মৃতদের স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ, প্রতীকী ছবি।

Disaster in West Bengal: ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মৃত্যু হয় বহু মানুষের, এখনও মেঘ দেখলে ভয় পান বাসিন্দারা

পশ্চিম মেদিনীপুর: দিনটা ছিল ১৯৯৮ সালের ২৪ শে মার্চ। কিছুক্ষণের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বাংলা এবং ওড়িশার বেশ কয়েকটি গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের, আহত হয়েছিলেন একাধিক জন। সামান্য কয়েক মিনিটের টর্নেডো ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল বাড়িঘর, ভেঙে ফেলেছিল ট্রাক, গাড়ি বিশাল বিশাল পাকা বাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিস।

আরও পড়ুন: সস্তায় বিমানবন্দর থেকে পুরনো জিনিস কিনলেন মহিলা, ভিতর থেকে যা বেরোল দেখলে লজ্জা পাবেন

ভয়াবহ এই দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষ মিশে গিয়েছিল ধুলোতে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় একাধিক স্কুল ছাত্রের। মৃত্যু হয় সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। অতিক্রান্ত প্রায় ২৬টা বছর, এখনও আকাশ মেঘলা হলে ভয় নামে বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে এলাকাবাসীদের।

আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে রাজি হয়েছিলেন সঞ্জয়, দিলেন না নার্কো টেস্টের সম্মতি! কেন আলাদা এই দুই পরীক্ষা?

তখন সবে দুপুর গড়িয়েছে, হঠাৎই কালো হয়ে আসে আকাশ। ওড়িশার জলেশ্বরের গোবরঘাটা এলাকায় সুবর্ণরেখা নদীতেই উৎপত্তি হয় টর্নেডোর। নদীর পারে থাকা একাধিক বড় বড় লরিকে দুমড়ে মুছেড়ে দিয়েছে। বিভিন্ন ভারী ভারী জিনিস তুলে এনে ফেলছে এদিক থেকে ওদিক। লাল হয়ে গিয়েছে বাকি আকাশ। কালো হয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। পাকা বিদ্যালয়ের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় একাধিক শিক্ষার্থীর, মৃত্যু হয় শিক্ষকের। গ্রামেও মৃত্যু হয় একাধিক গ্রামবাসীর।

এখনও আকাশ কালো হলে কিংবা ঝড় উঠলে ভয় পান এলাকার মানুষ। দাঁতনের বুকে সোনাকোনিয়ার একটি ইটভাটায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল টর্নেডো। সেই দিনটা এখনও স্মৃতিতে টাটকা মালিকপক্ষের কাছে। ২৬ বছরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। ভাঙা ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তবে নদীকেন্দ্রিক এলাকার মানুষজন ভয়েই থাকেন। এই বুঝি না কোনও বিপদ ঘনায়।