জলপাইগুড়ি: স্কুল পড়ুয়ার হাতের স্পর্শেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা উমার। পুজোর বাকি এক মাসেরও কম সময়।পাল পাড়ায় চোখে পড়ে মৃৎশিল্পীদের দিন রাত অক্লান্ত ব্যস্ততা। কিন্তু, খানিক অন্যরকম চিত্র উঠে এল জলপাইগুড়িতে। মৃৎশিল্পী বাবার কাজে সাহায্যের হাত দুই ছোট্ট ছেলের। বাবার হাত ধরেই এখন শিল্পী হওয়ার মুখে দুই স্কুল পড়ুয়া ছেলে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তপাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ পাল।
পূর্ব পুরুষের পরম্পরা অনুযায়ী দীর্ঘ ৪০ বছরের উপর ধরেই প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তিনি। এবছর ১৫ টি দুর্গা প্রতিমা বানানোর বরাত পেয়েছেন। তবে একা নন, প্রতিমা নির্মাণে কৃষ্ণ বাবু পাশে পেয়েছেন তার দুই সন্তানকে। তারাই এখন ভরসা। কৃষ্ণ বাবুর বড়ো ছেলে শুভজ্যোতি পাল, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং তার ছোটো ছেলে দেবজ্যোতি পাল, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি দুই ভাই সমান তালে সাহায্য করছে বাবাকে।
আরও পড়ুন: রাস্তা পার করছে হাতি! ছবি তুলতে গিয়েই বিপাকে ২ যুবক, চটল দাঁতাল, তার পর…
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ বাবু জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজে হাত লাগাতে হয়। মিশনেই প্রতিমা গড়ার কাজে সময় দিতে হয় অনেকটা। সবটা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। তবে সন্তানদের পাশে পেয়ে মনে জোর পেয়েছেন তিনি। বতর্মানে প্রতিমার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে মাটির দামও বেড়েছে অত্যধিক। অন্যদিকে, শ্রমিকের মজুরিও অনেক। তাই শ্রমিক নেওয়া বড্ড দায়। ভরসা ছেলেরাই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সুরজিৎ দে