কোচবিহার: দেখা যায় পড়ুয়াদের অনেকের মধ্যে অঙ্ক ও বিজ্ঞানে ছোট থেকেই এক ধরনের ভয় কাজ করে। এই বিষয়টা অঙ্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। ফলে চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরাও। ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভীতি দূর করতেই বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হল অঙ্ক ও বিজ্ঞান মেলা। মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন মাথাভাঙা সারদা শিশু তীর্থ ও বিদ্যামন্দিরের ব্যবস্থাপনায় এই অঙ্ক ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নিজেদের হাতে গড়া বিজ্ঞানের নানা মডেল নিয়ে তাতে অংশগ্রহণ করে।
মাথাভাঙার এই বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার মা মৌমিতা মজুমদার জানান, পরপর দু’বছর তাঁর মেয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এতে অঙ্ক ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভীতি অনেকটাই দূর হয়েছে। তিনি জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভূত সাহায্য করছে।
আরও পড়ুন: দিনে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার বসিয়ে ঘাটতি পূরণ
বিদ্যালয়ের আরেক পড়ুয়ার বাবা পরিমল রায় জানান, এই ধরনের উদ্যোগ সমস্ত বিদ্যালয়ের নেওয়া উচিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার বিকাশে অনেকটাই সুবিধা হয়ে থাকে। যদিও এবার প্রথম তাঁর ছেলে এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। সারদা বিদ্যামন্দিরের আচার্য প্রমুখ গৌতম তালুকদার জানান, বিজ্ঞান ও গনিত মেলায় অংশগ্রহণ করা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধা ও প্রতিভার বিকাশের জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। এদিনের বিজ্ঞান ও গনিত মেলায় অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।
এবারের বিজ্ঞান মেলায় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পর্যন্ত মোট ১৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন বিভাগে অংশ নেয়। আগামী দিনেও এই মেলা এরকমভাবেই আয়োজন করার কথা বলা হয়। এমনটাই প্রত্যাশা ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত অভিভাবকদের। এই বিজ্ঞান মেলার কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।
সার্থক পণ্ডিত
বিশ্ব জুড়ে একের পর এক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সামুদ্রিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং মেরু অঞ্চলের সমুদ্রে বরফস্তর যে রেকর্ড গতিতে ভাঙছে তাতে রীতিমতো শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, যে রকম দ্রুত গতিতে এবং যে সময়ের মধ্যে এসব রেকর্ড ভাঙছে, তা ‘নজিরবিহীন’।
রাষ্ট্রসংঘ বলছে, ইউরোপ জুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে তা আরও রেকর্ড ভাঙার দিকে এগোচ্ছে। এসব নজিরবিহীন রেকর্ড জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিনা, তা এখন হলফ করে বলা কঠিন, কারণ আবহাওয়া এবং পৃথিবীর মহাসাগরের আচরণ খুবই জটিল। এগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই শঙ্কিত যে ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতি ঘটতে চলেছে।
লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের পরিবেশ বিষয়ক ভূবিশেষজ্ঞ টমাস স্মিথ বলেন, ”আমার এমন কোন সময়ের কথা জানা নেই, যখন আবহাওয়া মণ্ডলের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বত্র এ ধরনের রেকর্ড ভাঙা এবং অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটছে।”
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানের লেকচারার ড. পল সেপ্পি জানান, পৃথিবী এখন লাগামহীন পরিবর্তনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে’ যার পেছনে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে ঘটা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং ২০১৮ সাল থেকে ‘এল নিনো’র প্রভাবে প্রথম পৃথিবীর গরম হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ মেরু সাগরে বরফের স্তর জুলাই মাসে ছিল রেকর্ড পরিমাণ কম। ব্রিটেনের আয়তনের দশগুণ পরিমাণ আয়তনের বরফের স্তর গলে গেছে। ১৯৮১ থেকে ২০১০-এ সেখানে যে পরিমাণ বরফের আস্তরণ ছিল এই গলে যাওয়া বরফের পরিমাণ তার তুলনায় রেকর্ড মাত্রায় কমে গেছে। কেন এই পরিবর্তন এর কারণ কি জলবায়ুর পরিবর্তন, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা রীতিমত চিন্তিত।
