কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ৩৯ দিন। এখনও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের পরে দাবি মতো একাধিক রদবদল হয়েছে প্রশাসনিক পদে, সুপ্রিম কোর্টের কড়া নজরদারিও রয়েছে মামলার উপর। এবার তাঁদের কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট
আজ, বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘প্রথম দিন থেকেই, ডাক্তারদের সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলি সমর্থন করেছি। কয়েকটি বাদে, আমার তাঁদের বেশিরভাগ দাবিকেই বৈধ, বিচক্ষণ এবং ন্যায়সঙ্গত মনে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া বক্তব্য অনুসারে, ডাক্তারদের সুরক্ষার উন্নতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বেশিরভাগ পদক্ষেপেই ১৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিককে বদলির দাবিকে সরকার মেনে নিয়েছে।’
Since day one, I have supported the doctors in their concerns regarding safety and security, and I have always maintained that most of their concerns, barring a few, are valid, sensible and justified. As per the SC’s directions and the GoWB’s submission before the SC yesterday,…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 18, 2024
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আরও লেখেন, ‘সদিচ্ছার নিদর্শন হিসাবে, ডাক্তারদের এখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। জনগণের সেবা করার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করা উচিত। এবং তাঁদের নজর রাখা উচিত পরিবর্তনগুলি তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর করার জন্য টাস্কফোর্সের উদ্যোগগুলি যেন দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।’
আরও পড়ুনঃ নেই যাত্রী! ফের বন্ধ হল কলকাতা মেট্রোর আরও একটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার
তাঁর কথায়, ‘সর্বশেষে, এটা সিবিআই-এর নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেন কোনও অপরাধীই রেহাই না পায় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের শাস্তি দেওয়া যায়। সিবিআইয়ের রেকর্ড অনুসারে গত ১০ বছরে তারা একটি তদন্তও শেষ করতে পারেনি। ন্যায়বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া।’