অনেক অভিনেতা যারা বড় পর্দায় ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হন, তারপর টিভি-তে তাদের ভাগ্য চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ সাফল্যও পান। এমনই একজন অভিনেত্রী, যিনি চলচ্চিত্রে শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন, বেশ কয়েকটি ফ্লপ দিয়েছিলেন, পরে টিভিতে চলে আসেন এবং রাতারাতি সুপারস্টার হন।ভাগ্য তাঁর হাতের মুঠোয়ে, যে অভিনেত্রীর কথা বলছি তিনি ঐশ্বর্য রাই, রানি মুখোপাধ্যায়, অভিষেক বচ্চন এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কাজ করেছেন৷বক্স অফিসে তাঁর ছবি ফ্লপ হলেও তিনি নিজেকে টেলিভিশনে সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতি এপিসোডে আয় করেন দেড় লক্ষ টাকা!তিনি ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া টেলিভিশন অভিনেত্রীদের একজন। ১৯৯৫-এ আকেলে হাম আকেলে তুম দিয়ে শিশু অভিনেতা হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ১৯৯৭-এ রাজা কি আয়েগি বারাতে অভিনয় করেন।পরবর্তীতে ১৮ বছর বয়সে, তিনিঐশ্বরিয়া রাই এবং অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে কুছ না কাহো ছবিতে সাইড রোলে অভিনয় করেন৷ তারপরে তিনি টেলিভিশনের জন্য বলিউড ছেড়ে যান এবং শাকালকা বুম বুম শোতে পিয়া, কুসুম, কার্তিকা, কসৌটি জিন্দগি কে এবং আরও অনেক কিছুর চরিত্রে উপস্থিত হন। তিনি করণ ওয়াহির সঙ্গে দিল মিল গেয়ে তার সাফল্য পেয়েছিলেন।এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। তিনি সরস্বতীচন্দ্র, বেহাদ, বেপান্নাহ, বেহাদ ২ এবং আরও অনেক কিছুর মতো টেলিভিশন শোতে তার অভিনয় দিয়ে মন জয় করেছেন।বক্স অফিসে তাঁর ছবি ফ্লপ হলেও তিনি নিজেকে টেলিভিশনে সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।তিনি জেনিফার উইঙ্গেট৷২০১৩ সালে লাইফ রিবুট নাহি হোতি এবং ফির সে দিয়ে ছবিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, কিন্তু এই ছবিগুলি ফ্লপ হওয়ার পরে, তিনি বলিউড ছাড়েন। যাইহোক, তিনি এখনও টিভির সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন। তার ওয়েব সিরিজ, কোড এম এবং রাইসিংহানি VS রাইসিঙ্গানি অনেকের মন জয় করেছে।সর্বোচ্চ আয় করা তারকাদের মধ্যে একজন হওয়া ছাড়াও, ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী বিরাট ফ্যান ফলোয়ার৷ এমনকী বলিউডের কিছু শীর্ষ অভিনেত্রী যেমন ঐশ্বর্য রাই (১৪.২ মিলিয়ন), কঙ্গনা রানাউত (৯.৯ মিলিয়ন), কারিনার থেকেও বেশি তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা৷তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন এবং প্রতি পর্বে ১.৫০ লক্ষ টাকা আয় করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা।
