গোপীবল্লভপুর: আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের স্মরণে কাপগাড়িতে চারাগাছ রোপন করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এমনকি গাছটির রক্ষণাবেক্ষণার দায়িত্ব নিল ‘আযর্ভ’। শুক্রবার ‘আর্যভ’-র উদ্যোগে জামবনি ব্লকের কাপগাড়িতে অবস্থিত সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবির এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।
এদিন ৪০ জন কলেজ পড়ুয়া থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করা হয়। কলেজের অধ্যাপক-পড়ুয়া মিলে ৩০ জন রক্তদানও করেন। থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যানসার সম্পর্কে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন কলকাতার প্রখ্যাত হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক দেবমাল্য ভট্টাচার্য।
রক্তদানের সুফল নিয়ে বক্তব্য রাখেন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক কার্তিকচন্দ্র নস্কর। থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং রক্তদান করা অধ্যাপক-পড়ুয়াদের হাতে গোলাপ ফুল ও শংসাপত্র তুলে দেন ‘আর্যভ’-র সভাপতি তথা অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী, কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু।
‘আর্যভ’-র সভাপতি তথা অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “আমি এখন সত্তর ছুঁই ছুঁই। আমি রক্ত দিতে পারি না। কিন্তু শ্রম, বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিতে পারি। সে জন্যই কলকাতা থেকে এখানে ছুটে আসা। থ্যালাসেমিয়া আটকানো সম্ভব যদি আমরা একটু সচেতন হই।’’
আগামী প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত না হয় সে জন্য আরো বেশি সচেতনতা দরকার সমাজে। আজ পুরো পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল নারী সম্মান নিয়ে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ভারতবর্ষে এবং সারা পৃথিবীর একটা ব্যাধি। এখানে কিছু কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নারীদের সম্মান দিতে পারেন না। তাদেরকে চিহ্নিত করুন।
এই সমাজকে দূষণ মুক্ত করুন। আবার আমরা ভালো সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নতুন প্রজন্ম যে উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছে তাতে আমার বিশ্বাস আমার সবাই ঠিক পথে এগোচ্ছি। নির্যাতিতার স্মরণে বসন্তরাণী নামে একটি গাছ রোপন করলাম। ভবিষ্যতে যাতে নারী সুরক্ষার ব্যাপারে আরওএকটু চিন্তা ভাবনা করা যায় এবং মানুষ যাতে একটু সচেতন হয় তা কামনা করি।
‘আর্যভ’-র সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী বলেন, “সমাজের আলোকবৃত্ত থেকে যাঁরা এখনও বঞ্চিত এবং ভৌগলিক গত কারণেপ্রান্তিক অবস্থানের জন্য পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদেরকে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানটি আমরা আরজি করের নির্যাতিতার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম\”। কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু বলেন,”আর্যভ যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার কলেজে এসেছিলেন তাতে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক সকলেই আমরা উপকৃত হয়েছি।”
Buddhadev Bera