পৃথিবীর আবহাওয়া যে রকম আশঙ্কাজনকভাবে উষ্ণ হয়ে উঠছে, তাতে দক্ষিণ মেরু সাগরের বরফের স্তর উদ্বেগজনক হারে গলে যাচ্ছে। তবে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের ড. ক্যারোলাইন হোমস ব্যাখ্যা করছেন যে এটা স্থানীয় আবহাওয়ার কারণে অথবা মহাসমুদ্রের কারেন্টের ফলেও ঘটতে পারে। তিনি বলছেন এটা শুধু রেকর্ড ভাঙার কারণে উদ্বেগ নয়, যে মাত্রায় রেকর্ড ভাঙছে তা তাদের ভাবাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামীতে আবহাওয়া মণ্ডলের আরও রেকর্ড ভাঙা অঘটনের আশঙ্কা তারা করছেন। ২০২৪ সালে গিয়েও নানা দুর্যোগ ঘটবে বলে তারা মনে করছেন।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন সমুদ্রের তাপমাত্রার রেকর্ড করা হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সমুদ্র বিজ্ঞানীদের। শুধু সমুদ্র নয়, পুরো পৃথিবী কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে আছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট রিঅ্যানালাইজার অনুসারে, ১৯৮২-২০১১ সালের তুলনায় বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১.২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি। এটি একটি বিশাল অসংগতি, যা আবহাওয়া এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, গত মার্চ মাসে বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ছিল ২১.০৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৬৯.৯৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
কোপার্নিকাসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২৪ সালের মার্চ মাসে ধারাবাহিকভাবে বাতাসের তাপমাত্রা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা উভয়ই জলবায়ু রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।‘
সমুদ্রের উচ্চ তাপমাত্রা শক্তিশালী ঝড়ের শক্তি আরও বাড়ায়। সমুদ্রের অস্বাভাবিক উষ্ণতা দ্রুত ঘূর্ণিঝড় তৈরির মতো পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা করে। দীর্ঘদিন ধরেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো কোনও ভাবেই কমছে না। ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পৃথিবীর উষ্ণতাও বাড়ছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বেশি থাকবে, ততক্ষণ মহাসাগরগুলো শক্তি শোষণ করতে থাকবে। এতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা চলতেই থাকবে। গবেষকরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন সম্ভবত একটি ভূমিকা পালন করছে, তবে সম্ভবত এটিই একমাত্র কারণ নয়।
জলবায়ু মডেলগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অবিচ্ছিন্ন বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়, তবে এত দ্রুত নয়। এছাড়া সমুদ্রের পৃষ্ঠের তাপমাত্রাও ওঠানামা করে এবং এল নিনো ও লা নিনার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিকভাবে জানেন না কেন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে গিয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে শুরু হওয়া একটি এল নিনোর প্রভাবে কাবু হয়েছে পড়েছে বিশ্ববাসী। আবহাওয়ার স্বাভাবিক গতির পরিবর্তনের ফলেই এল নিনো হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এল নিনো ছাড়াও আরও কয়েকটি কারণ তাপমাত্রার রেকর্ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
এর একটি কারণ হলো অ্যারোসল দূষণ। ২০২০ সালে কার্যকর হওয়া নতুন আন্তর্জাতিক জ্বালানি মানদণ্ড অনুসরণ করে, মহাসাগর অতিক্রমকারী কনটেইনার জাহাজ থেকে অ্যারোসল দূষণ হ্রাস করা যেতে পারে। আরেকটি কারণ হল, ২০২২ সালে জলের নিচের হুঙ্গা টোঙ্গা–হুঙ্গা হা‘পাই আগ্নেয়গিরির বিশাল অগ্ন্যুৎপাত। এই আগ্নেয়গিরিটি প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে ডুবে যাওয়ায় এর অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশে লাখ লাখ টন জলীয় বাষ্পও ছড়িয়ে পড়ে। জলীয় বাষ্প একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। তবে গোটা বিষয়েই আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।
(Photo Courtesy: Apurba Roy (Instagram creator Apurba Roy (@bonno.troll) ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলি। সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। আর তলিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম শহরগুলি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, আগামী ৬ বছরের মধ্যেই কলকাতাকে স্পর্শ করে ফেলবে সমুদ্র। কিন্তু, বাস্তব চিত্র আরও ভয়ানক। (Photo Courtesy: Apurba Roy (Instagram creator Apurba Roy (@bonno.troll)
