কুলার নিয়ে মারপিঠ, বিয়ে ভাঙল মণ্ডপেই

Uttarpradesh News : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

বালিয়া: যৌতুক নিয়ে প্রবল ঝামেলা। আর সেই কারণে মণ্ডপেই বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়৷ তবে কুলার নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় বিয়ে ভেঙে গিয়েছে৷ এমন ঘটনা কখনও শুনেছেন? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা আপনাকে অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

আসল ব্যাপারটা কী? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এই মুহুর্তে প্রচণ্ড গরম৷ একটু ঠান্ডার জন্য সবাই অস্থির হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যে আবার বিয়ে বাড়ি৷ পাত্র পক্ষ যথা সময়ে এসে পৌঁছায় মেয়ের বাড়িতে৷ এরপরেই সমস্যার সূত্রপাত৷ কন্যা পক্ষের তরফে কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তার সামনে কে বসবে সে নিয়ে প্রবল ঝামেলা শুরু হয় পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের লোকেদের মধ্যে৷ পরে যা মারামারিতে পরিণত হয়৷ এই ঝগড়া ও মারামারির খবর কনের কাছে পৌঁছতেই তিনি বেঁকে বসেন৷ বলে দেন, এই বিয়ে তিনি আর করবেন না।

আরও খবর : প্রবল বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে ডুবে গেল XUV-700, মৃত্যু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের

পুরো বিষয়টি বালিয়া জেলার নগর পঞ্চায়েতের চিতবরগাঁও থানা এলাকায় ঘটেছে। বর হুকুমচন্দ্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা সিকান্দারপুর থানা এলাকার মুস্তাফাবাদের বাসিন্দা। মেয়ে সুন্দর, তাই যৌতুক ছাড়াই বিয়েটা হত৷ কিন্তু পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের মধ্যে সামান্য বিবাদ হওয়ায় মেয়েটি এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।”

এক কুলারের জন্য বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি৷ কুলার নিয়ে বিয়ের অতিথিরা নিজেদের মধ্যে এমন ঝামেলা শুরু করেন যে তার ফল ভোগ করতে হয়েছে বরকে। বিয়ের সময় পাত্রী যখন জানতে পারেন যে কুলার নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে দুই পক্ষ, তখন তিনি বলেন, “এখনই এমন ঝগড়া-মারপিঠ শুরু হলে বাড়ি গিয়ে কী হবে? এই বিয়ে শুভ নয় এবং আমি বিয়ে করব না।”

আরও খবর : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী, শিউরে ওঠা ঘটনা মহারাষ্ট্রে

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসরে নামতে হয় বরকে। তিনি কনেকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বর বলেন, বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এমন হতেই পারে। এটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই, কিন্তু পাত্রী এই বিয়েতে বসতে আর রাজি হননি।

বিয়েতে এয়ার কুলার নিয়ে বিবাদ শুধু ঝগড়াতেই থেমে থাকেনি, তা বড় লড়াইয়ের রূপ নেয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয। পুলিশ উভয় পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়। চিতবরগাঁও থানার সভাপতি প্রশান্ত চৌধুরীর জানিয়েছেন, “পুলিশ উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি এবং বিয়ে ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত, শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়৷”