পাথরপ্রতিমা: নাম ‘ময়না’, কাজ সকাল থেকে উঠে গ্রামের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর রাখা, কথা বলা। তবে এই ময়না মানুষ নয়, মানুষের মত কথা বলা পাখি। এই পাখি শুধু কথা বলে তা নয়, এই পাখি মানুষের মন বুঝতে পারে, সকলের কথা বুঝে উত্তর দিতে পারে। ছোট বেলায় যখন পাখিটিকে কুড়িয়ে পেয়িছিল স্থানীয় এক বৃদ্ধা অনিমা মিদ্যা, তখন তিনিও বুঝতে পারেননি এই পাখি একসময় তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে।
সেই অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ছোট বেলায় ওকে যখন কুড়িয়ে এনে নিজের কুঁড়ে ঘরে রেখেছিলেন তখন পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। একদিন হাঁসদের তিনি ডাকছিলেন, সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন পাখিটিও ডাকছে আয় আয় করে। সেই থেকে শুরু, এখন সে শিষ দেয়, কথা বলে। তার কথার জাদুতে মুগ্ধ গ্রামবাসীরা। আর হবে না বা কেন।
ময়না তো খোঁজ নেয় সকলের। সকলের সঙ্গে বকবক করে। পাখির সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দাদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাকে রাখা হয় না কোন খঁচায়, ছাড়া তাকে সে, কখনওপালিয়ে যায়নি। থেকে গিয়েছে পাথর প্রতিমার দূর্বাচটি তৃতীয় খন্ডে। এভাবে পাখি ও মানুষের মিলন মুগ্ধ করেছে সকলের।
নবাব মল্লিক