Tag Archives: Bengali News

Youth Death: চাষের জমির সামান্য উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ লাইন! মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

ঝাড়গ্রাম: সামান্য বেখেয়ালে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাঁকরাইল থানার ঘোড়াপাড়া এলাকায় অরুণ মান্ডি (৪০) নামে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একটি মোষেরও। একটি কৃষি জমির উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি চাষের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন অরুণ মান্ডি। ওখানে খুব নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইন। তারই সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন কিছুটা দূরে একটি মোষ একইরকমভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ মন্ডির বাড়ি ঝাড়গ্রামের লাউদহ গ্রামে। সূত্রের খবর, তিনি সকালে একটি মোষকে মাঠের দিকে চড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই খুব নীচ দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে চলে আসেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

রঞ্জন চন্দ

Ram Navami 2024: সাবধান! অনেক ওপর থেকে নজর রাখছে পুলিশ, উড়ছে ড্রোন

উত্তর ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমেই বুধবার রামনবমী। আর তা নিয়া সর্বত্র সাজো সাজো রব। গত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বাংলায়। যদিও এই দৃশ্য অতীতে দেখা যেত না। ফলে এবার ঝুঁকি না নিয়ে সকাল থেকেই ড্রোন উড়িয়ে পথ-ঘাট, অলিতে-গলিতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনরকম অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। বুধবার সকাল থেকেই বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়ছে এখানকার এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে যে সকল জায়গায় রামনবমীর শোভা‌যাত্রা বের হওয়ার কথা আছে সেই এলাকাগুলিতে পুলিশের নজরদারি তুঙ্গে উঠেছে। পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও চালানো হচূ কড়া নজরদারি। যাতে কোন‌ওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

আর‌ও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মাঠে দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন!

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব চালায় আরো বেশি সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। বারাকপুরের প্রতিটি থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি শোভাযাত্রায় নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। যে সমস্ত রাস্তা দিয়ে মিছিল যাওয়ার কথা সেই জায়গাগুলিতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আপাতত থেকে যাওয়া এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। এদিন নিউ বারাকপুর থেকে বের হওয়া রামনবমীর শোভাযাত্রায় তত লোকজন না থাকলেও, দেখা গেল শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যপক পুলিশি নজরদারি। ছিলেন ঘোলার এসিপি তনয় চ্যাটার্জি, থানার ওসি সুমিত কুমার বৈদ্য সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এদিনের এই রামনবমীর শোভা‌যাত্রা শেষ হয়। জেলার অন্যান্য প্রান্তেও শোভাযাত্রা ঘিরে বাড়তি নজরদারি চোখে পড়ছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Wedding House Chaos: বিয়ে বাড়ির ভোজ রইল পড়ে, মারামারি করে হাসপাতালে কনে ও পাত্রপক্ষের লোকেরা!

মুর্শিদাবাদ: বিয়ে বাড়িতে খেতে গিয়ে এমন পরিণতি হবে কে আর ভেবেছিল। আনন্দের ভোজসভা বদলে গেল হাতাহাতিতে। শেষে মারামারি করে হাসপাতালে যেতে হল পাঁচ নিমন্ত্রিতকে। বড়ঞার ঘটনা। ক্যাটারিংয়ের ছেলেদের সঙ্গে পাত্রপক্ষের বিবাদ দিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে সেটা মেয়ের বাড়ির সঙ্গে ছেলের বাড়ির অতিথিদের মারামারিতে পর্যবসিত হয়।

মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত খোরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিমাটি গ্রামে। এই ঘটনায় বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জ সহ তাঁর পরিবারের সবাই আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গুরুতর আহত পাঁচজনকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একরামুল হক, হাজিকুল ইসলাম, আসিকুল রহমান, বাকু শেখ, রামেজ শেখরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আর‌ও পড়ুন: শুরু হয়েছিল ওপার বাংলার ঢাকায়, সেই বাসন্তী পুজো এখন ধুমধাম করে জলপাইগুড়িতে

আহত একরামুল হক জানান, মঙ্গলবার বিয়ের ভোজ ছিল গ্রামেই। বিয়ের ভোজ খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর সেই ভোজ খেতে গিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। খাবার চাইতে গিয়ে ক্যাটারিং-এর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় পাত্র পক্ষের। পরে সেই বিবাদ আরও বড় আকার নেয়। কোণে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন পাত্রপক্ষের বাড়ির লোকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তাতেই গুরুতর আহত হন গ্রামের পাঁচজন। তাঁদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়ঞা থানার পুলিশ। যদিও কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি।

