Tag Archives: Tripura News

Tripura News: লক্ষ্য আদিবাসী-জনজাতি ভোট, প্রচারে জোর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনকালে জনজাতিরা পেয়েছেন সম্মান ও গৌরবময় জীবনের গ্যারান্টি। ভোটকে সামনে রেখে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইন্ডি জোট গঠন করেছে বিরোধীরা ৷ প্রচারে বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে জনজাতিরা পেয়েছেন সম্মান ও গৌরবময় জীবনের গ্যারান্টি। তাই আরও একবার মোদি সরকারকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। একমাত্র মোদির নেতৃত্বেই জনজাতিদের উন্নয়ন হবে। কংগ্রেস কিংবা ইউপিএ সরকার জনজাতি উন্নয়নে কিছুই করেনি। আর এখন ভোটকে সামনে রেখে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইন্ডি জোট গঠন করেছে তারা।’’ লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত এবং আইপিএফটি তিপ্রা মথা সমর্থিত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুরে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা ! আরও বাড়বে গরম, আগামী ৩ দিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা !

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে ব্রু রিয়াংদের শরণার্থী বলে আখ্যায়িত করা হত। কিন্তু তারা এখন আর শরণার্থী নয়। তারাও ত্রিপুরায় বসবাসকারী মানুষ। তাদের সঠিক পুনর্বাসনের জন্য যা যা করার দরকার সেটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের ১২টি জায়গায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের জন্য এই এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অনেকেই আমার সাথে দেখা করেছেন। আমিও দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি।’’

ডাঃ সাহা এদিন বলেন, ‘‘সমস্যা থাকবে। আর সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বতন কমিউনিস্ট সরকার শুধু সমস্যা জিইয়ে রাখতো। যে কারণে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ব্রু রিয়াংদের সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয় নি তারা। এতদিন ধরে তারা শুধু কুম্ভীরাশ্রু ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন জনজাতিদের অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় দেশ উন্নত হবে না। সেই দিশায় কাজ করছেন তিনি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্রু রিয়াংদের দ্রুত পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ এখন খুব খুশি। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীও তাদের সমস্যা নিরসনে খুবই আন্তরিক।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ২৪ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই করতে পারেন। কেন্দ্রে দীর্ঘ বছর কংগ্রেস কিংবা ইউপিএ সরকার থাকলেও কোনও সরকার জনজাতিদের উন্নয়নে নজর দেয়নি। এমনকী, জনজাতিদের উন্নয়নে আলাদা করে কিছু করে নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী থাকার সময়ে ট্রাইব্যাল মিনিস্ট্রি গঠন করা হয়। অটলজি ছিলেন একজন সর্বজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতিও ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নের গ্যারান্টি দিচ্ছেন মোদি। সকল অংশের মানুষের সমস্যা সমাধানের গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। আর সেই গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্বাচন। দেশ শক্তিশালী হলেই তবে রাজ্যও শক্তিশালী হবে এবং উন্নতি হবে। তবেই মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।’’

Tripura News: নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যা কথা বলছেন, অভিযোগ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীদের পায়ের তলায় জমি নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য ৷’’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

আরও পড়ুন- কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেল পারদ ! সাত জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা, গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে আরও কতদিন?

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার পানিসাগরে আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিজেপির পানিসাগর মন্ডলের উদ্যোগে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পানিসাগরে ইতিমধ্যেই জুডিশিয়াল কোর্ট, নতুন ব্লক ভবন এবং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। আসন্ন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্যান্য নির্বাচনের মতো ভাবলে হয়তো ভুল হবে। আমাদের সকলকে এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন মানুষের কাছে গিয়ে বলতে যে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমাদের পাঠিয়েছেন। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কী করেন নি তিনি।’’

আরও পড়ুন– বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামে রাজ কুন্দ্রা জড়িয়ে গেলেন কীভাবে? শিল্পা শেঠির স্বামীর বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?       

মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমরা বামেদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ-সহ অজস্র অভিযোগ ছিল। সেই অপশাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কোটি কোটি প্রণাম। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচন করতে হয় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচন কোন ধরণের অঘটন ছাড়াই একেবারে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব কখনো অশান্তিকে সমর্থন করে না। আজকে প্রথম দফার নির্বাচনেও মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চারদিকেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। অথচ এই ভোট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। কারণ তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই পরিকল্পনা মাফিক বিভ্রান্তি তৈরি করতে এসব অভিযোগ তুলছেন তারা। আর এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’’

PM Modi-Manik Saha: ত্রিপুরার উন্নয়নে ‘হিরা প্লাস মডেল’-এ কাজ করার জন্য মানিক সাহার প্রশংসা মোদির

আগরতলা: ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নে হিরা প্লাস (HIRA +) মডেলে কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী  বিপ্লব কুমার দেব এবং কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে  আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত সুবিশাল সমাবেশে জনতার উদ্দেশ্যে সম্বোধন করতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন– সংখ্যাতত্ত্বে ১৮ এপ্রিল: দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন; জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা                

নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার ত্রিপুরার সার্বিক বিকাশের জন্য হিরা (HIRA) মডেল বাস্তবায়ন করেছে। আর একে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আজ শুধু এখানে নয়, সারা দেশে মানুষ হিরা মডেলের কথা বলছেন। হিরা মানে হাইওয়ে (জাতীয় সড়ক), ইন্টারনেট ওয়ে (ইন্টারনেট পরিষেবা), রেলওয়ে (রেল যোগাযোগ) এবং এয়ারওয়ে (বিমান পরিষেবা)। আমি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। বর্তমানে ত্রিপুরায় একটি চার লেনের হাইওয়ে নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।’’

আরও পড়ুন– রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে আগামিকাল ভোট দেবে জলপাইগুড়ি, একনজরে সেখানকার ভোট চিত্র      

প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত করার জন্য মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছি এবং এখন ত্রিপুরা ফাইভ জি (5G) এর মতো উন্নত পরিষেবা পেতে যাচ্ছে।  রাজ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার এমবিবি বিমানবন্দরে একটি নতুন আধুনিক টার্মিনাল তৈরি করেছে এবং মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা সরকার হিরা প্লাস মডেলের মাধ্যমে ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য আরও পদক্ষেপ নিচ্ছে।’’

রাজ্যের বিধানসভা ভোটেও এই ইস্যুতে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি শিবির ৷ লাগাতার পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়কে সামনে রেখে তারা প্রচারে জোর দিয়েছিল। সেই একই ইস্যুকে সামনে রেখেই ফের লোকসভা ভোটে লড়াই চালাচ্ছে ত্রিপুরার শাসক দল। HIRA তাদের প্রচারে অস্ত্র।

Tripura News: ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর জন্য লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রচারে বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা: ‘‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যা ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার সঙ্কল্পকে সফল করতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আরও শক্তিশালী করবে।’’ উনকোটি জেলার কুমারঘাটে পূর্ত দফতরের মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের যে আস্থা ও সমর্থন, তাতে আগামী ৪ জুন কি ফলাফল হতে চলেছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন- ৪২ ডিগ্রির ঘরে দক্ষিণবঙ্গের পারদ! সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

সভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘গত ২৮ মার্চ পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিজেপি, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথার কর্মী সমর্থকদের বিশাল সমাবেশ ও সমর্থন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এত মানুষের আস্থা ও সমর্থন থেকে নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে সেটা একপ্রকার পরিষ্কার। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও একই প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশের গ্যারান্টিকে সামনে রেখে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের সঙ্কল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য আসন্ন এই নির্বাচনের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৬ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা         

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সমস্ত নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। মনে রাখতে হবে, আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যাতে আমরা আরও উন্নয়নের সাক্ষী হতে পারি। আসন্ন নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত।’’ দেশ ও রাজ্যকে আরও বিকাশের দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান ড. সাহা।

