দেখতে অবিকল লাউ-এর মত, নাম হল বালম খিরা। বৃষ্টির আগে এই ফল চাষ করা হয়। বৃষ্টির পর ফল পেকে যায়। ফলটি পাকলে ভিতর থেকে জাফরান রঙের হয়, তাই একে জাফরান বালম খিরাও বলা হয়। এই ফলটি স্বাদে মিষ্টি, এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। ওই এলাকার আদিবাসী মহিলারা মাঠ ও বনাঞ্চল থেকে এই ফল শহরে এনে বিক্রি করে, যা থেকে তাঁদের প্রচুর আয় হয়।বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা আয়ুর্বেদ অফিসার ডা. দামোদরপ্রসাদ চতুর্বেদী বলেন, বালম খিরা রাজস্থানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি একটি মরশুমি ফল, সবজি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর মূল, বীজ, ছাল- সমস্ত অংশ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।বালম খিরা পেটের পাথর, চর্মরোগ এবং জ্বরের মোকাবিলা করতে অত্যন্ত কার্যকর। অ্যাসিডিটি, ডায়াবেটিস, প্রস্রাবের রোগ এবং ধাতু রোগেও এটি ব্যবহৃত হয়। এই ফল লিভারের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি অন্ত্রের ফুলে যাওয়া এবং পেট ফোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। এই ফল যক্ষ্মা রোগেও কার্যকর।
ডা. দামোদর আরও জানান , এই ফলটি বিটনুন এবং টম্যাটোর সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। এই ফল থেকে মরশুমি সবজিও তৈরি করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এটি খাওয়ার আগে কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
