পশ্চিম মেদিনীপুর, শিক্ষা Ozone Layer Hole: পৃথিবীর ওজোন চাদরে বড় ফাটল, হু হু করে ঢুকছে অতিবেগুনি রশ্মি! IIT খড়গপুরের অধ্যাপক বললেন, ‘সব মিথ্যে’, তাহলে? Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk এবার ভয়ের দিন শেষ। আইআইটি খড়্গপুরের যুগান্তকারী আবিষ্কার চমকে দিয়েছে সকলকে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর অক্ষত রয়েছে, আইআইটি খড়্গপুরের এক অধ্যাপকের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। ওজোন স্তর অক্ষত হওয়ার কারণে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই অধ্যাপকের এই আবিষ্কার আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। আমরা জানি যে, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ধীরে ধীরে ক্ষতির দিকে যাচ্ছে। তবে ঠিক তা নয়, আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক, তাঁর গবেষণায় তুলে ধরেছেন, ওজোন স্তরে তেমন কোনও ক্ষয় নেই। যা মানুষের শারীরিক কোনও ক্ষতি করবে না। প্রসঙ্গত ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের একাধিক স্তর বিস্তৃত। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে ট্রপোস্ফিয়ার এবং তার উপরে রয়েছে স্ট্যাটোস্ফিয়ার। বিভিন্ন গবেষকেরা বায়ুমণ্ডলে থাকা ওজোন স্তর নিয়ে গবেষণা করছেন। আইআইটি খড়্গপুরের সমুদ্র, নদী, বায়ুমণ্ডল সম্বন্ধীয় ‘কোরাল’ (CORAL) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথ দীর্ঘকাল ধরে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে কোনওফুটো নেই বা ওজোন হোল নেই (No Severe Ozone Depletion in the tropical stratosphere)। তা অক্ষত অবস্থায় আছে। এর থেকে মানুষের শরীরে কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই এবং অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করবে না ভূপৃষ্ঠের দিকে।আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) সাম্প্রতিক গবেষণায় এমনই তথ্য চমকে দিয়েছে সকলকে। সম্প্রতি, আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) সমুদ্র, নদী, বায়ুমন্ডল সম্বন্ধীয় ‘কোরাল’ (CORAL) বিভাগের অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথ (Jayanarayanan Kuttippurath)- একাধিক তথ্য, প্রযুক্তি এবং গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে নিরন্তর ওজোন হোল নিয়ে গবেষণা চালান। তাতেই উঠে এসেছে এমন যুগান্তকারী তথ্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, ট্রপোস্ফিয়ারে বৃক্ষচ্ছেদন, দূষণের কারণে সামান্য ক্ষতি হলেও স্ট্যাটাস্ফিয়ারে কোনও ওজোন হোল নেই। শুধু তাই নয় যে সামান্য পরিমাণ রয়েছে তা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী পাঁচ দশক ধরে অর্থাৎ ১৯৮০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা ক্রান্তীয় (Tropical Stratosphere) বলয়ে ওজোন স্তরে ফুটো থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তা ‘ভুল’ বা ‘অসম্পূর্ণ’ গবেষণা বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তাঁদের মতে, এর আগের গবেষণা করা হয়েছিল ভুপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের ১১ কিলোমিটারের মধ্যে। তাতে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের গবেষণা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার উচ্চতায়। এতে তাঁরা যেমন ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে সূর্যের ‘অতিবেগুনি রশ্মি’র বিকিরণ উপগ্রহ থেকে লক্ষ্য করেছেন। ঠিক তেমনই স্ট্র্যাটোসস্ফিয়ার বা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের দ্বিতীয় স্তরে এর ক্ষতিকর প্রভাবও খতিয়ে দেখতে পেরেছেন। ৩০ ডিগ্রি সাউথ ৩০ ডিগ্রি নর্থ, এই প্রক্রিয়ায় উপগ্রহ ক্যামেরায় বায়ুমণ্ডলে ওজন স্তরের অবক্ষয় তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। তারপরই সিদ্ধান্তে এসেছেন ওজোন স্তর ‘অক্ষত’ থাকার বিষয়টিতে। তাঁদের মতে, ওজোন স্তরের গড় ওজন ভ্যালু ২৬০ ডবসন ইউনিট (ডি ইউ)। বর্তমানে তা রয়েছে ২২০ ডিইউ। যা ঠিকঠাক বলেই মনে করেছন গবেষকরা। ফলে, পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র, যে কোনও প্রাণী, গাছপালা থেকে মানুষের ভয়ের কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। (রঞ্জন চন্দ)