: আজকালকার যা জীবন তাতে শরীর সুস্থ রেখে দিন কাটানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ ডায়াবেটিস , ইউরিক অ্যাসিড, হাই প্রেশার, কোলেস্টোরল এই সব সমস্যা এখন আর বয়সের সীমারেখা দেখে না৷ যে কোনও বয়সেই শরীরে থাবা বসাতে পারে এই রোগগুলি৷ যার ফলে একবার যদি আপনি ওষুধ খাওয়া শুরু করেন তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরো জীবনের জন্য সেই ওষুধ আপনার সঙ্গী হয়ে যায়৷ আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে চান তবে আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুম, ভাল খাওয়াদাওয়া এবং পরিমাণ মতো জল খেতে হবে৷ Photo- Representativeএকই সময়ে আপনার একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারাও প্রয়োজন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ভারতে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে, আগে এই সমস্যাটি শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যে দেখা যেত, কিন্তু আজকাল এটি অল্প বয়সেও দেখা যায়। Photo- Representativeইউরিক অ্যাসিড বর্তমান সময়ে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যা খারাপ ডায়েট এবং খারাপ জীবনযাত্রার কারণে হতে পারে। অনিয়মিত জীবনযাত্রার প্রভাবে শরীরে রক্তে সুগারের মাত্রা, স্ট্রেস এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, যার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। Photo- Representativeইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। শুকনো মটরশুটি, ডাল, অ্যালকোহল, মটর এবং বিয়ার নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা প্রবল হয়৷ প্রতিদিন এই ধরনের খাবার খেলে শরীরে প্রোটিন ভেঙে পিউরিন তৈরি হয় এবং শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। Photo- Representativeমীরা রোডের ভারহার্ড হাসপাতালে কনসালটেন্ট ইউরোলজিস্ট আশুতোষ বাগেল বলেন, ‘‘যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বেড়ে যায়, তখন অনেক উপসর্গ দেখা দেয়। তার মানে হাঁটু ব্যথা, গোড়ালি ব্যথা, আঙুলে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাত ব্যথা, কব্জি ব্যথা সবই ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ।তাই কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে মাত্র ১০ দিনেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে পারেন।’ Photo- Representativeএখন দেখা যাক কিভাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঘরোয়া টোটকায় কমানো যায়। শসার রসে জিরার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে শরীরের ভাল হয়৷ শসাতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে৷ Photo- Representativeএটি রসের আকারে খেলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড এবং বিভিন্ন টক্সিন বের হয়ে যায়। তাই আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে শসার রস পান করার অভ্যাস করুন। বিশেষ করে গ্রীষ্মে হাইড্রেটিং পানীয় হিসেবে এই জুস আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। Photo- Representativeতাই পুষ্টিগুণে ভরপুর স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ৷ অতিরিক্ত খাবেন না। Photo- Representativeএছাড়াও, যেহেতু ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান বা যে ফলে ভিটামিন সি আছে সেই রস খান। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। Photo- Representative