Tripura News: ‘INDIA জোট শ্রীঘ্রই বিলুপ্ত হতে চলেছে…’ খোঁচা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

আগরতলা: ‘‘ইন্ডিয়া জোট শুধু জনসাধারণকে ধোঁকা দেওয়ার একটা চক্রান্ত, যা শীঘ্রই সারা দেশে বিলুপ্ত হতে চলেছে…৷’’ প্রচারে বেরিয়ে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ‘‘সব বুথেই পদ্মফুল ফোটানোর সংকল্প নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। ইন্ডিয়া জোটের নামে সিপিএম এবং কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটি খুব শীঘ্রই একটি নামমাত্র সংখ্যায় পরিণত হবে। দীর্ঘ বছরের শাসনে এরা শুধু রাজ্যকে অবনতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে সাব্রুমে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– আপনি কোন ট্রেনে চাপেন – EMU নাকি MEMU? জেনে নিন ট্রেনের ফারাক

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই এলাকায় ১৯৯৩ সাল থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ১৩ জন নাকি খুন হয়েছিল। যেখানেই যাই সেখানেই মৃতের সংখ্যা। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে কমিউনিস্টদের শাসনে শুধু দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জন খুন হয়েছিলেন। অদ্ভুত এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতদিন ধরে আমরা দেখে এসেছি। আর ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে আমরা এই রাজ্যে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। ’’

আরও পড়ুন–  আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বিভিন্ন জেলায়, গরমও ক্রমশ বাড়বে, পয়লা বৈশাখের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন      

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের আমলে রাজ্য জুড়ে অসংখ্য লোককে খুন করা হয়েছিল এবং পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। তবে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম যে কোন ধরণের সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না। বিরোধীদের বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছিল যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই দেশের সঠিক উন্নয়ন করতে পারেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইউপিএ সরকার তাদের দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারীর জন্য কুখ্যাত ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’’

Tripura News: ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে বিজেপির ইস্যু বাম আমলের খুনোখুনির ঘটনা, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা?

আগরতলা: ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে ত্রিপুরা-সহ সমগ্র দেশে। কমিউনিস্ট জমানায় দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে খুনের ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা করে ভোট প্রচারে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে ত্রিপুরা-সহ সমগ্র দেশে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মানুষ চাইছেন ২৪শে আবার মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেটা করে দেখান। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। এই সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক বিকাশ। কমিউনিস্ট জমানায় শুধু দক্ষিণ জেলায় বিরোধীদের ৬৯ জনকে খুন করা হয়েছিল। আর সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে অশুভ জোট করেছে কংগ্রেস।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার রাজনগরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে প্রচারে মিঠুন, মহাগুরুকে মাঠে নামিয়ে শেষ বেলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। কিছুদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কার্যকারিণী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের বলেছেন যার যার রাজ্যে গিয়ে নিজেদের বুথে যেতে। আর সেখানে কার্যকর্তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের কার্যকর্তাগণ সেই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, সেটা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ শক্তিশালী হচ্ছে, মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। মহিলাদের উন্নয়ন, গরীবদের উন্নয়ন, যুবাদের উন্নয়ন ও কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।’’

আরও পড়ুন– নারী ক্ষমতায়ন থেকে ১০০ দিনের কাজ, নানা ঘোষণা থাকতে চলেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে

