সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

North 24 Parganas News: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ! উত্তেজনা সাগর দত্ত হাসপাতালে

উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল গুলিতে এক প্রকার পরিষেবা ব্যাহত, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিল কামারহাটি মেডিসিন অফ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসককে কাঠগড়ায় তুললেন মৃত রোগীর পরিজনেরা।

জানা গিয়েছে, টিটাগর তালপুকুর এম্পায়ার জুট মিলের ১ নম্বর লাইনের বাসিন্দা প্রশান্ত কুমার সাউ। ৪৯ বছর বয়সী প্রশান্ত সাউ জুট মিলের প্রাক্তন শ্রমিক ও বর্তমানে হোটেল চালাতেন। জ্বর ও শারীরিক সমস্যা নিয়ে গতকাল ব্যারাকপুর বিএনবসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে পরিস্থিতি খারাপ হাওয়ায় হাসপাতালের তরফ থেকে, অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। সে ক্ষেত্রে তিনটে হাসপাতালের মধ্যে একটিতে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয় পরিবারকে। যার মধ্যে ছিল সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, কলকাতার এন.আর.এস মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিয়েছে পুলিশ, CBI-র অভিযোগ শুনে কী বললেন প্রধান বিচারপতি

সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল কাছে হওয়ার কারণে রোগীর পরিজনরা শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে প্রশান্ত কুমার সাউকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসেন। কিন্তু এরপরই রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের গাফিলতের অভিযোগ তোলা হয় । অভি‌যোগ, ইমারজেন্সিতে দীর্ঘক্ষণ রোগীকে ফেলে রাখার কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোগীর জ্বর, হাই সুগার এবং হৃদরোগেরও সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: রাত্তিরের সাথীর নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতিরই! সংশোধন করা হয়েছে, জানালেন সিব্বল

পরিবারের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, কর্তব্যরত অবস্থায় ডাক্তার মদ্যপ ছিলেন। এমনকি তিনি কথাও বলতে পারছিলেন না এবং সঠিকভাবে লিখতেও পারছিলেন না বলে জানান রোগীর পরিজনেরা। রোগীর ইসিজি রিপোর্টও ঠিক মতো দেখতে পারেননি তিনি। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত রোগীর পরিজনেরা। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি জানান, ওই ডাক্তার এদিন রাতেই প্রথম এই হাসপাতালের কাজে যুক্ত হন। এদিন তার নাইট ডিউটি ছিল। বিষয়টি জানার পর চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের ডেকে কথা বলেন তিনি।

অভিযুক্ত চিকিৎসক উত্তম কানরিকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে নৈহাটি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্তে পাঠানো হয়। তবে তিনি সাইক্রিয়াটিক পেশেন্ট বলে অনুমান করে, তাঁকে হসপিটালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাক্তার দেখানো হচ্ছে এবং তাঁর চেকআপ করা হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকা একজন চিকিৎসককে কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের চিকিৎসার দায়িত্বে রাখা হল!

ঘটনার জেরে পরিজনদের তরফ থেকে চিকিৎসককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া অথবা এই মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে অবিলম্বে ওই ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দাবি জানানো হয়। ঘটনায় উত্তেজনায ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ।