আগরতলা: রাজ্যে নারী নিরাপত্তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করল ত্রিপুরা সরকার৷
গোমতী জেলা পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। সেখানে গিয়ে তিনি পুলিশদের ঢালাও প্রশংসা করেন৷ জানান, রাজ্যে আইনের শাসন আছে বলেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁটা হয়েছিল হাসনাবাদের নাবালিকা, মুখ খুলতেই জানা গেল প্রতিবেশীর কুকীর্তি!
তিনি আরও বলেন, ‘‘সম্প্রীতি বজায় থাকলে উন্নয়নমূলক কাজ আরও ভালভাবে করা সম্ভব। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।’’ উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির পূর্ব পাড়ে গোমতী জেলা পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেখানে, রাজ্য পুলিশের ১৫০ বছরের গৌরবময় ইতিহাসের কথাও বলেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা বিষয়ে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে৷ ত্রিপুরাতে ৮টি জেলায় ৯টি মহিলা থানা স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে মহিলা সংক্রান্ত যে কোনও অপরাধ বিষয়ে মহিলারা অভিযোগ জানাতে পারেন।সেখান থেকে ইতিমধ্যেই অনেকে সহযোগিতাও পাচ্ছেন।
বিগত বছরের তুলনায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের প্রয়াস কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তাতে সাফল্যও আসছে।
তিনি সচেতন করে বলেন রাজ্যে অল্প বয়সের যুবক যুবতীরা নেশায় আসক্ত হচ্ছে। তার জন্য তিনি পুলিশকে বলেন আরও বেশি করে মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মাদক বিরোধী প্রচারাভিযান জারি রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, ‘‘মহিলাদের সুরক্ষা প্রদানেও জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারও সচেতন।’’ সম্প্রতি, রাজ্যের দুটি উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে দিল্লিতে শান্তি চুক্তি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে জানান, এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে গোমতী জেলার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। কার্যালয়ের পরিকাঠামো ঠিকঠাক থাকলে কাজের গতিও বৃদ্ধি পায়।
এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটে। প্রশাসনের দাবী কড়া হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