তিনি আরও বলেন, ‘‘আসন্ন এই নির্বাচন আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। আমাদের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সমাগম হয়। যা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থনকে স্পস্ট করেছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসতে হবে। সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমি নিশ্চিত আপনারা সকলেই আমাদের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা ইউনিক পার্টি। সেবাই সংগঠন এই পার্টির অন্যতম লক্ষ্য। সারা বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের কল্যাণে কাজ করে এই পার্টি।’’ এর পাশাপাশি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের জমানায় শুধু এই দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেখানে আপনারা কি চাইবেন আবার খুনের রাজত্বে ফিরে যেতে?’’ সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘এই কংগ্রেস তখন বিরোধী দলে ছিল। আর তাদের কর্মীদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আর এখন তারাই সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশুভ জোট গড়েছে। অথচ ২০২৩-এ কীভাবে সন্ত্রাস ছাড়া নির্বাচন করতে হয়, সেটা করে দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।’’

Tripura News: তিপ্রামোথাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে ভোট প্রচার, ত্রিপুরায় দুই আসন জিততে জোরদার প্রচারে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

আগরতলা: দেশকে শক্তিশালী করার জন্য মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে। রাজ্যের দুটি আসনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন বিজেপি প্রার্থীরা, প্রচারে বেরিয়ে আশাবাদী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷  তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে। দেশকে শক্তিশালী করার জন্য এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদিকে দেখতে চায় মানুষ। প্রধানমন্ত্রী জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। পশ্চিম ও পূর্ব ত্রিপুরা উভয় আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন।’’

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে  সিপাহীজলা জেলার চড়িলামে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আয়োজিত সুবিশাল রোড শোয়ে অংশ নিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– চলন্ত ট্রেনে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে আরপিএফ; ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা-রুপো আর নগদ!   

গুনে গুনে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা ও আগামী ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই এই দুটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। সেই অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারও চলছে জোরকদমে। যদিও অন্যান্য দলের চাইতে ধারেভারে সবদিকে এগিয়ে রয়েছেন শাসক ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। প্রতিদিনই উৎসবের মেজাজে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা-সহ অন্যান্য তারকারা।

আরও পড়ুন– আজ ও আগামিকাল বৃষ্টির সম্ভাবনা কম দক্ষিণবঙ্গে, ইদের দিন কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি হবে? জেনে নিন   

এই অবস্থায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বিশালগড়ের চড়িলামে অনুষ্ঠিত হয় সুবিশাল রোড শো। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে এই রোড শো চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্র এলাকা পরিক্রমা করে। এই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘এই নির্বাচনী কর্মসূচিতে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনগণের সমর্থন থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মানুষ নির্বাচনী প্রচার ও সমাবেশে যোগদান করছে। যা একটি খুবই ইতিবাচক দিক। মানুষের চেহারার অভিব্যক্তিই তাঁর অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করে। মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদিকে আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন সকলে। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থা স্পষ্ট হয়েছে। আমি নিশ্চিত আসন্ন নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।’’

Tripura News: ‘লোকসভা ও উপনির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপির প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত…’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

আগরতলা: ‘‘জাতি-জনজাতি সকল অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করাকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ এখন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিজেপির মাইনরিটি মোর্চাও মানুষের জন্য ভালো কাজ করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদাযয়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রেখে শুধু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।’’ আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আগরতলার জয়নগর এলাকায় আয়োজিত এক নির্বাচনী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দীপক মজুমদারের সমর্থনে এই রোড শো-র আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন–  রাশিফল ৮ এপ্রিল-১৪ এপ্রিল; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা             

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘রামনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী দীপক মজুমদার সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকেছেন। আগরতলা পুর নিগমের মেয়র হিসেবেও মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করেছেন তিনি। দীপক মজুমদার মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের আস্থা ও সম্মান অর্জন করেছেন। বিজেপি কর্মীরাও তাঁকে শ্রদ্ধার আসনে রাখেন। এর জন্যই দল তাঁকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। জননেতা সুরজিত দত্তের অকাল প্রয়াণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটা পূরণ করার নয়। তবুও তাঁর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন দীপক মজুমদার। ’’