কৌশিক অধিকারী

Chaiti Chhath Puja: চৈত্র ছট পুজো পালন জলপাইগুড়িতে! করলা নদীর তীরে ভক্তের ঢল

জলপাইগুড়ি: চৈত্রের শেষে শুরুতে ছট পুজো! শুনে অবাক হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রথা মেনেই আয়োজিত হল চৈত্র ছট। সেই উপলক্ষে জলপাইগুড়ি শহরের কিং সাহেব ঘাটে করলা নদীর তীরে ছট পুজো করার দৃশ্য দেখা গেল।

হিন্দিভাষী সম্প্রদায়ের কাছে ছট একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রত ও উৎসব। আর এই চৈত্র ছট পুজোকে কেন্দ্র করে সাত দিন তাঁরা পুজো সহ উপবাস পালন করেন। তারপর শুরু হয় ছট পুজো। এই ছট পুজোকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর ধারে বহু ভক্তের সমাগম হয়। চৈত্র মাসে এই পুজো হয় বলে এর নাম চৈত্র ছট। যদিও কালীপুজোর পর যে ছট পুজো হয় সেই রীতি মেনেই এই ছট পুজো হয়ে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: প্রথম দফায় মাথা ব্যাথার নাম কোচবিহার, মোতায়েন ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

লাউ-ভাত, খরনা সহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালনের পর আজ নদীর জলে নেমে ছট ভক্তরা ছট উৎসব পালন করেন। জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর তীরে কিং সাহেবের ঘাট এলাকায় প্রতি বছরই এই ছট পুজো অনুষ্ঠিত হয় । কালী পুজোর পর যে ছট পুজো হয় তার তুলনায় এই ছট পুজোতে ভক্তদের সংখ্যা অনেকটাই কম দেখা যায়।

সুরজিৎ দে

Rama Navami: গুচ্ছ নির্দেশ মেনে রামনবমী, নির্দেশ পুলিশের

নদিয়া: আসন্ন রামনবমী উপলক্ষে প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন শান্তিপুর থানায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর অঞ্চলের প্রায় ৫০ টি পুজো কমিটির সদস্যরা।

আগামী ১৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে রামনবমীর উৎসব, চলবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই উৎসব পালন করার রেওয়াজ দেখা যায় শান্তিপুরে। যদিও এই উৎসবকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছর সরকারি ছুটি থাকে না, কিন্তু এই বছর রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে।

আর‌ও পড়ুন: শহর বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ওরা

এদিকে রামনবমীর উৎসব উপলক্ষে গত কয়েক বছর দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। তাই এবার যে কোনও অপ্রীতকর ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই তৎপর পুলিশ প্রশাসন। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালটু হালদার, ছিলেন এসডিপিও শৈলজা দাস, দমকল দফতরের আধিকারিকরা। শান্তিপুর থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর গোবিন্দ বিশ্বাস, শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও ছিলেন।

এই প্রশাসনিক বৈঠকে প্রত্যেক পুজো কমিটিকে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। শোভাযাত্রা আইন মেনে পালন করতে হবে, নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, সময়মতো শোভাযাত্রা শেষ করতে হবে। যদি কোথাও কোনও পুজো উদ্যোক্তা মণ্ডপসজ্জা করেন তার জন্য অগ্নি নির্বাপন দফতরে লিখিত জানাতে হবে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কোনও দুর্ঘটনা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

মৈনাক দেবনাথ

Jalpaiguri Mini Tornado: মিনি টর্নেডো বিধ্বস্ত গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প, শিশুর চোখ থেকে বের হল পাথর

জলপাইগুড়ি: মিনি টর্নেডোয় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির গ্রামে বসল মেডিকেল ক্যাম্প। সেদিনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাথর ঢুকে গিয়েছিল গ্রামের এই এক শিশুর চোখে। মেডিকেল ক্যাম্পে সেই পাথর বের করা হল তার চোখ থেকে।

