীদের জন্য দুর্দান্ত উপহার! সেজে উঠছে শুশুনিয়া

এভাবে একটা রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন কিছু গ্রামবাসী। নৌকা চালকরা জানিয়েছেন প্রায় দুই মাস থাকবে এই জল। সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী হোক কিংবা ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই ব্যবহার করছেন এই নৌকা। শহরের এত কাছে থেকেও কেন পাচ্ছেন না তারা পাকা ব্রিজের পরিষেবা?

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছে না।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী