গ্রামের ভিতর ১০-১২ ফুট উচ্চতায় নদীর জল

Flood: গ্রামের উপর দিয়ে বইছে ১০-১২ ফুট উচ্চতায় নদীর জল! ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি উদয়নারায়ণপুরে

হাওড়া: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েক ইঞ্চি জল কমলেও, চিন্তা কমেনি মানুষের। বন্যায় বিধ্বস্ত আমতা-উদয়নারায়ণপুর। ডিভিসি’র ছাড়া জলেই এই ভয়াবহ বন্যা, বাড়ছে উদ্বেগ। বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, তবে দামোদরের পশ্চিমপাড়ের বাঁধ মেরামতির ফলে আরও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে উদয়নারায়নপুরবাসী, এমনটাই মনে করছন অনেকে।

ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হাওড়া জেলার আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গ্রামের ভেতর দিয়ে বইছে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় নদীর জল। নতুন করে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছেছে | জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ মানুষ বন্যাপীড়িত।

আরও পড়ুন:মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান

ডিভিসি-র ছাড়া জল বৃহস্পতিবার দুপুর আশঙ্কা বলে জানা গেছে। ফলে, ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারের দুপুর গড়াতে উদয়নারায়নপুরে কয়েক ইঞ্চি জল কমেছে বলে জানা যায় । বন্যা মোকাবিল প্রায় ৯০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উদয়নারায়ণপুর। এখানে ৬৮টি ত্রাণশিবিরে প্রায় দশ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের পানীয় জল খাবার ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বাস স্ট্যান্ড ও ব্লক অফিস উদয়নারায়নপুর কলেজ ক্যাম্পাস জল থৈথৈ।

বুধবার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ত্রাণ ব্যবস্থার তদারকিতে ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়।

আরও পড়ুন: ‘৩ টে ফোন…’ টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ! ইডি দফতর থেকে বেরিয়েই ‘আসল কারণ’ বলে দিলেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত!

তিনি বলেন, ‘‘বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি লক্ষীকান্ত দাস জানান,নদীতে জলের স্রোত বেশি থাকায় লঞ্চ আনা হলেও তা চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা আছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে খোলা হয়েছে বিশেষ ক্যাম্প। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

রাকেশ মাইতি