লখনউ: আমেঠির মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন এক সাংবাদিক। সাংবাদিকের অভিযোগ, তাঁর মা বাড়ি সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে প্রায় ২ মাস ধরে যাচ্ছেন। কিন্তু, কিছুতেই সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। কিছুদিন আগে তিনি অফিসে হাজির হলে মহকুমাশাসক জানান তাঁর ‘মন ভাল নেই’ এরপরেই তাঁকে এবং তাঁর মাকে অফিস থেকে বের করে দেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী সাইনিকে নিয়ে বড় চমক! হরিয়াণা ভোটে ৬৭ জনের তালিকা প্রকাশ BJP-র
এই ঘটনার জেরে অভিনব প্রতিবাদে শামিল হন ওই মহিলা সাংবাদিক। তিনি মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে মাইক হাতে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। যা ঘটনা ঘটেছে বিস্তারিত ভাবে তিনি জনতার উদ্দেশে বলতে থাকেন। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।
ওই মহিলা সাংবাদিক অভিযোগে বলেন আমেঠির মহকুমাশাসক প্রীতি তিওয়ারি তাঁকে গ্রেফতারির হুমকি দিয়েছেন। এছাড়াও বাড়ি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যখন ওই সাংবাদিক তাঁর কাছে পৌঁছান তখন তিনি বলেন, “এখন আমার মন ভাল নেই।”
लोकतंत्र का चौथा स्तंभ।
जब बात अपनी पर आ जाये।
अमेठी में SDM प्रीती तिवारी जी के मूड ख़राब होने पर,
जब लखनऊ से आयी एक महिला पत्रकार का मूड ख़राब हो गया। pic.twitter.com/M1PggCbmcb
— Vineet kumar (@vineetspeaks) September 3, 2024
আরও পড়ুন:হরিয়াণা ভোটে কি কংগ্রেসের টিকিট পাচ্ছেন ফোগত? রাহুল গান্ধির হাতে হাত রেখে ছবি
মহকুমাশাসকের ঘর থেকে বেরোনোর পর ওই সাংবাদিক মাইকে জনতার উদ্দেশে বলতে থাকেন, ” প্রীতি দেবী, আপনি আমাদের জমি দখল করে রেখেছেন। আপনিই সেই জমি দখল মুক্ত করবেন।”
নিজে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবেই মহকুমাশাসকের অফিসে প্রবেশ করেছিলেন বলেও জানান ওই মহিলা। তিনি বলেন, “আমি এখানে একজন সাংবাদিক হিসাবে নয় একজন পীড়িত নারী হিসাবে লখনউ থেকে দৌড়ে দৌড়ে এখানে এসে হাজির হয়েছি। আপনার ভুল আদেশের ফলেই আমার ঘর দখল হয়েছে। আমার ন্যায় প্রয়োজন। আপনার প্রশাসন আপনাকে ভুল পথে চালনা করেছে কিন্তু আপনি নুন্যতম আমার কথাও শোনেনি।”
তিনি আরও অভিযোগ জানান, “আমাকে অফিস থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়, আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।”
সংবাদসংস্থা অনুযায়ী, ওই মহিলা সাংবাদিক মহকুমাশাসক প্রীতি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল করার অভিযোগ আনেন। এই বিষয়ে বহুবার তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করা হলেও যথাযোগ্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানান ওই মহিলা। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন ওই সাংবাদিক। এরপরেই ওই ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়ে ওঠে।