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তারপর কলকাতা সহ বাংলার বৃহদাংশ জলের অতলে তলিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, ‘কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলি রাশি সরে যাচ্ছে। কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ অতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকাটা কলকাতার জন্য ভয়ংকর। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী এলাকার ১২টি শহর তলিয়ে যেতে পারে আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ছে সব জায়গা। অ্যাভারেজ গ্লোবাল টেম্পারেচার হু হু করে বেড়ে চলেছে। সমস্ত বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলে দিচ্ছেন এই এই জায়গা এইভাবে ডুবে যাবে। সেটা কোনও জায়গায় হয়তো পঞ্চাশ বছর, কোনও জায়গায় ২০ বছর, কেউ কেউ বলছে ২০৩০ এর মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে এই শহরগুলি ডুবে যাবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই অবস্থা? উত্তর, বিশ্ব উষ্ণায়ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমবাহ গলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকফুট পর্যন্ত বাড়বে সমুদ্রের জলতল। সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে নদীতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করবে। উপকূলীয় শহরগুলির জন্য যা মারাত্মক হতে শুরু করেছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের লেভেল বাড়ছে। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। বরফের স্তর গলছে। হিমবাহগুলি গলে যাচ্ছে দ্রুত। তাতেই বিপদ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে শুধুমাত্র কলকাতা বা মুম্বই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তা নয় কিন্তু। পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্ট্রেটলাইনে প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। এই ঘটনার ১০ বছর পর ভূমিভাগের আরও ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়বে। (Photo Courtesy: Apurba Roy (Instagram creator Apurba Roy (@bonno.troll)
ফলে শুধুমাত্র ১২-১৫টি শহর তলিয়ে যাবে, তা নয় কিন্তু। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সারা ভারতবর্ষের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি হয়ে পড়বেন। তার পরবর্তী ১০ বছরে ওই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৪৩ কোটি।’
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের বেশ খানিকটা অঞ্চল শুধুমাত্র টিকে থাকবে।’
ভূতত্ত্ববিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মাটির তলার যে অংশগুলি সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত, তার গভীরতা আমাদের উপকূলে প্রায় ৮৬ মিটার পর্যন্ত। এই ৮৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন এলাকাকে মাটির নিচ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। যাতে সমুদ্রের জল মাটির ক্ষয় করতে না পারে। তাছাড়া দূষণ রুখে দেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি। দূষণ কমিয়ে আরও ৮০ বছর যদি চালানো যায়, তবে বিষয়টি রোধ করা সম্ভব।
ধুধু বালুপ্রান্তর হয়ে পড়ে আছে ২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। শত শত বছর ধরে। যার সিংহভাগই রয়েছে ভারতের মধ্যে। বাকিটা রয়েছে পাকিস্তানে। ভারতের থর মরুভূমি এমন এক মরু প্রান্তর যেখানে মাইলের পর মাইল বালি আর বালি।
সম্প্রতি ‘আর্থস ফিউচার’ নামে পত্রিকায় প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন মরুভূমির বিস্তৃত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সেই বিশ্ববিখ্যাত মরুভূমি থর আর বালির প্রান্তর থাকবে না। বালি উধাও হয়ে ২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ভরে যাবে সবুজে। সবুজ অরণ্য বিরাজ করবে। কবে হবে সেই ম্যাজিক, কেনই বা বদলে যাবে এই অনন্ত বালির মরুভূমি।
আগামী শতাব্দীর মধ্যে অরণ্যে পরিণত হতে পারে থর মরুভূমি। থর মরুভূমি ভারতের রাজস্থান ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে বিস্তৃত। দুই লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মরুভূমিটি বিশ্বের ২০তম। এ ছাড়া উষ্ণ উপক্রান্তীয় মরুভূমির তালিকায় এটি নবম।
বেশ কিছু গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে পৃথিবীর মরুভূমিগুলো আরও বিস্তৃত হবে। গবেষকদের অনুমান, ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন বাড়বে সাহারা মরুভূমির।
পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু মডেল বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষক দলটি দেখতে পেয়েছে, ১৯০১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের আধা শুষ্ক অঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাত ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি ধরনের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে বৃষ্টিপাত ৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
গবেষণায় ইঙ্গিত করা হয়েছে, ভারতে মৌসুমি বায়ুর পূর্বমুখী স্থানান্তর দেশটির পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের শুষ্কতার অন্যতম কারণ। ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চল বর্ষাকালে সমৃদ্ধ ছিল, যে কারণে গড়ে উঠেছিল সিন্ধু সভ্যতা। কিন্তু বর্ষার পশ্চিম দিকে সম্প্রসারিত হলে আর্দ্র মৌসুমি জলবায়ুতে পরিণত হবে ভারতের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল।
গবেষক দলের সদস্য গুয়াহাটির কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বি এন গোস্বামী জানান, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে থর মরুভূমিকে সবুজে পরিণত করবে, তা বুঝতে ভারতীয় বর্ষার গতিশীলতা বোঝা জরুরি।’
গবেষকরা বলছেন, এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় উদ্বিগ্ন হতেই হবে। থর মরুভূমি সম্ভাব্য সবুজ ভূমিতে পরিণত হলে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য এবং পরিবেশ ও স্থানীয়দের ওপর এর বিস্তৃত প্রভাব পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর উষ্ণতম এবং শুষ্কতম জায়গাগুলি মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০৫০ সালের মধ্যে সাহারা মরুভূমির আয়তন ৬০০০ বর্গ কিলোমিটার বেড়ে যাবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান বলছে, আর মরুভূমির সম্প্রসারণের ফলে জমিহারা হবেন প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ। যা বেশ উদ্বেগজনক। Photo- Collected
যদিও ইতিমধ্যেই আশ্চর্য এক নমুনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটা মরুভূমি ভবিষ্যতে আমূল বদলে যাবে। যা বেশ চমকপ্রদ। জানা যাচ্ছে, এই মরুভূমিটির সবুজায়ন হতে পারে। কিন্তু কোন মরুভূমিতে এহেন আশ্চর্য দৃশ্য দেখা যাবে? এমন আশ্চর্যের সাক্ষী হতে পারে থর মরুভূমি। যা গ্রেট ইন্ডিয়ান ডেজার্ট নামে পরিচিত। Photo- Collected
উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্তানের ২০০০০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এই মরুভূমি। যার ৬০ শতাংশই রয়েছে ভারতের বৃহত্তম রাজ্য রাজস্থানে। এই মরুভূমিতে পরিলক্ষিত হয় বিক্ষিপ্ত গাছপালা, চরম তাপমাত্রা এবং সীমিত বৃষ্টিপাতের মতো বৈশিষ্ট্য। Photo- Collected
ফলে এটি দীর্ঘকাল ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় পরিবেশগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এখানে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। ফলে এটাই বিশ্বের সবথেকে জনবহুল মরু অঞ্চল। Photo- Collected
এদিকে ভারতের ঠিক অন্য প্রান্তে একই অক্ষাংশে অবস্থিত মৌসিনরাম। বিশ্বের রেকর্ড বৃষ্টিপাত এখানেই হয়। এখানকার গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১ ৮৭২ মিলিমিটার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই দেশের ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান অনন্য। যার জেরে দেশের পূর্ব প্রান্তে দক্ষিণ এশীয় বর্ষার আগমন ঘটে। অন্যদিকে দেশের পশ্চিম প্রান্ত থেকে যায় শুষ্ক। Photo- Collected
কিন্তু কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদদের বিশ্বাস, এই পরিস্থিতি শীঘ্রই বদলাবে। কারণ বর্ষাকে একেবারে পশ্চিম প্রান্তে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জলবায়ু পরিবর্তন। Photo- Collected
বিগত ৫০ বছরের আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে গবেষকরা দেখেছেন দক্ষিণ এশিয়া বরাবর কীভাবে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। গবেষণায় তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে, পশ্চিম ভারত এবং পূর্ব পাকিস্তানের শুষ্ক অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টিপাত প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে দেশের আর্দ্র পূর্ব প্রান্তে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। Photo- Collected