আরও পড়ুন– আজ ও আগামিকাল রাজ্যজুড়েই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘গতকালও এই এলাকায় এসে এটা স্পষ্ট হয়েছিল এখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আমাদের বিজেপি মনোনীত প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। আজও আমরা সংখ্যালঘু মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বার্তা দিয়েছি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আপনাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে আমাদের পাঠিয়েছেন।’’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন আসন্ন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসন এবং রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ বিজেপি প্রার্থীদের ভোট প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

Lok Sabha Election 2024: ‘এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার জন্য বিজেপির জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, নির্বাচনী জনসভায় বললেন মানিক সাহা

আগরতলা: দেশের সার্বিক উন্নয়নে এবং ‘এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গড়ে তুলতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির জয় নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। এই সরকারই প্রকৃত অর্থে মানুষের বিকাশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছেন। উত্তর জেলার কদমতলায় পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে আয়োজিত এক সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।

সভায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় আমাদের দুটি আসন রয়েছে। আগে আইপিএফটি আমাদের সঙ্গে ছিল। আর এখন তিপ্রা মথাও ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হয়েছে। একটা সময় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত বক্সনগরে জয় অসম্ভব বলে অনেকেই বলেছিলেন। তবে আমরা উপনির্বাচনে সেই আসন জয় করে দেখিয়েছি। ৩০ হাজারের অধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন আমাদের প্রার্থী। আর এটা কীভাবে সম্ভব হল, সে নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। তবে আমি বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস’-দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন। সেই কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শুধু কথার কথা বলেন না, তিনি গ্যারান্টিও দেন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যাতে মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দকৃত জনমুখী প্রকল্পের সুফল থেকে বাদ না যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা সরকারও জনগণের জন্য ‘প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান’ চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদা জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেন।

নির্বাচনী সভায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চালু করা অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের রাজ্যগুলি উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের হিরা (HIRA) মডেল দিয়েছেন। কারণ উন্নয়নের জন্য কোন রাজনীতি বা জাতপাতের প্রয়োজন হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষের আশীর্বাদ ও সমর্থন পেতে দলের প্রতিটি কর্মীকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি ছিল। তবে ২০১৪ সালের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর সারা দেশে রাজনীতির অর্থও বদলে যায়। আমাদের বিজেপি সরকার জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সংকল্পবদ্ধ। রাজ্য সরকারও সেই একই দিশায় জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-   শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা আরও বলেন, রাজ্য সরকার মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যেমন মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রূপায়ণ করছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের লক্ষ্যে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ এবং অন্যান্য হাসপাতালগুলিতেও অত্যাধুনিক ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। অতীতে জাতি ও জনজাতিদের নিয়ে অনেক রাজনীতি প্রত্যক্ষ হয়েছে। কিন্তু এখন বিজেপি, আইপিএফটি এবং তিপ্রা মথা ত্রিপুরাকে সবদিক দিয়ে সেরা করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করছে৷ সিপিএম সর্বদা বিভাজনের রাজনীতি করে গেছে এবং একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে রাজ্য শাসন করেছে। তারা তাদের ৩৫ বছরের শাসনামলে গণতন্ত্রকে দাবিয়ে রেখেছিল। এই রাজ্যের মানুষ সেটা প্রত্যক্ষ করেছে। মানুষ তখন সিপিএম থেকে মুক্তি পেতে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু কংগ্রেসও তাই করেছিল।

ত্রিপুরায় আমরা ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন করার ইতিহাস তৈরি করেছি। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে শুধুমাত্র বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে পারেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। দেশকে রক্ষা করতে এবং ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করতে, আমাদের অবশ্যই বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে হবে ৷ এদিন জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, যুব নেতা নবাদল বণিক সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।

