নিরাপত্তা প্রশ্নে ঝাঁঝালো ইন্দিরা

‘আমরা কাজে ফিরতে চাই…’ সুপ্রিম কোর্টে বললেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী, নিরাপত্তা প্রশ্নে ঝাঁঝালো ইন্দিরা

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সওয়ালে প্রথম দিনই জোরালো আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের নব নিযুক্ত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি এদিন আদালতকে বলেন, ‘সোমবার রাতের বৈঠকে কী কী সেটেলমেন্ট হল আগে তা আদালতকে জানাক রাজ্য। তারপরেই কাজে ফেরা নিয়ে সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় শুরু হয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। শুরুতেই এদিন দ্বিতীয় তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। এরপর খুঁটিয়ে সেই রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি চার্জশিট পেশ করার সম্ভাব্য সময় জানতে চান সিবিআই এর কাছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে’।

এদিকে মামলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইডির জয়সিং তাঁর সওয়ালে বলেন, “আমাদেরও জানানো হোক, কী কী ব্যবস্থার কথা বলছে রাজ্য। উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতকে জানান, “আলাদা ডিউটি রুম তৈরির কাজ আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।”

একইসঙ্গে সোমবারের আলোচনায় কী সিদ্ধান্ত হয়েছে আদালতকে জানান কপিল সিবল। তিনি বলেন, ৫ বার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এই তথ্যটা আদালতকে একটু আগেই বলা উচিত ছিল আমার।”

এছাড়াও এদিনের শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর আবেদন, “হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সরিয়ে দিতে হবে। রেগুলার পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে তাঁর সওয়ালে ইন্দিরা বলেন, “রাত্রের সাথী চালু করা হয়েছে। যেখানে রাতে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের নেওয়া হবে। আমাদের আপত্তি রয়েছে তাতে। বলা হচ্ছে ৭ দিনের ট্রেনিং দেওয়া হবে। আমাদের প্রশ্ন, সঞ্জয় রাই যে গ্রেফতার হয়েছেন এই ঘটনায় তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।”

তিনি একইসঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বাজেট অ্যালোকেশন হয়েছে আর কয়েকটা সিসিটিভি বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার নামে সেটুকুই করা হয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের তরফে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে সিবিআইকে। ৩/১/২০২০-র ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত একটি অর্ডার আমরা তুলে দিয়েছি সিবিআইয়ের হাতে।” পাশাপাশি আগামী দিনে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়েও একটা স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন জানান চিকিৎসকদের আইনজীবী।