জলবায়ুবিদ ভূপেন্দ্র গোস্বামীর মতে, এই শতকের শেষের দিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫০-২০০ শতাংশ বাড়তে পারে। আসলে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা লক্ষ্য করেছেন যে, গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলি আরও বেশি করে নির্গত হবে এবং পৃথিবী আরও গরম হবে। এমনকী ভারত মহাসাগরও অ-সম ভাবে উত্তপ্ত হবে। যার জেরে পশ্চিম প্রান্তও গরম হয়ে উঠবে। আর এই ভারসাম্যহীনতার দরুন বর্ষাও অন্য প্রান্তে সরতে থাকবে। Photo- Collected
তাঁদের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আর্থস ফিউচার জার্নালে। তাতে বলা হচ্ছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশ আরও সবুজ হয়ে উঠবে। যদিও এহেন গবেষণা এই প্রথম প্রকাশিত হয়নি। Photo- Collected
এর আগে ২০১৭ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সেন্টার ফর গ্লোবাল চেঞ্জ সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন যে, ২০০২ সাল থেকে ভারতীয় গ্রীষ্মকালীন বর্ষা যেন একটি পুনরুজ্জীবন পেয়েছে – প্রায় ৫০ বছরের শুষ্ক অবস্থার ক্ষেত্রে একটা বড়সড় পরিবর্তন। Photo- Collected
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরি থেকে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দেয় পৃথিবীর ‘ইনার কোর’ অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল। আমরা যে ভূপৃষ্ঠে বাস করি, সেখান থেকে পৃথিবীর মূল অংশটি প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার (৩১০০ মাইল) নীচে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই দাবি করে এসেছেন, ভূভাগ বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল অনবরত ঘুরে চলেছে। কিন্তু তার ঘূর্ণনের দিক সব সময় একমুখী হয় না। সময় বিশেষে যা দিক পরিবর্তনও করে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি নেচার জিওসায়েন্স একটি গবেষণার মাধ্যমে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছে। গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী এবং গবেষকেরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এক দিকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে যাওয়ার পর বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করেছে।
গবেষকদের দাবি, ঘড়ির কাঁটার দিকে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণন শুরু হলে কয়েক বছর পর তা আবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য এই ঘূর্ণন থেমেও যায়।
গবেষকদের দাবি, পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল এখন ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করেছে। আর এটিই চিন্তায় ফেলেছে অনেককে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্র হঠাৎ থমকে গিয়েছিল। তারপর বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা হালে এই বিষয়টি জানতে পেরেছেন এবং এটিও জানা গেছে, মোটামুটি প্রতি ৩৫ বছর অন্তর পৃথিবীর কেন্দ্রভাগ নিজের ঘোরার দিক পরিবর্তন করতে পারে। তবে কখনও কখনও ৭০ বছরও চলে এটি। ১৯৭০ সালের গোড়ার দিকে প্রথমবার পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণনের কথা টের পান বিজ্ঞানীরা। তাদের অনুমান, আবার ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রস্থল নিজের ঘোরার অভিমুখ বদলাতে পারে।
পিকিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্র্যন্ত হওয়া সব ভূমিকম্পের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণনের এই পরিবর্তন সম্ভবত দিনের দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। পৃথিবী নিজের অক্ষে যেভাবে সারাক্ষণ ঘুরে চলেছে, তার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে কেন্দ্রের ঘূর্ণন। কিন্তু ঘটনাটি বড় কোনও বিপদ ডেকে আনতে পারে?
এ ঘটনার ফলে জীবকুলের অস্তিত্ব কি বিপন্ন হতে পারে? গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, তেমন কোনও আশঙ্কা নেই। পৃথিবীর উপরিভাগে এই ঘূর্ণনের প্রভাব টেরও পাওয়া যাবে না। ফলে এই মুহূর্তে জীবকূলের কোনও ভয় নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তবে বিষয়টির ওপর নজর রাখা হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। বাড়ছে গরম, গলছে বরফ। দূষণের থাবায় জলবায়ু পরিবর্তন চিন্তা বাড়াচ্ছে। এসবের মাঝেই আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (USC)-এর বিজ্ঞানীদের করা একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী তথ্য। পৃথিবীর ঘূর্ণণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর আভ্যন্তরিণ অংশে বা কেন্দ্রভাগে ঘূর্ণণ ধীরে হয়ে গিয়েছে। অর্থাত্ পৃথিবীর উপরিভাগ যে গতিতে ঘুরছে, কেন্দ্রভাগ তার চেয়ে ধীরে ঘুরছে।
গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, ৪০ বছরে এই প্রথম এত ধীর গতিতে চলেছে পৃথিবীর কেন্দ্রভাগ। পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘোরা ধীরে হয়ে যাওয়ার কী প্রভাব পড়বে প্রকৃতিতে? তাও জানা গেল।
বিশ্বের অন্যতম প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা নেচার – এ প্রকাশির এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, মোটামুটি ২০১০ সাল থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণণ ধীর হওয়া শুরু হয়েছিল।
এই ধীর গতির প্রভাব পড়বে আর্থস ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রের উপর। সেইসঙ্গে দিনের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খুব অল্প অল্প, কয়েক সেকেন্ড করে বাড়তে পারে দিন-রাতের পরিমাণ। তবে এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের ফলে আরও কী কী ঘটতে পারে তা সম্পর্কে এখনও গবেষণা চলেছে।
বেশ কিছুদিন আগে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের কাজ চালানোর সময় পাওয়া গিয়েছিল একটি রহস্যময় নিদর্শন। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের ধাঁধায় ফেলে দেওয়া রহস্যময় ওই বস্তু ৩৩টি ডোডেকেহিড্রনের একটি।
জ্যামিতির ভাষায় ১২টি তলওয়ালা বস্তুকেই সাধারণত বলা হয় ডোডেকেহিড্রন। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের লিংকন শহরের অদূরে নর্টন ডিজনিতে খননের সময় রহস্যময় এই বস্তুটির সন্ধান পাওয়া যায়।
যুক্তরাজ্যের মিডল্যান্ডস অঞ্চলে কোনও রোমান ডোডেকেহিড্রনের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা সেটাই প্রথম। খননকার্য থেকে পাওয়া বস্তুটি মাত্র প্রায় তিন ইঞ্চি লম্বা ও ২৪৫ গ্রাম ওজনের। তবে এখনো পর্যন্ত এই রকম যে নিদর্শন পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটি বৃহত্তম বলে মনে করেন গবেষকরা।
এটি প্রায় এক হাজার ৭০০ বছর আগের বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের ধারণা এসব বস্তু খুব সম্ভবত রোমান আচার-অনুষ্ঠান বা ধর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু কোনও রোমান গ্রন্থে এরকম কিছু বস্তুর কোনও উল্লেখ নেই।
ঠিক কী এবং কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেননি গবেষকরা। এর সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে জল্পনাকল্পনা বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
কিন্তু জাদুটোনা, আচার-অনুষ্ঠান নাকি ধর্ম, কী ছিল সেই কাজ যা এগুলো দিয়ে সম্পন্ন করা হতো তা হয়তো আমরা ভবিষ্যতে কোনও গবেষণায় আমরা জানতে পারবো
চাকরির পরীক্ষা বা যেকোনও ধরণের কম্পিটিটিভ এক্সামে ভাল ফল করার জন্য জেনারেল বা সাধারণ জ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায় প্রতিটি পরীক্ষাতেই জেনারেল নলেজের প্রশ্ন থাকে।
তাই যেকোনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সাধারণ জ্ঞান এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। পাশ করতে গেলে তাই জিকে ভাল করে শিখে রাখা খুবই জরুরি।
এসএসসি, ব্যাংকিং, রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার সময় এই সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে।
সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলি অনেক সময় একটু প্যাঁচালো হয়। খুবই সাধারণ উত্তরের কোনও প্রশ্নকেই ধাঁধার আকারে লেখা থাকে। তাই জিকে ভাল থাকা অত্যন্ত জরুরি।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বলুন তো কোন ফল নিয়ে প্লেনে ওঠা যায় না? ধারালো অস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র নয়, তাও কী সেই ফল যা নিয়ে প্লেনে ওঠা যায় না।
নারকেল নিয়ে প্লেনে ওঠা যায় না। এর একটি বড় কারণ হল নারকেলের তেলের কারণে এটিকে তেলের দাহ্য পদার্থের তালিকায় ফেলা হয়।
তেমনই অন্য একটি প্রশ্ন হল কোন বস্তু শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজলে ওজন কমে হয়ে যায় ১ কেজি। আবার পুড়লে আরও ওজন বেড়ে যায়। হয়ে যায় প্রায় ৩ কেজি।
সচরাচর বেশিরভাগ বস্তু ভিজে গেলে ওজন বেড়ে যায়। এবং পুড়ে গেলে ছাই হয়ে একেবারে হালকা হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে একেবারে উল্টো হয়।
উত্তর হল সালফার। সালফার শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজলে ওজন কমে হয়ে যায় ১ কেজি। আবার পুড়লে আরও ওজন বেড়ে হয়ে যায় প্রায় ৩ কেজিquiz
Posts navigation
Just another WordPress site