ভারতে এখনকার দিনে ফিনান্সের দারুণ সুযোগ পাওয়া যায়। যার ফলে প্রচুর সুবিধা হয় গ্রাহকদের। কারণ তাঁরা এর সাহায্যে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অনায়াসে জিনিসপত্র কেনাকাটা করে তা ব্যবহার করতে পারেন। কত লোন নেওয়া হয়েছে, তার কিস্তি নির্ধারণ করা থাকে। আর প্রত্যেক মাসে সেই কিস্তি পরিশোধ করতে হয় গ্রাহককে। কিন্তু অনেক সময় গ্রাহকরা লোন পরিশোধ করতে অস্বীকার করেন। এই পরিস্থিতিতে ঋণ নিয়ে কেনা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে ঋণদাতা। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ঘটনাই ছড়িয়ে পড়ছে।
দেখা যায় যে, ঋণ বা লোন পরিশোধ করার পরিবর্তে গ্রাহকরা ফিনান্সারদেরই উল্টে ভয় দেখায়। আর এই ভয় দেখানোর উপায় বেশ ফিল্মিও বটে! ব্যাঙ্কের লোক দেখলেই যেন ঈশ্বরের শরণাপন্ন হন সেই লোনগ্রহীতারা। ব্যাঙ্কের লোকেদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে তাঁদের উপর অভিশাপও বর্ষণ করে তাড়িয়ে পর্যন্ত দিয়ে থাকেন তাঁরা। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, এক মহিলা লোন নিয়ে একটি ট্র্যাক্টর কিনেছিলেন। এবার সেই লোন মেটাতে না পারায় ফিনান্সাররা সেই ট্র্যাক্টরটিকে বাজেয়াপ্ত করতে এসেছিল।
View this post on Instagram
জানা গিয়েছে যে, ভাইরাল এই ভিডিওটি আদতে রাজস্থানের বানসওয়ারার। যদিও স্থানের সত্যতা যাচাই করেনি News18। ভিডিও-র ক্যাপশন থেকে জানা গিয়েছে যে, এটি বানসওয়ারার ঘটনা। সেখানকার এক কৃষক লোন নিয়ে ট্র্যাক্টরটি কিনেছিলেন। কিন্তু সেই কিস্তি মেটাতে পারেননি। এমতাবস্থায় ফিনান্সাররা যখন ট্র্যাক্টরটি নিতে আসেন, তখন ওই কৃষকের বাড়ির মহিলা যেন ভরে পড়েন। আচমকা হাত তুলে ফিনান্সারদের উপর অভিসম্পাত বর্ষণ শুরু করেন তিনি। এমনকী, ঋণদাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি সাবধান করে বলেন যে, যদি আপনারা এই ট্র্যাক্টর নিয়ে যান, তাহলে বেজায় খারাপ হবে আপনাদের সঙ্গে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল রীতিমতো এই ধরনের ঘটনার বন্যা বইছে। আসলে মানুষ লোন নিলেও এর মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে চান না। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কের লোকেরা ওই টাকা উদ্ধার করতে আসলেও গ্রাহকরা তাঁদের ভয় দেখান। এমনকী ঈশ্বরের ভরে পড়েছেন বলেও দাবি করতে থাকেন ওই গ্রাহকরা। কমেন্ট বাক্সে বহু নেটিজেনই লিখেছেন, লোনের টাকা চুকিয়ে দিন মাতা। তাহলে আর ওঁরা আসবেন না।