আলিপুরদুয়ার: সাফারির জন্য রয়েছে একটি হাতি,তবুও তিন বেলায় হাতি সাফারির জন্য পর্যটকদের ভিড় জমছে কোদালবস্তি রেঞ্জ এলাকায়। আর সাফারি করতে গিয়েই দেখা মিলছে কোনও না কোনও বন্যপ্রাণীর। স্বাভাবিকভাবেই এ যেন বোনাস পর্যটকদের কাছে। কেউ সাফারি শেষে ফেরার পথে আবার কেউ সাফারি শুরু পথে দেখতে পারছেন একপাল হাতি।
তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলেছে ডুয়ার্সের জঙ্গল। আর প্রথম দিন থেকে অন্যান্য পর্যটনস্থলের পাশাপাশি কালচিনি ব্লকের জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেরা কোদালবস্তিতে দেখা গিয়েছে ভিড়,শুরু হয়েছে সাফারি। আর এই সাফারিতে বেরিয়ে মাঝ রাস্তায় রাজ্য সড়কে হাতির পালের দর্শন পাচ্ছেন পর্যটকেরা। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়ে থাকছে সারি সারি গাড়ি।আবার কেউ দেখেছেন গন্ডার, বাইসন।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ঝলমলে ত্বক! রোজ সকালে খালি পেটে ভিটামিনে ঠাসা দুটি পাতা, ২ টাকায় দাগছোপ ৩ দিনে গায়েব
সাফারিতে এসে এমন দৃশ্য দেখে আপ্লুত পর্যটকরা। তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনে ভিড় জমাচ্ছেন অন্যান্য পর্যটকরা। প্রতিদিন পর্যটকের ভিড় দেখে উচ্ছসিত পর্যটকদের পাশাপাশি, গাড়ি চালক ও গাইডরাও। গত বছর সাফারি একেবারেই হয়নি, তবে এই বছর সাফারির জন্য রোজ আসছে পর্যটকরা।
এ বিষয়ে এক গাইড সিডি রাভা বলেন, ‘গত বছর যে দিন জঙ্গল খুলেছিল সেই দিনে একটাও সাফারি হয়নি। আর এবছর প্ৰথম দিনই গাড়ি সাফারি ও হাতি সাফারি হয়েছে।’ পর্যটকরা জানিয়েছে, কোদালবস্তি এলে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা যায়। বিকেলের পর থেকে এলাকার ৩টির মধ্যে যে কোনও হোমস্টে থেকে দেখা যায় হাতি, লেপার্ড। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।অপরদিকে, কোদালবস্তির পর্যটন ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের ঢল দেখে ভীষণ খুশি।হাতি সাফারি শুরু হয় ভোর ৫ টা থেকে,তিন শিফটে চলে সাফারি। এক ঘণ্টা সময়ে ঘুরিয়ে দেখানো হয় সিসি লাইন।
Annanya Dey