Tripura News: ‘৩৫ বছরের শাসনে ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল কমিউনিস্টরা…’ বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: ‘‘দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল কমিউনিস্টরা। আর এখন কংগ্রেসের সুরে তাল মিলিয়ে বলছে গণতন্ত্রের কথা। তাদের সময়কালে শুধু খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ-সহ অস্থির পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্যের মানুষ। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার সবসময় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে।’’ বিলোনিয়ায় ভারতীয় জনতা মহিলা মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত শক্তিস্বরূপা কর্মসূচিতে সম্বোধন করতে গিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন– নজির বিহীন! লোকসভা ভোটে ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েবকাস্টিং, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্টরা প্রায় সময় বলে যে ত্রিপুরাতে গণতন্ত্রের হরণ হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি কমিউনিস্টদের একটা বই আছে। যেখানে প্রথমেই লেখা রয়েছে যে আমাদের একনায়কতন্ত্র চালাতে হবে। আর এই একনায়কতন্ত্র কিভাবে চালাবে তারা? সেই শ্রমজীবী অংশের মানুষকে নিয়ে বিপ্লবের ডাক দিয়ে ওরা সরকারে থাকতে চায়। রাজ্যে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের শাসনে কি গণতন্ত্র তারা চালিয়েছিল সেটা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। নারীদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত করেছে তারা। প্রতিটি নির্বাচনের সময়ে খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনার সাক্ষী থেকেছে এই রাজ্যের মানুষ। কংগ্রেসও বলছে দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। জরুরী অবস্থার সময়ে কি করেছিল তারা। সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা নেত্রী যারা প্রতিবাদ করেছিলেন তাদেরকে জেলে পুরা হয়েছিল। আর এখন তারা বলছে গণতন্ত্রের কথা। ২০২৩ সালে রাজ্যে কিভাবে শান্তিপূর্ন নির্বাচন করা যায় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। কোন ধরণের সহিংসতা বা অঘটন ছাড়া কিভাবে এত শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন করা গেছে সেটাই সারা দেশে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ কমিউনিস্টদের দীর্ঘ শাসন ও কংগ্রেস জোট সরকারের ৫ বছরের শাসনে কোন অঘটন ছাড়া নির্বাচন করা যায় নি।

আরও পড়ুন– আজ দুই দিনাজপুরে দুই সভা মমতার, নজরে বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ

জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘কমিউনিস্টরা সায়েন্টিফিক রেগিং নিয়ে গর্ববোধ করতো। বিভিন্নভাবে মানুষের মনের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করতে দেয় নি তারা। এমনকী ভোট দিতেও বাধা দিয়েছে। সেই জায়গায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়। বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচনেও কোনও ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। বক্সনগরে বিরোধীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ৩৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী। ধনপুরেও গতবারের চাইতে ভোটের হার কয়েক গুণ বেড়েছে। ১৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন আমাদের প্রার্থী। গণতন্ত্র কাকে বলে সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্র রক্ষার মাধ্যমে কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয় সেটা শিখিয়েছেন আমাদের। যেখানে যেখানে কমিউনিস্টরা রাজত্ব করেছে সেখানে গণতন্ত্র হরণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সুদীর্ঘ বছর শাসন করেছিল তারা। আর এখন তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন একেবারে হুবহু কমিউনিস্টদের কার্বন কপি।’’

মানিক সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসন সংখ্যা রয়েছে। গতবার এই ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় এবার সেখানে আরও আসন সংখ্যা বাড়বে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ৩৭০টি আসনের টার্গেট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই লক্ষ্যমাত্রার অধিক আসন নিয়ে কেন্দ্রে সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। বিরোধীদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। তাদের কাছে কোন ইস্যুও নেই। তাই অস্তিত্ব রক্ষায় এখন INDIA জোট করেছে তারা। কংগ্রেস বলছে তারা সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলায় নি, তারা INDIA জোটে শামিল হয়েছে। এ এক অদ্ভুত রাজনীতি। কিন্তু সেই INDIA থেকে এখন ‘A’ চলে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সেই জোটও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মানুষ এখন সব বোঝে। যে সরকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবে, শান্তি বজায় রাখতে পারবে তাদের সঙ্গেই থাকবে মানুষ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’’

সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব, বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।