জুয়েল ও তার বাবা মা

Archery Championship: দেশের হয়ে তির ছুড়ে সফল হবে ছেলে, স্বপ্ন দেখছেন কৃষক বাবা-মা

মালদহ: বাংলার উঠতি তিরন্দাজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে দেশ। ছেলে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে এটাই বাবা-মায়ের কাছে তো গর্বের বিষয়ই তবে দেশবাসীর মতো জুয়েলের বাবা-মাও চাইছেন ছেলে দেশের হয়ে আরও ভাল কিছু যেন করতে পারে।

বর্তমানে জুয়েল সরকার ঝাড়গ্রামে বেঙ্গল তীরন্দাজ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখান থেকেই এবার সুযোগ মিলেছে এশিয়ান ইয়ুথ তীরন্দাজ চ্যাম্পিয়নশিপে। জোর কদমে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। এর আগেও একাধিক জাতীয় স্তর ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য এনে দিয়েছে মালদহের গাজোল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের এই তিরন্দাজ জুয়েল সরকার। সেই সুবাদেই প্রত্যন্ত এই গ্রাম থেকে প্রশিক্ষণের সুযোগ মিলেছে বেঙ্গল তীরন্দাজ একাডেমিতে। বর্তমানে সেখানে থেকেই পড়াশোনা ও তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বাবা নিশম সরকার বলেন, “আমরা কৃষক। ছেলেকে নিয়ে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। সরকারি সাহায্যে ছেলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ছেলের সাফল্য কামনা করছি”।

আরও পড়ুন: ট্রেনের এসি কামরার দুই যাত্রীকে প্রশ্ন পুলিশের, ‘কে আপনারা?’ সত্যি জানতে পেরেই দৌড় অফিসারের

মালদহের গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের ধোবাপাড়া গ্রামে বাড়ি জুয়েল সরকারের। বাবা নিশম সরকার একজন কৃষক মা নিরতি সরকার গৃহবধূ। এই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই কৃষক পরিবারের ছেলে জুয়েল একজন তিরন্দাজ হয়ে উঠছে। ছোটবেলা থেকেই তীর চালানোর শখ ছিল তার। সে সময়ই নজরে পড়ে গাজোলের তিরন্দাজ প্রশিক্ষক শ্রীমন্ত চৌধুরীর। শ্রীমন্ত চৌধুরী তাকে এই তীরন্দাজের হাতে খড়ি দেয়। তারপর আর পেছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে। সেই সুবাদে সুযোগ মিলেছে বেঙ্গল তীরন্দাজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। মা নিরতি সরকার বলেন, “ছেলের জন্য গর্বিত আমরা। ছেলের সাফল্য চাইছি আমরা। দেশের হয়ে ভাল ফল করুক এই চাই”।

আরও পড়ুন: ১০০০ টাকা নিয়ে এই দেশে গেলেই হবে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে যাবেন নাকি?

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ান ইউথ তিরন্দাজ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই দলে রয়েছে মালদহের এই উঠতি তিরন্দাজ। বাড়িতে বসে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন বাবা-মা সমেত পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশীরা। সকলেই চাইছেন আন্তর্জাতিক স্তরের এই প্রতিযোগিতায় ভাল করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক তাঁদের ঘরের ছেলে।