কলকাতা Sandip Ghosh CBI: কেন CBI খুন-ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ ঘোষকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখাল? কী অভিযোগ? তিনি যা করেছেন ‘অকল্পনীয়’! Gallery September 15, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। শনিবার রাতের আগে পর্যন্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করে দুর্নীতির মামলায়। এবার আদালতে সিবিআই তাঁকে খুন ও ধর্ষণের মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়েছে। কিন্তু কেন? কী করেছেন সন্দীপ ঘোষ? আদালতে কখন কাউকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখায়? সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তদন্তে অসহযোগিতা, ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলাতে সন্দীপ ঘোষকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে বলে শিয়ালদহ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে শনিবার জানিয়েছে সিবিআই। আইনি প্রক্রিয়ায় সন্দীপকে এরপর সশরীরে আদালতে হাজির করানো হবে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি অপরাধীকে রক্ষা করতে ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ নম্বর ধারা, ১৯৯ নম্বর ধারা ও ৬১ (২) ধারায় প্রমাণ লোপাট, অপরাধীকে আড়াল করতে ভুল তথ্য দেওয়া, সরকারি কর্মী হয়ে আইন না মানা ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। কখন কোনও অভিযুক্তকে শোন এরেস্ট (Shown Arrest) দেখানো হয়? ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৫১ অনুযায়ী, গ্রেফতার বা সমন ছাড়া কোনও আমল গ্রহণকারী আদালতে উপস্থিত যে কোনও ব্যক্তিকে আদালত গ্রেফতার দেখাতে পারেন। যদি সাক্ষ্যপ্রমাণে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওই ব্যক্তি আদালতে বিচারাধীন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা এই অপরাধটি সে সংঘটন করেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে এমন ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন যেন সে সমন পেয়ে বা গ্রেফতার হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছে। আদালতের বিচার ব্যবস্থা উন্মুক্ত হওয়ায় অনেক সময় প্রকৃত অপরাধী ও সন্দেহের বাইরে থেকে আদালতে বিচার দেখতে আসে বা সে এই মামলার বাদী অথবা সাক্ষীও হতে পারে। যদি তখন আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণে বোঝা যায় যে, সেই প্রকৃত অপরাধী তাহলে আদালত তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার দেখাতে পারেন। এভাবে গ্রেফতার দেখানোকে বলা হয় Shown Arrest। ধারা ৩৫১/২ অনুযায়ী, বিচার শুরু হওয়ার পর এভাবে গ্রেফতার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে মামলা নতুন ভাবে আরম্ভ করতে হবে এবং সাক্ষীদের বক্তব্য পুনরায় শুনতে হবে আদালতকে। সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রেও আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে সিবিআই।