কলকাতা RG Kar Case-CBI: তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত সন্দীপ-অভিজিৎ? সিবিআই-কে প্রশ্ন বিচারকের! মিলল চমকে দেওয়া উত্তর Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গত শনিবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিনই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকেও। উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষ আগে থেকেই আরজি কর দুর্নীতি মামলায় জেলে ছিলেন। তবে খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁকে ফের হেফাজতে নেয় সিবিআই। প্রাথমিক ভাবে তিনদিনের হেফাজতে নিয়ে অভিজিৎ এবং সন্দীপকে জেরা করে সিবিআই। মঙ্গলবার সেই মেয়াদ শেষ হলে আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁদের। সেখানে ফের তাঁদের তিনদিনের জন্যে হেফাজতে চায় সিবিআই। কিন্তু সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে আদালত বেশ কিছু প্রশ্নও করে। বিচারক সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দুজন খুন ও ধর্ষণের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত? নাকি প্রমাণ সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র? সিবিআই জানিয়ে দেয়, ”প্রত্যক্ষ ভাবে বলতে পারি না ধর্ষণ ও খুনে যুক্ত। তবে প্রমাণ লোপাট ষড়যন্ত্র সহ একাধিক বিষয় রয়েছে।” বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”কোনও প্রমাণ পেয়েছেন ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে এরা যুক্ত?” সিবিআই আইনদজীবী এর উত্তরে জানান, ”এ রকম ঘটনায় ১৪ ঘন্টা এফআইআর করেননি। জিডি করা হয়েছে। এঁদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। গাফিলতি রয়েছে। ঘটনার পর এতক্ষণ পর মামলা করা হয়।” বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত?” সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান, ”ওঁরা দু’জনে একে অপরকে চিনতেন। ষড়যন্ত্রে যুক্ত।” বিচারক তখন ফের পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”ধর্ষণ ও খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত?” সিবিআইয়ের উত্তর, ”আমরা তদন্ত করে দেখছি।” তখন বিচারক সিবিআই-কে প্রশ্ন করে, ”এ জন্য আলাদা এফআইআর কেন করা হয়নি? এর জন্য আলাদা এফআইআর দরকার।” অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ”২১২-র আগের অ্যাক্ট দেখুন। ২৪৯ বিএনএস অ্যাক্ট দেখুন। আমাকে গ্রেফতার করতে গেলে সরকারি অনুমতি দরকার। গ্রাউন্ড অফ অ্যারেস্ট কোথায়?” তিনি আরও বলেন, ”এজেন্সি চাইছে সত্য উদ্ঘাটনের জন্য। এখন আবার হেফাজতে চাইছে। ৩ দিন কী করল। প্লিসিং অ্যারেস্ট এটা।” বিচারক ফের সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ”আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এটা গুরুতর অভিযোগ। আপনাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি, যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?” সিবিআই অফিসার বলেন, ”আমরা সবদিকই খতিয়ে দেখছি। খুব প্রাথমিক পর্যায়ে।” বিচারক বলেন, ”এটার তদন্তের দিক থাকা দরকার। কোনও প্রমাণ থাকা দরকার। আপনারা এমন কিছু পেয়েছেন? যদি এরকম কিছু পেয়ে থাকেন তাহলে আলাদা এফআইআর হয় না কেন?” সিবিআই তখন জানায়, ”হতে পারে এই ঘটনার আগে কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে এফআইআর করতে দেয়নি। কিন্তু তাই বলে ওসি এফআইআর করবেন না কেন? কে আটকেছে? এটা ষড়যন্ত্র।” বিচারক তখন ফের বলে, ”ধর্ষণ ও খুনের আগেই যদি এর ষড়যন্ত্র করে থাকে তাহলে সেটা সিরিয়াস কেস। এটার আলাদা এফআইআর করা উচিত।” সিবিআই জানায়, ”আমরা এই বিষয়টা দেখছি। ৩ দিনের হেফাজতে চাইছি।” এরপর সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলের ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।