কলকাতা: কালীঘাটে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক আজও হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত৷ এই পরিস্থিতিতে বৈঠক শুরুর আগেই জুনিয়র চিকিৎসকদের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে শুরু করলেন শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী৷ আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা আদৌ অচলাবস্থা কাটাতে আগ্রহী কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, পার্থ ভৌমিকের মতো তৃণমূলের মন্ত্রী এবং সাংসদরা৷
গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রথমে নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যায়৷ এর পর গত শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা বৈঠকও ভেস্তে গিয়েছিল৷ আজ ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দিতে শেষ বারের জন্য প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার৷ সেই প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে সম্মতিও দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
Anyone with a rational mind can sniff out the political game.
Despite Smt. @MamataOfficial’s reassurances last Saturday, they wasted time.
Today, a letter sent at 11:48 AM for a 5 PM meeting got a response after 4 hours.
Will they obstruct dialogue again? All eyes are on you.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 16, 2024
Smt. @MamataOfficial has repeatedly extended the olive branch to the protesting doctors, but their delay tactics are exposing their true intent.
4 hours since the letter was sent, and still NO RESPONSE. If they’re truly eager to resolve the deadlock, why this foot-dragging?
— Bratya Basu (@basu_bratya) September 16, 2024
যদিও কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসুদের মতো তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবের পাঠানো ই মেলের জবাব দিতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লাগল জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ আবার ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কি রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন নাকি মানুষের স্বার্থের কথা ভাববেন৷
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড ফেরত অতসী না পরিণীতির স্বামী রাঘব চাড্ডা! দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে কারা?
শুধু দলের নেতারাই নন, একই সুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জুনিয়র চিকিৎসকদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ক্রমাগত আবেদনের পরেও জুনিয়র চিকিৎসকরা কোনও সাড়া দেননি৷ অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা কি শেষ পর্যন্ত এই সঙ্কট কাটানোর সদিচ্ছা দেখাবেন নাকি মানুষের ভোগান্তি চলতে দেবেন৷’
এ দিন বিকেল পাঁচটায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ যদিও জুনিয়র চিকিৎসকরা সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে রওনাই হন পাঁচটার পরে৷