বিধ্বংসী ঝড় এসে শুধুই যে ঘর-বাড়ি কেড়ে নিয়েছে তা নয়। কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের শারীরিক, মানসিক শান্তিও। ওলট পালট দমকা হাওয়ায় একটি শিশুর চোখে নীচে ক্ষত তৈরি হয়ে ঢুকে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গুঁড়ি গুঁড়ি পাথর। গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প বসানোর পর সেখানকার চিকিৎসকরা সেই পাথরগুলি বের করে শিশুটিকে বিপদমুক্ত করেন। ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামের ঘটনা।

আর‌ও পড়ুন: স্কুলে যাওয়ার পথে অটো উল্টে গুরুতর জখম দুই শিক্ষক

রবিবার কয়েক মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ এবং পুটিমারি এলাকা। বিধ্বংসী ঝড়ে আহত হয়েছে বহু মানুষ। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আহতরা। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এবার সেই এলাকার মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এগিয়ে এল মেডিকেল ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

টর্নেডো বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। সদস্যদের হাত দিয়েই এদিন বেরিয়ে এল এক শিশুর চোখের নিচে ক্ষত থেকে পাথর। গত মঙ্গলবার থেকে এই সংস্থার সদস্যরা চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে। এদিন চোকুয়া বাড়ি এবং ভাটিবাড়ি এলাকায় চিকিৎসা শিবির করেন সংস্থার সদস্যরা। এতে খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছে বাসিন্দাদের।

সুরজিৎ দে

Bike Accident: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতেও রেহাই পেলেন না ভ্যানচালক! বেপরোয়া বাইক কেড়ে নিল প্রাণ

উত্তর ২৪ পরগনা: সীমান্ত এলাকায় আবারও বেপরোয়া গতির বলি হল তরতাজা যুবক। মেলায় দোকান দিয়ে ইঞ্জিনভ্যানে চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বেপরোয়া বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ গেল তরণী সেনের। একই দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা তিন যুবকের মধ্যে অর্ক রায় নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় জোড়া মৃত্যুর বিষয়টি ঘটেছে বাগদা থানার কাকলিমারি ব্রিজ সংলগ্ন চাঁদা রায়পুর এলাকায়।

দুর্ঘটনার জেরে বাইকে থাকা আরও দুই যুবক মুস্তাকিন মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ মণ্ডল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি বনগাঁ থানার গাড়াপোতার পাগলতলা এলাকায়। ইঞ্জিন ভ্যানচালক মৃত তরণী সেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মেলায় দোকান দিয়েছিল তিনি। রাতে মেলা শেষ করে বাগদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত তরণী সেনের সঙ্গে আরও দু’জন সহকর্মী ছিলেন। তাঁরা অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে করে আসছিলেন। সহকর্মী বিষ্ণু দাস বলেন, দাদা ইঞ্জিনভ্যান নিয়ে রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় একটি বাইক সজোরে এসে ইঞ্জিনভ্যানে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ইঞ্জিনভ্যান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন দাদা ও বাইকে থাকা তিন যুবক।

আর‌ও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! তাঁতিদের তাঁত ঘরে নেই কাপড়, ঝুলছে পেঁয়াজ

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তিন বাইক আরোহী ও ইঞ্জিন ভ্যানচালকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এবং এক বাইক আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছে আরও দুই যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছে না ইঞ্জিন ভ্যান চালক তরণী সেনের পরিবার। সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Lok Sabha Election 2024: ভোট আসে-যায়, পরিস্থিতি বদলায় না! নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকে গোটা গ্রাম

আলিপুরদুয়ার: ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু পরিস্থিতি আর বদলায় না তোর্ষা পাড়ে। ধ্বংসাবশেষের মাঝে পুরনো স্মৃতি খুঁজে বেড়ান বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন ছোট মেচিয়া বস্তি এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁদের দাবি আজও পূরণ হয়নি। লোকসভা নির্বাচন সামনে। কিন্তু কোন‌ও দলের প্রার্থী তাঁদের এলাকায় পরিদর্শন করতে আসেন না, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন না বলে অভিযোগ ছোট মেচিয়া বস্তির বাসিন্দাদের।

