মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ ঘটনা, আক্রান্ত আর্মি অফিসার

Madhya Pradesh News : সেনা কর্মীদের বেধরক মার, বান্ধবীকে গান পয়েন্টে গণধর্ষণ! ইনদউরে হাড়হিম ঘটনা

নয়াদিল্লি : মধ্যপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হলেন দুই সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের দুই মহিলা বন্ধু৷ ইনদউরে বুধবার ভোরে দুষ্কৃতীরা এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে ওই দুই আর্মি অফিসার ও তাঁদের দুই মহিলা বন্ধু পিকনিক করতে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটে।

আরও পড়ুন : নেকড়ের পর বাহরাইচে এবার নতুন আতঙ্ক, একশোরও বেশি মানুষ আহত, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, অফিসারদের বয়স ছিল ২৩ এবং ২৪৷ তাঁরা রাজ্যের মহউ ক্যান্টনমেন্ট শহরের ইনফ্যান্ট্রি স্কুলে ইয়ং অফিসারের (YO) কোর্স করছিলেন।

সব ঠিকই ছিল৷ তবে সমস্যা দেখা দেয় দুপুরের দিকে৷ মহউ-মন্ডলেশ্বর রোডের পিকনিক স্পটের কাছে হঠাৎই চলে আসেন সাত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে বসে চারজনকে৷ বদগোন্ডা থানার ইনচার্জ লোকেন্দ্র সিং হিরোর জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একজন অফিসার এবং দুই মহিলাকে প্রচণ্ড মারধর করেছেন।

আরও পড়ুন : হাতে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকলেই হল…! এই ১০ দেশে পুজোয় বিনা ভিসায় ঘুরে নিন, কোন কোন জায়গা জানুন

দুষ্কৃতীরা অফিসারদের কাছে ১০ লাখ টাকাও দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি চোখে পড়তেই কিছুটা দূরে থাকা সেকেন্ড অফিসার ঘটনাটি সিনিয়রদের জানান। বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়।

হিরোর জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় একজন নারীকে ধর্ষণের বিষয়টা নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ এবং অস্ত্র আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর (বিএনএস) অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।

ইনদউরের  পুলিশ সুপার (এসপি), হিতিকা ভাসাল জানিয়েছেন, “পুলিশের তথ্য অনুযায়ী চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। সেখানে দুজনকে মারধর করা হয়, এবং ১০ লাখ টাকা আনার হুমকি দেওয়া হয়।”

পুলিশ সুপার সঙ্গে যোগ করেছেন, “অভিযোগকারীর বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের মহিলা বন্ধুকে একটি কোণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তারপরে তিনি তাঁর চিৎকার শুনতে পান। অপ্রীতিকর কিছু ঘটেছে বলেই তাঁর ধারণা। পুলিশ খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশের ১০টি দল তদন্ত করেছে এবং অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

ভাসাল আরও বলেছেন যে পুলিশ এখনও মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করতে পারেনি৷ সেটা পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।