মানিকচক: মালদহে প্রকাশ্য রাস্তায় বোমাবাজিতে নিহত কংগ্রেস নেতা। অভিযোগ, কেউ বা কারা তাঁকে খুন করেছে। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ শেখ সাইফুদ্দিন। মানিকচকের ধরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বোমায় জখম আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার পরে অভিযোগের তীর গিয়েছে গোপালপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নাসির শেখ ও দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাস্তা অবরোধ করে চলে তুমুল বিক্ষোভ।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দখল নিয়ে কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল তৃণমূল নেতা নাসির শেখ গোষ্ঠীর। বোমাবাজি ও খুনের পিছনে নাসির শেখ গোষ্ঠীই রয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। এর আগেও দু’পক্ষের এলাকা দখলে বারবার বোমাবাজি, গুলি, এমনকি খুনের ঘটনাও ঘটেছে গোপালপুরে। তারপরে আবার।
আরও পড়ুন- ভারতেই আছে এমন এক জায়গা যার নাম উল্টো সোজা যেভাবেই লিখুন একই হবে, তাও তিন ভাষায়! আপনি গিয়েছেন কিন্তু
মানিকচকের এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের এক নেতা সেখানে খুন হয়েছিলেন। সে সময়েও অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এ বারেও ফের একই ঘটনা।
মানিকচকে কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘সাইফুদ্দিন শেখের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর সঙ্গে আমারও ব্যক্তিগত অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল। এই খুনের ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে রাজনৈতিক দেখেই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। নাসির শেখ বা সাইফুদ্দিন শেখের বিবাদ কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়, ওঁদের মধ্যে বিবাদ ব্যক্তিগত ও জমিজমা সংক্রান্ত। সাইফুদ্দিন তৃণমূলের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পরে নাসির শেখের সঙ্গে মতান্তরে কংগ্রেসে যান। আমি দু’পক্ষকেই বারবার বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলাম। এটা কোনও রাজনৈতিক খুন নয়। কংগ্রেস ও বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।’