নিজের ভাঙা বাড়ি দেখে এখনও চোখের জল ফেলেন ললিতা বিশ্বকর্মা। তাঁর স্বামী অনেক কষ্ট করে পাকা বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু নদীর গ্রাসে বাড়ির অধিকাংশই তলিয়ে গিয়েছে। যা রয়ে গিয়েছে তা বসবাসের যোগ্য নয়। বাধ্য হয়ে অন্যত্র মাসে হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতে হচ্ছে। একই পরিস্থিতি কণিকা বর্মন, মুন্না বর্মনদের। নদীতে পাকা বাঁধ নির্মাণ হবে কিনা জানেন না তাঁরা। বিকল্প উপায় হিসেবে পুনর্বাসনের দাবি তুলছেন। এই মানুষগুলো জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যত্র জায়গা দিলে তাঁরা আবার নতুন করে বসতি গড়ে তুলতে পারবেন। এতে ভাড়া বাড়িতে অন্ততপক্ষে থাকতে হবে না।

আর‌ও পড়ুন: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় পটল চাষে ক্ষতি

শহর থেকে দূরে হাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীরা এখানে আসেন না, এমনই মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের অভিমানের কথা ব্যক্ত করেন অসহায় মানুষগুলো। এক কথায় তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার ও শোনার মত কেউ নেই। বর্ষাকালে ফুলেফেঁপে ওঠে নদীর জল। নদীর এই রূপ দেখলে ভয় পেয়ে যেতে হয়। দুবছরে নদীর পারে ছোট মেচিয়া বস্তিতে অতলে চলে গিয়েছে ৩৫ টি বাড়ি। সকলেই বর্তমানে অন্যত্র ভাড়া থাকছেন। সকলেরই এখন একটাই প্রশ্ন, আর কখনও কি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যাবে?

অনন্যা দে

Unusual Death: মায়ের শোক সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেল মেয়ে! একসঙ্গে হবে ময়নাতদন্ত

মুর্শিদাবাদ: বাড়ির পাশের পুকুরে স্নানে গিয়েছিল মা। কোনভাবে জলে পড়ে গিয়ে ডুবে যান তিনি। গ্রামের মানুষজন তড়িঘড়ি করে সন্ধান চালিয়ে পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করলেও তাতে প্রাণ ছিল না। মৃত্যু হয় তরুলতা বিত্তার (৪৯) নামে ওই মহিলার। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়, মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে নিজের জীবন শেষ করে দিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবতী মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুলতা বিত্তারের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসতেই বিপত্তি ঘটে। মায়ের দেহ চোখের সামনে দেখে মানসিক ভারসাম্য হারান মেয়ে তনুশ্রী বিত্তার (৩৪)। একপ্রকার সকলের সামনে দিয়ে ঘরে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে নেন। তাতেই মৃত্যু হয়। পরপর মা ও মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিজনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অমৃত্যমুনি গ্রামের ঘটনা।

আর‌ও পড়ুন: বারবার বারণ করলেও কথা না শোনার চরম পরিণাম! জমির নাড়া পোড়াতে গিয়ে সর্বনাশ

মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন তরুলতা বিত্তার। তখনই কোন‌ওভাবে দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রামের লোকজনই তাঁর দেহ উদ্ধার করে। পরে পুকুরের পাড়ে দেহ নিয়ে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। জন্ম থেকেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছিলেন তনুশ্রী। মায়ের মৃত্যু সংবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে নেন। তড়িঘড়ি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মা ও মেয়ের ময়নাতদন্ত একইসঙ্গে হবে।

কৌশিক অধিকারী

Patient Death: সেরে ওঠা রোগীর হঠাৎ মৃত্যু! ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাট হাসপাতালে

দক্ষিণ দিনাজপুর: রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২) নামে এক মহিলার বুধবার মৃত্যু হয়। এরপরই তাঁর পরিজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামীর বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ মার্চ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই থেকেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিজনদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবার।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পায়নের ছন্দে নতুন স্লোগান বেঁধে তমলুকে বাজিমাতের লক্ষ্য বাম প্রার্থী সায়নের

মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, গতকাল চিকিৎসক চন্দনাদেবীকে দেখার পর জানিয়েছিলেন পায়ের ইনফেকশন কমে গেছে। এক-দুদিনের মধ্যে ছুটি দিয়ে দেবেন। শারীরিক অবস্থা ভাল থাকায় মঙ্গলবার রাতে পরিবারের আর কেউ হাসপাতালে ছিলেন না। পরদিন সকালে চন্দনাদেবীর স্বামী হাসপাতালে এসে দেখেন স্ত্রী মারা গেছেন। এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সুস্মিতা গোস্বামী