উত্তর ২৪ পরগনা: আগে ছিলেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পরে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকেও জয়ী হয়েছিলেন সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া কিডন্যাপার কাউন্সিলর মিলন সর্দার। স্থানীয় এলাকা থেকে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করার পর থেকেই এলাকায় তার বিরুদ্ধে জমা ক্ষোভ যেন বেরিয়ে এসেছে। সকলেই তাকে শাসকদলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলেই জানতেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে টাকা আদায় থেকে শুরু করে জমি দখল একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে মিলন সর্দারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাউন্সিলার পৌর প্রধানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও দাবি করছে বিরোধীরা। নির্বাচনী টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার জন্য বিশেষ সুপারিশ করেছিলেন বর্তমান বারাসত পৌরসভার পৌরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, অভিযোগ এমনটাও।
এর আগেও এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি দখল থেকে শুরু করে হাট বাজারের পারমিশন করে দেওয়ার নাম করে, গোটা হাট দখল নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি দলকে জানানো হলেও কোনরকম পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি। সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার থেকে শুরু করে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কান পর্যন্ত পৌছলেও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত…! ৫ রাজ্য কাঁপাবে ভারী বৃষ্টি! দুর্যোগ বাংলায়?
আরও পড়ুন: বড় খবর! লাখ-লাখ যাত্রীর জন্য বিরাট সুখবর দিল রেল, না জানলেই পস্তাবেন!
কিডন্যাপিংয়ের অভিযোগে তদন্তকারী সংস্থার হাতে জনপ্রতিনিধি গ্রেফতার হতেই বিষয়টিকে সামনে রেখে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। দলের মধ্যেও তাকে নিয়ে ছিল চাপা ক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে। এখন এলাকার মানুষজন চাইছেন তদন্ত করে যথাযথ সাজা পাক অপরাধী জনপ্রতিনিধি।